AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rituals: হিন্দু ধর্মে সন্ধ্যেবেলা আরতি কেন করা হয়? জানুন আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

Arati: হিন্দুধর্মে পুজোয় আরতি হল অবিচ্ছেদ্য। আরতি ছাড়া কোনও দেব-দেবীর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। সংস্কৃতে 'আরতি' শব্দের অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ প্রেম।

Rituals: হিন্দু ধর্মে সন্ধ্যেবেলা আরতি কেন করা হয়? জানুন আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 6:00 AM
Share

হিন্দুধর্মে পুজোয় আরতি (Aarti) হল অবিচ্ছেদ্য। আরতি ছাড়া কোনও দেব-দেবীর পুজো (Puja) সম্পূর্ণ হয় না। সংস্কৃতে ‘আরতি’ শব্দের অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ প্রেম। সংস্কৃত শব্দ আরতিকা থেকে এসেছে আরতি। অন্যদিকে, আরতিকে ‘নিরাজন’ বলা হয়। এর অর্থ কোনও একটা জায়গাকে আলোকিত করে তোলা। সকালবেলা আরতি না করলেও সন্ধ্যার আরতি কোনওদিন বাদ দেওয়া যায় না। আরতির প্রদীপ জীবনের অন্ধকার দূর করার পাশাপাশি ধূপ-ধুনোর সুগন্ধ আমাদের মনকে শান্ত করে।

দেব-দেবীর পুজোর সময় আরতি করার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা উচিত। একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে দু হাত দিয়ে প্রদীপ ঘোরাতে হয়। আরতির সঙ্গে মাটি, জল, আগুন, বাতাস ও আকাশ, এই পাঁচটি জিনিস যুক্ত থাকে। আরতির প্রদীপে থাকা কর্পূর মাটির প্রতিনিধিত্ব করে, ঘি জলের প্রতিনিধিত্ব করে। আরতিতে আগুনের ব্যবহার রয়েছে। আর আরতি করার সময় বাতাসের সম্প্রসারণ হয়। এর পাশাপাশি আরতির সময় যে শঙ্খধ্বনি হয় তা আকাশের প্রতিনিধিত্ব করে।

আরতি সাধারণত পুজোর সব অনুষ্ঠানের একদম শেষে করা হয়ে থাকে। প্রদীপ জ্বালিয়ে ভগবানের মূর্তির সামনে বার বার চক্রাকারে ঘুরিয়ে আরতি করা হয়। প্রদীপ ছাড়াও ধুনো,শঙ্খ,ধুপও মূর্তির সামনে রাখা হয়। কখনও আরতি করা হয় কোনও ব্যক্তি বিশেষের ওপর কুদৃষ্টি কাটাতে। অনেকে মনে করেন বৈদিক যুগের আগুনের কিছু আচার থেকে আরতির উদ্ভব। এছাড়াও অনেকে বিশ্বাস করেন যে, বহু শতাব্দী আগে যখন ভগবানের মূর্তি গভীর অন্ধকারে গর্ভগৃহে রাখা হত, তখন প্রদীপ ধরানো হত অন্ধকার কাটাতে। ভক্তেরা যখন মন্দিরে পৌঁছত, তখন পূজারি প্রদীপটা মুর্তির কাছে নিয়ে গিয়ে ধরতেন দর্শনের জন্য। পরবর্তীকালে এই অভ্যাসটাই এক রীতিতে পরিণত হয়। সেখান থেকেই আরতির মাধ্যমে দেব-দেবীর পুজো অর্চনা করার রীতি দাঁড়িয়ে গিয়েছে আরতি।

আরতির থালা সাজানোরও কিছু নিয়ম রয়েছে। একটা প্লেটের ওপর স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নিন। এর ওপর ঘি ও কর্পূর দেওয়া একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে নিন। এক পাশে রাখুন শঙ্খ আর একটু ফুল।

প্রথমে দেব দেবীর চারপাশে বৃত্তাকারে আরতির থালা ঘুরিয়ে নিন। আরতি করার পর একটা শাঁখের মধ্যে একটু গঙ্গা জল নিয়ে সেই শাঁখের বিগ্রহের চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। তারপর সেই শাঁখের গঙ্গা জল নিজের উপর এবং আরতিতে উপস্থিত অন্যান্য ভক্তের উপর ছিটিয়ে দিন।