IPL 2024 BUZZ: রোহিতের ‘গ্রিন’ সিগন্যালেই কি আটকে ছিল হার্দিকের ফেরা?
Rohit Sharma-Hardik Pandya: রবিবার রাতের দিকে সরকারি ভাবে জানানো হয়, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে ক্যামেরন গ্রিনকে ট্রেডিংয়ে অল-ক্যাশ ডিলে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ততক্ষণে হার্দিকের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরার খবরও চাওড় হয়ে যায়। যদিও সরকারি ভাবে তা ঘোষণা হয় সোমবার দুপুর নাগাদ। গুজরাট টাইটান্সের পক্ষ থেকেও এই ট্রেডিং নিশ্চিত করা হয় সোমবার দুপুরেই। এই টানাপোড়েনের মাঝে প্রশ্ন উঠছে, ট্রেডিংয়ের বিষয়ে কি রাজি ছিলেন না রোহিত? না হলে, এতটা সময় লাগল কেন! ট্রেডিং তো বহু আগেই চালু ছিল!

কলকাতা: আগামী আইপিএলের নিলামের আগে আরও কোনও চমক থাকবে কিনা নিশ্চিত নয়। তবে গত কয়েক দিন কম চমক ছিল না। শিরোনামে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। যে দলে আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল, সেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরে আবেগঘন বার্তাও দিয়েছেন। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা রিটেনশন নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে হার্দিকের নানা ভিডিয়ো পোস্ট হয়েছে। হার্দিককে নিয়ে জল্পনার মাঝে একটা প্রশ্ন কিন্তু উঠছিলই, চিত্রটা হঠাৎ বদলে গেল কেন? তাহলে কি রোহিতের গ্রিন সিগন্যাল মিলছিল না! বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে রিটেনশন ও রিলিজড প্লেয়ারদের তালিকা জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৬ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা অবধি। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বিকেল পাঁচটাই দেখানো হয়। তার আগে থেকেই তালিকা আসতে শুরু করে। সেই রিটেনশন তালিকায় গুজরাট টাইটান্সেই ছিলেন হার্দিক। নামের পাশে ক্যাপ্টেনও লেখা ছিল। তেমনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের লিস্টেও রোহিত শর্মার নামের পাশে ক্যাপ্টেন। হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যাচ্ছেন, এমন খবর গত কয়েক দিন ধরেই ছিল। রিটেনশন লিস্ট প্রকাশ্যে আসার পর সাময়িক স্তব্ধতা আসে। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চিত্রটা বদলে যায়।
রবিবার রাতের দিকে সরকারি ভাবে জানানো হয়, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে ক্যামেরন গ্রিনকে ট্রেডিংয়ে অল-ক্যাশ ডিলে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ততক্ষণে হার্দিকের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরার খবরও চাওড় হয়ে যায়। যদিও সরকারি ভাবে তা ঘোষণা হয় সোমবার দুপুর নাগাদ। গুজরাট টাইটান্সের পক্ষ থেকেও এই ট্রেডিং নিশ্চিত করা হয় সোমবার দুপুরেই। এই টানাপোড়েনেই প্রশ্ন উঠছে, ট্রেডিংয়ের বিষয়ে কি রাজি ছিলেন না রোহিত? না হলে, এতটা সময় লাগল কেন! ট্রেডিং তো বহু আগেই চালু ছিল!
ক্রিকেট মাঠে সকলেই পেশাদার। ক্যামেরার সামনে সব ‘স্বস্তির’ থাকে। পর্দার আড়ালেও তো কিছু থাকতে পারে! গত বছর ইংল্যান্ড সফরে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে ক্যাপ্টেন রোহিতের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হার্দিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন আরও একটি ঘটনা হয়েছিল বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ান ডে সিরিজেও। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের প্রতি হার্দিকের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। টাইটান্সের রিটেনশন লিস্টে হার্দিকের নাম থাকা সত্ত্বেও মাঝে কী করে বদলে গেল পরিস্থিতি! গুঞ্জন, হার্দিককে চাননি রোহিত। তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে শেষ অবধি গ্রিন সিগন্যাল দেন। হার্দিককে নিতেই ছাড়া হয় অজি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে।
হার্দিক ফিরতেই ধোঁয়াশা, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব কে দেবেন! রোহিত শর্মার নেতৃত্বে আইপিএলে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত দু-মরসুম কিন্তু সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি মুম্বই। ব্যাট হাতেও নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছিলেন রোহিত। মুম্বইতে হার্দিক ফিরতেই এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। কে কার নেতৃত্বে খেলবেন? দুটি যুক্তি হতে পারে, রোহিতকে এ মরসুমে অধিনায়ক রেখে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা হতে পারে হার্দিককে। যদিও এই যুক্তি ক্লিশে। হার্দিক যেমন গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন করেছেন তেমনই জাতীয় দলেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আরও একটা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, হার্দিক নেতৃত্ব দেবেন, আর তাঁকে সাহায্য করবেন রোহিত। নেতৃত্বের বোঝা সরিয়ে রোহিতের কাছে ব্যাটিংয়ে ফোকাস করার সুযোগ থাকবে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এগিয়ে চলা মসৃণ করতে দ্বিতীয় যুক্তিকেই জোরালো দেখাচ্ছে। মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট কোন সিদ্ধান্ত নেন, নজর থাকবে সে দিকেই!





