বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে বিরাটদের অনুশীলন ভাবাচ্ছে শ্রীধর-ভরতকে
ফাইনালের আগে প্রস্তুতির সুযোগ সীমিত কোহলিদের। করোনা কালে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।
নয়াদিল্লি: ১৮ ই জুন সাউদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল (WTC final) খেলবে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভারত (India) ও কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই ইংল্যান্ডে উড়ে যাবেন কোহলিরা। করোনার কারণে সেখানে পৌঁছেই ৭ দিন কড়া কোয়ারান্টিনে কাটাতে হবে রোহিতদের। কোয়ারান্টিনের সময় রাহানেরা অনুশীলন করতে পারবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে, মনে করছেন ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণ (Bharat Arun) ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর (R Sridhar)।
ফাইনালের আগে প্রস্তুতির সুযোগ সীমিত কোহলিদের। এই প্রসঙ্গে ফিল্ডিং কোচ শ্রীধর বলেছেন, “আমরা যতটা সময় পাব, কাজে লাগাব। ওখানে পৌঁছনোর পর, কড়া নাকি হালকা কোয়ারান্টিন কাটাতে হবে আমাদের, তার ওপর নির্ভর করছে সব কিছু। আমার মনে হয় না, আর কোনও বিকল্প রয়েছে। যে সুযোগ পাব, সেটাকেই কাজে লাগিয়ে আমরা ফাইনালে নামব।”
করোনা কালে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। শ্রীধর আরও বলেছেন, “মানসিকভাবে সুযোগসন্ধানী হওয়ার সময় এসেছে। আমাদের একটা অভিজ্ঞ দল ফাইনালে খেলতে চলেছে। সব ক্রিকেটার পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে। তারা ইংল্যান্ডের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেবে। আমার মনে হয়, এই সময় অভিজ্ঞতাই কাজে আসবে। আমাদেরও সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, আমরা নির্দিষ্টভাবে জানি না, অনুশীলনের সুযোগ কতটা পাব।”
শ্রীধর অবশ্য এই কম অনুশীলনের মধ্যেও একটা ভালো দিক দেখতে পাচ্ছেন। তাঁর কথায়, “কখনও কখনও এটি আমাদের পক্ষেই যেতে পারে। কারণ, এই সময় মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়। এটা অনেকটা চোট নিয়ে খেলার মতো পরিস্থিতি। কারও চোট লাগলে সে একটু বেশি সচেতন হয়ে খেলে। তাই অনুশীলনের জন্য সময় কম পাওয়া গেলে, তার মধ্যেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”
আরও পড়ুন: এই ইপিএল খেতাব সেরা, বলছেন গুয়ার্দিওলা
অপর দিকে, বোলিং কোচ অরুণ এই করোনা পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের বাড়িতেই স্পেশাল টাস্ক দিয়েছেন। অরুন বলেছেন, “ক্রিকেটারদের কী করা উচিত, সেই সম্পর্কে তাদের নির্দিষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। তবে হ্যাঁ, যেহেতু এই সময় নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা বাইরে যেতে পারবে না, সবাই দলের সঙ্গে যোগ দিলে কীভাবে সেরা পরিকল্পনা সাজানো যায়, তা আমাদের দেখতে হবে।”
নিউজিল্যান্ড এর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে গিয়ে দুটো টেস্টে খেলে এসেছে। যে অভিজ্ঞতা ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন উইলিয়ামসনরা, এমনটা মনে করেন অরুণ। তাঁর মন্তব্য, “এটা অবশ্যই ওদের পক্ষে। সদ্য ওখানে খেলায়, ইংল্যান্ডের পরিস্থিতির সঙ্গে একটা বোঝাপড়া তৈরি করতে পারবে ওরা। আমাদের ক্ষেত্রে পুরনো অভিজ্ঞতাকেই মনে করতে হবে।”
ঘুরে ফিরে অরুণের মুখেও শ্রীধরের সুর। এই মুহূর্তে তাঁর কাছেও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, ইংল্যান্ডে কোয়ারান্টিন কাটিয়ে ভারতীয় দল কতটা অনুশীলনের সুযোগ পায় সেটাই দেখার। তিনি জানিয়েছেন, কোয়ারান্টিন পর্ব অনুযায়ী সব পরিকল্পনা করা হবে।