Guru Purnima 2022: এ বছর গুরু পূর্ণিমা কবে পড়েছে? কার জন্মবার্ষিকী হিসেবে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়?

Guru Puja in India: গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের জন্য এই গুরু পূর্ণিমার তিথির মাহাত্ম্য রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে মুণি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

Guru Purnima 2022: এ বছর গুরু পূর্ণিমা কবে পড়েছে? কার জন্মবার্ষিকী হিসেবে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 3:33 PM

জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) অনুসারে, জুলাই মাস ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়। যোগিনী একাদশী দিয়ে মাস শুরু হয়েছে, এরপর একে রথযাত্রা, দেবশায়নী একাদশী থেকে গুরু পূর্ণিমার মতো দিনগুলি রয়েছে। চতুর্মাস এই মাসেই শুরু হবে। তবে এই পুজো-পার্বনের মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তিথি রয়েছে এই জুলাইয়েই (July 2022)। মা, বাবা, গুরু, সকলের জীবনেই এটি ঈশ্বরের তাত্‍পর্য প্রতিষ্ঠা করে। মা ও বাবা ছাড়াও গুরুও একটি শিশুকে লালন-পালনে ও গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঐতিহ্যবাহী ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই একজন গুরু শুধু একজন ব্যক্তি হিসেবে কেবলমাত্র শিক্ষাই দেন না, বরং মূল্যবোধও জাগ্রত করে, জীবনের প্রয়োজনীয় পাঠ শেখান। তাই বছরের এই বিশেষ দিনেই তাদের সম্মান জানাতে গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima2022) পালন করা হয়। তাদের আশীর্বাদেই আমাদের জ্ঞানলাভ, শিক্ষা ও দক্ষতার আকার পায়।

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের জন্য এই গুরু পূর্ণিমার তিথির মাহাত্ম্য রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে মুণি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দিতেই ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। গুরু শব্দটি সংস্কৃত গু এবং রু- এই দুটি শব্দ দিয়ে গঠিত। গু শব্দের অর্থ হল অন্ধকার ও অজ্ঞতা, অন্যদিকে করু শবদ্রে অর্থ হল আলো। যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় পদার্পন করান তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ গুরু। মনের অন্ধকার দূর করে শিষ্যকে আলোর পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা পালন করে গুরু স্থানীয় ব্যক্তিরা।

গুরু পূর্ণিমার তারিখ

গুরু পূর্ণিমা আষাঢ় মাসে পূর্ণিমা তিথিতে (পূর্ণিমা দিবস) পালন করা হয়। এই দিনটিকে মহাভারতের লেখক বেদ ব্যাসের জন্মবার্ষিকী হিসেবে স্মরণ করে পালন করা হয়। এ বছর গুরু পূর্ণিমা পালিত হবে আগামী ১ জুলাই।

পূর্ণিমা তিথিতে ভোর ৪টে থেকে শুরু হবে। সমাপ্তি ঘটবে ১৪ জুলাই রাত ১২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত।

পৌরাণিক কাহিনি

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মহাদেব হলেন আদি গুরু। তাঁর প্রথম শিষ্য ছিলেন সপ্তর্ষির সাত ঋষি- অত্রি, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলস্থ্য, মরীচি, কেতু। আদিযোগী শিব এই তিথিতে আদিগুরু রুপে রূপান্তরিত হন। তিনিই এই সাতঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন । তাই এই তিথি হল গুরুপূর্ণিমা। শুধু হিন্দু ধর্মেই গুরুপূর্ণিমার মাহাত্ম্য় রয়েছে তা নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও গুরুপূর্ণিমার গুরুত্ব রয়েছে। জানা যায়, বোধিজ্ঞান লাভের পরে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় সারনাথে প্রথম উপদেশ দেন গৌতম বুদ্ধ। আর সেই সময় থেকেই গুরুর স্থানে বিরাজ করছেন বুদ্ধ। ভারতের অনেক জায়গায় গুরু পূর্ণিমার দিনে মহাঋষি বেদব্যাসের জন্মতিথি হিসেবে পালন করা হয়। ঋষি পরাশর ও মত্স্যগন্ধা সত্বতীর সন্তান ছিলেন বেদব্যাস। কিন্তু জন্মের পর তাণকে পরিত্য়াগ করলে পরবর্তী কালে তিনিই মহাঋষিতে পরিণত হন। তিনি চতুর্বেদের সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেন। ১৮টি পুরাণ ছাড়াও রচনা করেন মহাভারত ও শ্রীমদ্ভগবত।