‘এই লড়াইয়ে মদন মিত্রের জয় চাই’, করোনা আক্রান্ত তৃণমূল নেতার আরোগ্য কামনায় শতরূপ
খোঁজ নিয়েছেন কামারহাটিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম নেতা সায়নদীপ মিত্র। ফোনে কথা বলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
এই খবর টেলিভিশন এবং ওয়েব দুনিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে আরোগ্য কামনা। একরে পর এক পোস্ট সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের। খোঁজ নিয়েছেন কামারহাটিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম নেতা সায়নদীপ মিত্র। ফোনে কথা বলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
মদন মিত্র তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, এই পোস্টে ছয়লাপ গোটা ফেসবুক। শাসক দলের নেতার সঙ্কটে উদ্বেগ রয়েছে বিরোধী শিবিরেই। কসবায় সিপিআইএমের প্রার্থী তথা বাম যুবনেতা শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh) যেমন লিখেছেন, “আপনার অসামান্য প্রাণশক্তি যেন কিছুতেই হার না মানে। আমরা সবাই এই লড়াইয়ে আপনারই জয় চাই, সেরে উঠুন।”
আবার বিজেপি নেতা তরণজ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tewari) যেমন লিখেছেন, “হাজার রাজনৈতিক বিরোধিতা আছে এবং থাকবে, কিন্তু মদন দা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।” যদিও এই পোস্টেই আবার সূক্ষ্ম খোঁচা দিয়ে অবাঙালি বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি লিখেছেন, “Get Well Soon… বিদায় সংবর্ধনা বাকি আছে তো। ০২/০৫/২১ তারিখে হারের পর আপনার হাতে অনেক সময় থাকবে। আমরা আপনার লাইভ ভিডিয়োগুলো উপভোগ করবে।”
তাঁর আরোগ্য কামনায় বিরোধীদের এই সুহৃদ মানসিকতায় আপ্লুত খোদ মদন মিত্র (Madan Mitra)। হাসপাতাল থেকেই ফোনে TV9 বাংলাকে জানালেন, “এটাই বাংলার সংস্কৃতি। মহাভারতের নিয়ম ছিল, সারাদিন যুদ্ধ হবে। সূর্যাস্ত হলে যুদ্ধ বন্ধ। এটাই ভারতবর্ষের সংস্কৃতি। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকেলে খোঁজ নিয়েছে মানে পশ্চিমবঙ্গ এখনও তার সংস্কৃতি ভুলে যায়নি।” যখন তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল তখন শারীরিক অবস্থা সামান্য টালমাটাল হলেও বর্তমানে তিনি বিপদমুক্ত রয়েছেন বলে নিজেই জানান মদন। যদিও এখনই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। আগামী আরও ২-৩ দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই থাকতে হবে। তারপরই বাড়ি ফিরতে পারবেন মদন।