Amarnath Yatra 2022: শুরু হয়েছে অমরনাথা যাত্রা! কোন কোন নিয়মগুলি উপেক্ষা করা একদম চলবে না

Hinduism: এ বছর যাত্রা শেষ হবে আগামী ১১ অগস্টে। গ্রীষ্মকাল হলেও অমরনাথের তাপমাত্রা কিন্তু বেশ শীতল। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে খুব কম সময়ের জন্য খোলা হয়।

Amarnath Yatra 2022: শুরু হয়েছে অমরনাথা যাত্রা! কোন কোন নিয়মগুলি উপেক্ষা করা একদম চলবে না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 6:10 AM

৩০ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2022)। অমরনাথ গুহা একটি হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যেটি হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম পবিত্র শৈব তীর্থ  (Lord Shiva) হিসেবে পরিচিত। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই তীর্থে যেতে পহেলগাও শহর অতিক্রম করতে হয়। সাধারণত জুন-জুলাই মাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। শেষ হয় জুলাই-আগস্ট মাসে গুরু পূর্ণিমার সময় ছড়ি যাত্রায়। পৌরাণিক মতে, পার্বতীকে গোপনে সৃষ্টি রহস্য বোঝাতে নির্জনে পাহাড়ে গুহা নির্মাণ করেন মহাদেব। করোনা অতিমারির (COVID 19 Pandemic) জেরে গত ২ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল এই পবিত্র যাত্রা। এ বছর যাত্রা শেষ হবে আগামী ১১ অগস্টে। গ্রীষ্মকাল হলেও অমরনাথের তাপমাত্রা কিন্তু বেশ শীতল। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে খুব কম সময়ের জন্য খোলা হয়। তারপর বরফের আচ্ছাদনেই মোড়া থাকে এই শিবলিঙ্গ। ঠান্ডা আবহাওয়া ও উচ্চতার কারণে তীর্থযাত্রাটি সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। তাই যাত্রা শুরু আগে ও যাত্রা করার সময় কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা দরকার।

তীর্থযাত্রায় কোনও রকম ঝুঁকি যাতে না সৃষ্টি হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফেও  ভক্তদের ফিটনেসের মাত্রা হিসেবে একটি সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করেছে। তীর্থযাত্রায় যাত্রীরা কোন কোন ভুল-ত্রুটিগুলি এড়িয়ে যাবেন, তা দেখে নিন…

ফিটনেসের মাত্রা না দেখিয়ে যাত্রায় সামিল হতে পারবেন না কোন যাত্রী। তাই যাত্রার আগে মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। দুর্গম, ঠান্ডা আবহাওয়া ও শুষ্ক বাতাস এখানকার সব পরিস্থিতি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং।

অমরনাথ যাত্রার জন্য চলতি মাসের গোড়ার দিকেই বুকিংয়ের ব্যবস্থা করানো হয়েছিল যারা এই যাত্রার সঙ্গে সামিল হতে চান, তাদের জেনে রাখা ভাল যে, প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা, সকাল ও সন্ধ্যের সময় হাঁটতে হবে। সমতল নয়। পাহাড়ের উচ্চতম জায়গায় পৌঁছতে গেলে অবশ্য ফিটনেসের উপর জোর দিতে হবে। এই গুহাটি সমতল থেকে ৩,৮৮৮ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। ফলে তীর্থযাত্রীদের শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা দরকার। কারণ যত বেশি পাহাড়ের গা বেয়ে উপরের দিকে উঠবেন, তত অক্সিজেনের মাত্রা কম শুরু হয়। অক্সজেনের ঘাটতি মেটাতে কী কী করণীয়, তা জানা অবশ্যই দরকার।

এছাড়া যাত্রার সময় যাত্রীদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির একটি লিস্ট বানিয়ে রাখুন। গরম কাপড়, প্রাথমিক ওষুধ, খাবার, জলের বোতল,ছাতা, হাঁটার জন্য শক্তপোক্ত লাঠি নিচ্ছেন কিনা তা চেক করতে ভুলবেন না। কারণ এই জিনিসগুলি তীর্থযাত্রার কাজে বিশেষ কাজে দেয়।

– অমরনাথ যাত্রায় যাওয়ার আগেই নিজের হেলথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে অমরনাথ শ্রেনে বোর্ডের নিকটবর্তী হাসপাতাল থেকে। সমুদ্র তট থেকে ১২, ৭৫৬ ফিট উচ্চতায় মানুষ সুস্থ থাকতে পারবেন কিনা সেই পরীক্ষাও প্রয়োজন।

– মন্দিরের কাছে স্থানীয়রা শত শত তাবুর ব্যবস্থা করে তীর্থযাত্রীদের রাত্রি যাপনের জন্য। জম্মু থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরবর্তী কাটরা পর্যন্ত বাস ও ভাড়া গাড়ি চলে। শেষ ১৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয় মন্দিরে।

– পৌরাণিক মতে, পার্বতীকে গোপনে সৃষ্টি রহস্য বোঝাতে নির্জনে পাহাড়ে গুহা নির্মাণ করেন মহাদেব। সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের অধিষ্ঠাত্রী বৈষ্ণোদেবী। গুহামন্দিরে দেবীর তিন ভিন্ন রূপ দেখতে পাওয়া যায়। ডানদিকে মহাকালী, বামে মহাসরস্বতী ও মাঝে মহালক্ষ্মী।

– এখানকার শিবলিঙ্গ কেউ বানিয়ে দেয়নি। বরং প্রকৃতি দ্বারা স্ব-সৃষ্ট শিবের আবাসস্থল বলে মনে করা হয়। তাই এখানে ভগবান শিবকে বাবা বরফানি বলা হয়।

– অমরমাথে মহাদেব পাঁচটি উপাদান প্রকাশ করেছিলিন। অগ্নি (আগুন), পৃথ্বী (পৃথিবী), জল (জল), আকাশ (মহাকাশ) এবং বায়ু (বায়ু)।আবার অনেকে মনে করেন, ভগবান শিব দেবী পার্বতীকে জীবনের মৌলিক সার এবং অমরত্ব ব্যাখ্যা করেছিলেন।