বর্তমানে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের সমস্যাগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো অন্যতম একটি কারণ। এখন ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার অর্থ হল রোগমুক্ত জীবন কাটানো।
কিন্তু ওজন কমানোর অর্থ এই নয় যে আপনি খাদ্যতালিকা থেকে সব খাবার দেবেন। কিংবা দিন রাত ওয়ার্ক আউট করে যাবেন। অনেক সময় ডায়েট অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেও কোনও কাজ দেয় না। এই ক্ষেত্রে আপনি আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে পারেন।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিট থাকলে রুটিনমাফিক জীবন কাটাতে হবে। এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে। এগুলো শুধু ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে তা নয়, এর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। কী সেগুলো চলুন দেখে নেওয়া যাক...
সার্কাডিয়ান ডায়েট মেনে চলুন। এই ডায়েটের অর্থ আপনি যদি সকাল ৭টায় ব্রেকফাস্ট খান তাহলে ঠিক সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে আপনাকে ডিনার সেরে ফেলতে হবে। এরপর ১২ ঘণ্টার উপবাস। এই সময়ের ব্যবধানে কিছু খাওয়া চলবে না। এতে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হবে।
প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সারাদিন ধরে যত বেশি পরিমাণে জল পান করবেন, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে এবং হজম ক্ষমতা উন্নত হবে। আর শরীর হাইড্রেটেড থাকলে একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমে যাবে।
শরীরচর্চা ছাড়া সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। সারাদিনে অন্তত ২০ মিনিট প্রাণায়ম করুন। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে এবং সহজে ওজন বেড়ে যাবে না। এর পাশাপাশি এটি মনকে শান্ত করবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে।
সুস্থ থাকতে এবং অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য ঘুম জরুরি। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে তা প্রভাব ফেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর। এতে ওজন বেড়ে যায়। মানসিক চাপও বাড়ে। ফলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঘুমের আপোষ করবেন না।