Mohini Ekadashi: ঘরে বসে এইভাবে বিষ্ণুর আরাধনা করলে সব পাপ থেকে মুক্তি মেলে
Vishnu puja: পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, এই দিনে ভগবান বিষ্ণু মোহিনী অবতার গ্রহণ করেছিলেন এবং দেবতাদের অমৃত পান করেছিলেন। সেই কারণে ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা এইদিনে ব্রত পালন করে থাকেন।
কুর্মপুরাণে বৈশাখ শুক্লপক্ষের ‘মোহিনী’ একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী ‘মোহিনী’ নামে প্রসিদ্ধ। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, এই দিনে ভগবান বিষ্ণু মোহিনী অবতার গ্রহণ করেছিলেন এবং দেবতাদের অমৃত পান করেছিলেন। সেই কারণে ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা এইদিনে ব্রত পালন করে থাকেন। দশমী তিথির সন্ধ্যায় ব্রত পালন শুরু হলে তা শেষ হয় দ্বাদশী তিথির সকালে। একাদশী তিথিতে যুগ যুগের ব্রত রাখার তাৎপর্য পদ্ম পুরাণ ও ভবিষ্য পুরাণে উল্লেখ আছে। লোককাহিনি থেকে জানা যায় যে ভগবান কৃষ্ণ (ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার) পাণ্ডব রাজা যুধিষ্ঠিরের কাছে ব্রতের গুরুত্ব বর্ণনা করেছিলেন। তারপর থেকেই মোহিনী একাদশীর দিনে, ভক্তরা ভগবান বিষ্ণুর মোহিনী রূপের আরাধনা করেন। অন্য়দিকে, এই দিনেই দেবসুর সংগ্রামের অবসান ঘটে। ২০২২ সালে, মোহিনী একাদশী ১২ মে বৃহস্পতিবার পালিত হবে।
মন্দির বা পুরোহিত ডেকে ব্রতপালন করার প্রয়োজন নেই। কারণ ঘরে বসেই এই একাদশী ব্রত পালন করা সম্ভব। কীভাবে করবেন, দেখে নিন…
– তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ((ব্রহ্ম মুহুর্তের সময় – সূর্যোদয়ের প্রায় দুই ঘন্টা আগে)।
– গঙ্গা, যমুনা., গোদাবরী, নর্মদা, কৃষ্ণা, কাবেরী ইত্যাদি পবিত্র নদীতে স্নান করার রীতি। কিন্তু শহ বা গ্রামে থেকে এই কাজ করা অসম্ভব। তাই ট্যাপের জলে কয়েক ফোঁটাগঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান সেরে ফেলতে পারেন।
– স্নান করার পর পরিস্কার কাপড় পরিধান করুন।
– তিলের তেল, সরষের তেল বা ঘি দিয়ে একটি মাটির বা পিতলের প্রদীপ জ্বালিয়ে ঠাকুরঘরে রেখে দিন।
– ‘ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায়’ জপ করার সময় শ্রী বিষ্ণুকে আবাহন করুন।
– ভগবান বিষ্ণুকে জল (জল), পুষ্পম (ফুল), গন্ধম (প্রাকৃতিক সুগন্ধি), দীপ (তেলের প্রদীপ), ধূপ (ধূপ) এবং নৈবেধ (যে কোনও ফল বা রান্না করা খাবার) নিবেদন করুন। পায়েস ও যে কোনও মিষ্টি তৈরি করে ভোগ প্রদান করুন। এমনকি শুধু ফলও দিতে পারেন।
– পান, সুপারি, একটি বাদামী নারকেল অর্ধেক ভাগ করে, কলা বা অন্যান্য ফল, চন্দন, কুমকুম, হলুদ, অক্ষত এবং দক্ষিণা প্রদান করুন।
-হিন্দু বিশ্বাসে মোহিনী একাদশীর উপবাসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যে একাদশীর উপবাস করে সে ধন লাভ করে। অনেকের ধারণা, এই একাদশী ব্রত পালন করে মোক্ষ (জন্ম, জীবন ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি) লাভ করা সম্ভব।
– একাদশীর দিন মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা পাঠ করুন। শ্রী বিষ্ণু সহস্রনামও জপ করতে পারেন।
– জনসেবার কাজে যুক্ত হতে পারেন। খাদ্য, নগদ বা প্রোজনীয় জিনিস প্রদান করুন। একটি তেরে প্রদীপ জ্বালিয়ে , সন্ধ্যায় ধূপ দিয়ে বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করুন। ফুল, জল, ভোগ বা শুকনো ফল দিতে পারেন।
– আরতি করে পুজো শেষ করুন।
– দ্বাদশী তিথিতে উপবাস ভঙ্গ করে নিরামিষ খাবার খান।