India vs Australia: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিনব দ্বৈরথ, বিশ্বকাপ টিমে কে সুযোগ পাবেন?
Ravichandran Ashwin VS Washington Sundar: চোরা প্রশ্নে ঘোরানো উত্তর। তীক্ষ্ণ প্রশ্নে ঘোলাটে জবাব। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যখন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা ঠিক করা উচিত, তখন মরিয়া হয়ে রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড় খুঁজছেন টিমের ভারসাম্য। যে কেউ বিরক্ত হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন, এতদিন কি কর্মবিরতিতে ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের মস্তিষ্ক? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিনব দ্বৈরথ, বিশ্বকাপ টিমে কে সুযোগ পাবেন?
মোহালি: মাসখানেক আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের টিমে সুযোগ পাওয়া উচিত তিলক ভার্মার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারের। তখন কি আর জানতেন, একমাস পর সেই তাঁকেই বিশ্বকাপের টিমে সুযোগ পাওয়ার জন্য ট্রায়ালে নামতে হবে। যাঁর বিরুদ্ধে নামবেন, তিনি আবার ১০ বছরেরও ছোটো। রবিচন্দ্রন অশ্বিন বনাম ওয়াশিংটন সুন্দরের এই লড়াইয়ের আসল গল্প কী? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ক’দিন পরই শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ। এই সিরিজে ডাক পেয়েছেন দুই অফস্পিনার-অলরাউন্ডারই। যে প্রমাণ করতে পারবেন নিজেকে, তিনি জায়গা পাবেন ভারতীয় টিমে। বিশ্বকাপ ভারতের কাছে নতুন নয়। কিন্তু এই রকম ট্রায়াল ভারতীয় ক্রিকেটে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
বিশ্বকাপের আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি। এশিয়া কাপে হঠাৎই চোট পাওয়া অক্ষর প্যাটেলের বদলি হিসেবে ব্যাকআপ স্পিনার নিতে হবে রোহিত শর্মাদের। অফস্পিনার টিমে না থাকায় যে সমালোচনা চলছিল, তারও পাল্টা উত্তর খাড়া করা যাবে। সেই কারণেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোহালি আর রাজকোটে মূলত লড়াই হতে চলেছে অশ্বিন ও সুন্দরের। নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ বলে দিচ্ছেন, ‘আমার মনে হয় অশ্বিন খানিকটা হলেও এগিয়ে থাকবে। আমার মনেই হয়েছিল, বিশ্বকাপ নিয়ে ভারত যখন থেকে ভাবতে শুরু করবে তখন থেকেই টিমে থাকবে অশ্বিন। অক্ষর যদি রাজকোট ওয়ান ডে-র আগে ফিট হয়ে যায়, তা হলে তো প্রশ্নই রইল না আর। কিন্তু ও ফিট হতে না পারলে, বলতে হবে অশ্বিন আর সুন্দরের এই ট্রায়ালটা খুব আলোচনার বিষয় হয়ে যাবে। যদি ৫০-৫০ ব্যাটিং-বোলিং বিকল্প খুঁজতে হয় তা হলে ওয়াশিংটনকে রাখব। আর যদি পুরোপুরি স্পিন বিকল্প মাথায় থাকে, তা হলে অশ্বিনকে রাখতে হবে।’
হরভজন সিংয়ের মতো স্পিনার আবার কিন্তু অন্য যুক্তি খাড়া করছেন। ভাজ্জির স্পষ্ট কথা, ‘ওয়াশিংটন পাওয়ার প্লেতে ভালো বোলিং করে। দারুণ ফিল্ডার। সেই সঙ্গে ও আবার বাঁ হাতি ব্যাটার। একটা কমপ্লিট প্যাকেজ।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক আবাব বলে দিচ্ছেন, ‘ঘটনা হল, এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। অক্ষরের চোট শাপে বরের মতো করে ভাবা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে একজন অফস্পিনার নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে টিম। এশিয়া কাপে তো অক্ষর কিছুই করতে পারেনি। যে পিচে চরিতা আসালঙ্কাও বল ঘুরিয়ে দিচ্ছে, সেখানে অক্ষর কিছুই করতে পারেনি। প্রশ্ন তাও কিন্তু থেকে যাচ্ছে। এক বাঁ হাতি স্পিনারের বদলে দুই অফস্পিনারকে ডাকা হল কেন? উচিত তো ছিল শাহবাজ আহমেদ কিংবা অভিষেক শর্মার মতো কাউকে ডাকা।’
চোরা প্রশ্নে ঘোরানো উত্তর। তীক্ষ্ণ প্রশ্নে ঘোলাটে জবাব। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যখন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা ঠিক করা উচিত, তখন মরিয়া হয়ে রোহিত-রাহুল খুঁজছেন টিমের ভারসাম্য। যে কেউ বিরক্ত হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন, এতদিন কি কর্মবিরতিতে ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের মস্তিষ্ক? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিনব দ্বৈরথ, বিশ্বকাপ টিমে কে সুযোগ পাবেন?