CWG 2022: বাবা পারেননি, সোনা জিতে স্বপ্নপূরণ ভারোত্তোলক ছেলের; শুভেচ্ছায় ভাসছেন জেরেমি

Jeremy Lalrinnunga Wins Gold: বাবা বক্সার, ছেলে ভারোত্তোলক। খেলাধুলোর পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা কমনওয়েলথ গেমসে সদ্য সোনাজয়ী জেরেমি লালরিননুনগার। জেরেমির বাবা ছিলেন জুনিয়র স্তরের জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন।

CWG 2022: বাবা পারেননি, সোনা জিতে স্বপ্নপূরণ ভারোত্তোলক ছেলের; শুভেচ্ছায় ভাসছেন জেরেমি
শুভেচ্ছায় ভাসছেন জেরেমিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2022 | 7:03 PM

বার্মিংহ্যাম: জাতীয় স্তরের জুনিয়র বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। আইজলের বক্সার লালমাইথুয়াভা রালতে কোনওদিন সিনিয়র পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে চাপায় বক্সিংয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে পিডব্লিউডিতে কাজ শুরু করেন। পরিবারে স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে। নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন ছেলেদের মাধ্যমে পূরণ করতে চেয়েছিলেন। তাইতো আইজলের রালতে পরিবারের ছয়জন পুরুষের মধ্যে পাঁচজনই বক্সার। ব্যতিক্রম জেরেমি লালরিননুনগা (Jeremy Lalrinnunga)। বক্সিংয়ের পাঞ্চে নাইবা হল, ৩০০ কেজি ওজন তুলেই কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) বাজিমাত ১৯ বছরের জেরেমির। পোডিয়ামের সেন্টারে পদক গলায় ছেলেকে দেখে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে লালমাইথুয়াভা রালতের।

১৫ বছর বয়সে যুব অলিম্পিকে পদক জিতে আগেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জেরেমি। তাঁর কাছে বাবা আদর্শ ও অনুপ্রেরণা। লালমাইথুয়াভা চেয়েছিলেন জেরেমি বক্সার হোক। যদিও ছেলে ভারোত্তোলনের দিকে বেশি ঝোঁক দেখে উৎসাহ দিয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা পাঁচ ছেলেকে উজাড় করে দিয়েছেন লালমাইথুয়াভা। গ্রামের ওয়েটলিফটিং অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। পরিশ্রম আর ক্রমাগত উৎসাহদান ব্যর্থ হয়নি। এত কম বয়সেই বিশ্ব মঞ্চে সোনা ফলাচ্ছেন জেরেমি। দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় জেরেমির সোনা জয়কে দেশের যুব শক্তির জয় বলে ব্যাখ্যা করলেন। টুইটারে লিখলেন, “আমাদের যুব শক্তি ইতিহাস রচনা করেছে। অনেক শুভেচ্ছা জেরেমিকে। কমনওয়েলথ গেমসের ডেবিউতে যে রেকর্ড গড়ে সোনা পেয়েছে। এত কম বয়সে গৌরব বয়ে এনেছে। আগামীর জন্য শুভেচ্ছা রইল।”

ইভেন্টের সময় চোট দমাতে পারেনি জেরেমিকে। ১৯ বছরের ভারোত্তোলকের দৃঢ় মানসিকতার প্রশংসায় ভাসলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। টুইটারে জেরেমিকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখলেন, “ইভেন্টের সময় চোট থাকা সত্ত্বেও তোমার আত্মবিশ্বাস ইতিহাস তৈরি করতে পেরেছে। যা লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। তোমার পোডিয়াম ফিনিশ ভারতীয়দের বুক গর্বে ভরিয়েছে ৷ এমন গৌরবময় মুহূর্ত আরও আসুক।”

কমনওয়েলথে পোডিয়াম ফিনিশের পর জেরেমির মনে পড়ে যাচ্ছে নানান কথা। দু’বছর বাড়ি যাননি। পরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস পালন করা হয়নি, সেটাও নয় নয় করে পাঁচবছর হয়ে গেল। ফোনের ওয়াল পেপারে অনেকদিন ধরেই জ্বলজ্বল করছে কমনওয়েলথ গেমসের সোনার পদক। স্বপ্নপূরণ হয়েছে। মিজোরামের পরিবেশ জেরেমির মজ্জায়। পাহাড় প্রমাণ কাঠিন্যকে সঙ্গে নিয়ে এবার অলিম্পিকের স্বপ্নে ডুব দিতে চান জেরেমি লালরিননুনগা।