ভারতীয় সংস্কৃতিতে পানের গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে, পুজো-পার্বণ, অন্নপ্রাশন, গৃহপ্রবেশ যে কোনও অনুষ্ঠানেই অপরিহার্য হল এই পান। মঙ্গলের প্রতীক হল পান। স্কন্দপুরাণেও এই পানপাতার উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে সমুদ্র মন্থনের সময় উঠে এসেছিল এই পান
তাম্বুল, তমালপাকু, নাগাভল্লি এবং নাগরবেল- একাধিক নাম রয়েছে পানের। পানের মধ্যে যেমন অ্যান্টিসেপটিকের গুণ রয়েছে তেমনই খাবার খাওয়ার পর সুগন্ধী হিসেবেও রয়েছে পানের ব্যবহার। খাওয়ার খাবার পর মুখের সুগন্ধ বজায় রাখতে অনেকেই পান খান। আবার আগেকার দিনে ঠোঁট রাঙাতে রানিরা পান খেতেন
তবে অর্য়ুবেদ মতে পানের মধ্যে ওষধি গুণ ভরপুর। সেই সঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতাও। এমনকী আর্য়ুবেদে সুপারি পাতারও অনেক গুণাগুণ উল্লেখ করা রয়েছে
পানে ক্যালোরির ছিঁটেফোঁটাও নেই। বরং রয়েছে প্রোটিন। সেই সঙ্গে রয়েছে আয়োডিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ এবং নিকোটিনের মত উপাদান। এই নিকোটিনিক অ্যাসিডের জন্যই পানের ঝাঁঝালো গন্ধ, আর যা কিন্তু আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাঁপানি, যে কোনও ব্যথা, অ্যানোরোক্সিয়া ইত্যাদি সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে পান পাতা
পানপাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, থিয়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, ক্যারোটিন- যা ভিটামিন ও ক্যালশিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। পান গাছ বাড়িতে লাগালে শোভা বৃদ্ধি পায়। তাই সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যের দিক বিচার করে অবশ্যই বাড়িতে পানগাছ রাখুন