Ambati Rayudu : রাজনীতির শিকার হয়েই কি ২০১৯ এর বিশ্বকাপে জায়গা পাননি? ৩ বছর পর মুখ খুললেন অম্বাতি রায়ডু
এক ক্রিকেটারকে বিশেষ করে যখন কোনও মেগা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলে নির্বাচন কমিটি, তখন সেই ক্রিকেটারের মনে একটা আশা তৈরি হয়। আর এক লহমায় সেই আশা ভেঙে গেলে --- তার থেকে খারাপ কিছু হয় না। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য অম্বাতি রায়ডুকে (Ambati Rayudu) প্রস্তুত হতে বলেছিল বোর্ড। কিন্তু যখন বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা হয়, তাতে নাম ছিল না রায়ডুর। ফলে আইসিসির মেগা ইভেন্টে খেলা হয়নি তাঁর।
নয়াদিল্লি : ক্রিকেট দেখতে দেখতে গ্ল্যামারাস খেলায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু ব্যাট-বলের লড়াই অতটাও সহজ নয়। অনেক সময় ক্রিকেটাররা রাজনীতির শিকার হন। সেই রাজনীয় প্যাঁচ পয়জার থেকে অনেক ক্রিকেটার আর ২২ গজে ফিরে আসতে পারেননি। নির্বাচন কমিটির পক্ষপাতহীন হওয়ার উচিত। কিন্তু কোনও কোনও ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। এক ক্রিকেটারকে বিশেষ করে যখন কোনও মেগা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলে নির্বাচন কমিটি, তখন সেই ক্রিকেটারের মনে একটা আশা তৈরি হয়। আর এক লহমায় সেই আশা ভেঙে গেলে — তার থেকে খারাপ কিছু হয় না। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য অম্বাতি রায়ডুকে (Ambati Rayudu) প্রস্তুত হতে বলেছিল বোর্ড। কিন্তু যখন বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা হয়, তাতে নাম ছিল না রায়ডুর। ফলে আইসিসির মেগা ইভেন্টে খেলা হয়নি তাঁর। সে বারের বিশ্বকাপে রায়ডুর বদলে বিজয় শঙ্করকে দলে নেয় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। সম্প্রতি TV9 Telugu-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রায়ডু ২০১৯ এর বিশ্বকাপে তাঁর সঙ্গে নির্বাচকদের সমস্যা নিয়ে জানিয়েছেন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ছেলেবেলায় অন্ধ্রপ্রদেশে খেলতে গিয়েছিলেন অম্বাতি রায়ডু। সেই সময় এমএসকে প্রসাদ অন্ধ্রপ্রদেশের অধিনায়ক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ধরণ, ভাবনা পছন্দ হয়নি রায়ডুর। ফলে তিনি ফিরে আসেন হায়দরাবাদে। ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেট রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন রায়ডু। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ভবিষ্যতেও যার প্রভাব পড়ে। TV9 Telugu-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রায়ডু বলেন, ‘আমার কেরিয়ারের প্রথম দিকে খেলার সময় নির্বাচন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আমার কিছু সমস্যা ছিল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে দলের বাইরে থাকার পেছনে এটা একটা অন্যতম কারণ হতে পারে।’
রায়ডু জানান ২০১৮ সালে তাঁকে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হতে বলা হয়েছিল। মেন ইন ব্লু-র চার নম্বরে নামার জন্য রায়ডুকে তৈরি করা হলেও শেষ মুহূর্তে তাঁকে দলে নেয়নি বিসিসিআই। তাঁর জায়গায় বিজয় শঙ্করকে নেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ বিজয় শঙ্করকে দলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘থ্রি ডাইমেনশন’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। বিসিসিআইয়ের মতে, বিজয় শঙ্কর তিনটি বিভাগেই ভালো পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন। তাই রায়ডুর জায়গায় তাঁকে নেওয়া হয়েছে। এরপর বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ার কারণে হতাশা প্রকাশ করতে এবং নির্বাচকদের উদ্দেশে টুইট করেন রায়ডু। তাতে লেখেন, ‘বিশ্বকাপ দেখার জন্য একটা নতুন থ্রিডি চশমা অর্ডার করেছি।’
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরই সব ধরণের অবসর ঘোষণা করেছিলেন রায়ডু। তারপর তাঁকে আইপিএলে খেলতে দেখা যেত। এ বারের আইপিএলের ফাইনালের দিন অবসর ঘোষণা করেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে খেলে নিয়েছেন রায়ডু।