Mutual Fund: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে এক দশকে ৫০ লক্ষ লাভ? স্বপ্নপূরণ কোন পথে?
Mutual Fund: শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, SIP-তে বিনিয়োগের মাধ্যমে বার্ষিক ভাল রিটার্ন পেতে পারেন একজন বিনিয়োগকারী। তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম।
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে (Long Term Investment) মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ যে বেশ ভালই ফলদায়ক তা প্রায়শই বলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় অল্প টাকা খাটিয়ে যেমন ভাল লাভ তোলা যায়, ঠিক তেমনই ঝুঁকির পরিমাণও অনেকটা কম থাকে। তবে জানেন কি মাত্র দশ বছরের জন্য কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) টাকা রেখে লাখপতি হয়ে যেতে পারেন আপনি! এক দশকের মধ্যে হাতে চলে আসতে পারে ৫০ লক্ষ টাকা। পূরণ করে ফেলতে পারবেন নিজের যে কোনও সুপ্ত বাসনা। কিন্তু, কীভাবে জয় করবেন এই পুঁজির যুদ্ধ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন পেতে SIP-তে বিনিয়োগ করা যথেষ্ট লাভজনক। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, SIP-তে বিনিয়োগের মাধ্যমে বার্ষিক ভাল রিটার্ন পেতে পারেন একজন বিনিয়োগকারী। সাধারণভাবে, ভাল কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করলে গড়ে বার্ষিক ১০ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্ন খুব সহজে পাওয়া যায়। বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ও সময়সীমা হাতে অনেকটা বেশি থাকলে এই রিটার্ন আবার ছুঁয়ে ফেলতে পারে ১৫ শতাংশের গণ্ডি। উল্লেখ্য, দশ বছরে ৫০ লক্ষ আয়ের প্রসঙ্গে সেবি’র (SEBI) বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, “দশ বছরে ৫০ লক্ষ টাকা লাভ সহজে সম্ভব নয়। এই পরিমাণ টাকা আয়ের জন্য বিনিয়োগকারীকে চলতে হবে যথেষ্ট নিয়মমাফিক পদ্ধতিতে। প্রতি মাসে রুটিন মাফিক বিনিয়োগ করতে হবে নির্দিষ্ট SIP-তে। চলবে না কোনওরকম ঢিলেমি।”
কিন্তু প্রতি মাসে কত টাকা বিনিয়োগ করলে এই স্বপ্নকে ধরতে ছুঁতে পারবেন আপনি? এ প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, “৫০ লক্ষের এই দৌড়ে জয়ী হতে প্রতি মাসে গড়ে ১২৫০০ টাকা SIP-তে বিনিয়োগ করতে হবে একজন বিনিয়োগকারীকে। এই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলেই বার্ষিক ১২ শতাংশ রিটার্নের মাধ্যমে দশ বছরে ৫০ লক্ষ টাকার মালিক হতে পারবেন একজন বিনিয়োগকারী। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বার্ষিক রিটার্ন আবার ছুঁয়ে যেতে পারে ১৫ শতাংশের গন্ডিও।”
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।