Ramakrishna Mission: কোন উদ্দেশ্য নিয়ে স্বামীজি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন, জানেন?

Swami Vivekananda: ভারতীয় জাতির প্রাণে নবপ্রেরণার জোয়ার এনে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে ঈষ্বর জ্ঞানে মানব সেবার আদর্শ স্থাপনের জন্যই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। ধর্ম, সেবা ও শিক্ষা এই তিনটি মূল কর্মসূচি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের যাত্রা শুরু।

Ramakrishna Mission: কোন উদ্দেশ্য নিয়ে স্বামীজি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন, জানেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 9:33 PM

১৮৯৭ সালের ১ মে, রামকৃষ্ণ মিশন (Ramakrishna Mission) প্রতিষ্ঠিত হয় করেন স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)। তারপর পেরিয়ে গেল ১২৪ বছর। আজ ১২৫ বছর পূর্ণ রামকৃষ্ণ মিশনের। ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৩ সালের ১ মে পর্যন্ত টানা একবছর ধরে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বেলুড় মঠ এবং মিশনের তরফ থেকে। কর্মসূচিতে সহায়তা করবে ভারত সরকার। এদিন মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। রামকৃষ্ণদেবের দেহত্যাগের পর কলকাতার বলরাম বসুর বাসভবনে আয়োজিত রামকৃষ্ণদেবের ভক্তদের এক অধিবেশনে স্বামীজি রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশন গঠনের প্রস্তাব রাখেন। মিশন গঠনের প্রস্তাব ও নিয়মাবলীর খসড়া স্বামীজি নিজের হাতে তৈরি করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে মিশনের নথিভুক্ত হয় ১৯০৯ সালের ৪ মে, ব্রিটিশ সরকারের দপ্তরে।

এরপর ১৯০৯ সালে আইনি স্বীকৃতি পায় রামকৃষ্ণ মঠ। এ মিশন ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী প্রথম দিক পর্যন্ত সময়ে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মানবসেবার মাহাত্ন্য ঘোষণা, শিক্ষার্থীর জন্য অন্ন-বস্ন্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা ও হিন্দুধর্ম প্রচার করা ছিল রামকৃষ্ণ মিশনের মূল কাজ। অন্যদিকে, বেলুড় মঠ হল রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান কার্যালয়। রামকৃষ্ণ মন্দির রামকৃষ্ণ ভাব-আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। ভারতীয় জাতির প্রাণে নবপ্রেরণার জোয়ার এনে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে ঈষ্বর জ্ঞানে মানব সেবার আদর্শ স্থাপনের জন্যই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। ধর্ম, সেবা ও শিক্ষা এই তিনটি মূল কর্মসূচি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের যাত্রা শুরু। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দ। হিন্দু ধর্ম ও ঐতিহ্যের আশ্রয়ে স্থাপিত হলেও এক মধ্যে মিলন ঘটেছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য। ঈশ্বরে বিশ্বাস ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানবসেবা ও মানুষ তৈরির আদর্শ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই মিশনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল। রামকৃষ্ণ মিশনে বেদান্তের আদর্শ অনুসরণ ও মূর্তিপুজো স্বীকৃত। মিশনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল,

– কোনও স্বতন্ত্র ধর্মীয় মতবাদ গড়ে তোলেনি। এই প্রতিষ্ঠান মঠ ব্যবস্থার মাধ্যমে সর্বধর্মসমন্বয়ের আদর্শে বিশ্বাসী।

-এই প্রতিষ্ঠান সকল ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সমাজসেবার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ত্রাণকার্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী কল্যাণ, বুনিয়াদি ও উচ্চশিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

– এই প্রতিষ্ঠানের কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সকল গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে সমগ্র মানবজাতির সেবায় নিয়োজিত রয়েছে এই মিশন।

– শুধু ভারতেই নয়, ভারতের বাইরেও ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতি বিস্তারের উদ্দেশ্যে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শতাধিক শাখা স্থাপিত হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: Astro Tips For Thursday: বৃহস্পতিবার এই কাজগুলি করলে জীবনে কখনও অর্থের সমস্যা থাকবে না