IPL 2022: কুলদীপের ঘায়ে কুপোকাত কলকাতা, শেষ প্লে-অফের স্বপ্ন
৮টি ম্যাচের পাঁচটি ম্যাচ হারের পর নাইট কর্তারা কি মানবেন, নিলামের টেবিলে তাঁক ভুল করেছিলেন। তারকার পেছনে ছুটতে গিয়ে দলের সঙ্গে ব্যালেন্স নামের শব্দটার পরিচয় করাত ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা।

কলকাতা নাইট রাইডার্স – ১৪৬/৯ (২০)
দিল্লি ক্যাপিটালস – ১৫০/৬ (১৯)
মুম্বই: নাইট রাইডার্সের নাইটমেয়ার। টানা পাঁচটি ম্যাচে হার। আইপিএলে (IPL 2022) প্লে-অফের রাস্তাটাও কার্যত বন্ধ হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders)। ডু অর ডাই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে প্লে-অফে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে কুলদীপ (Kuldeep Yadav) জ্বলে উঠলেন। আলো নিভিয়ে দিলেন নাইট শিবিরের। ৪টি উইকেট নিয়ে একাই শেষ করে দিলেন নাইট শিবিরের ব্যাটিং। ৮টি ম্যাচের পাঁচটি ম্যাচ হারের পর নাইট কর্তারা কি মানবেন, নিলামের টেবিলে তাঁক ভুল করেছিলেন। তারকার পেছনে ছুটতে গিয়ে দলের সঙ্গে ব্যালেন্স নামের শব্দটার পরিচয় করাত ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা। যে কুলদীপ কলকাতার রিজার্ভ বেঞ্চের শোভা হয়ে উঠেছিলেন সেই কুলদীপ নাইটদের সব থেকে বড় ভরসা রাসেলকে বোকা বানিয়ে প্যাভেলিয়ানে ফেরালেন। তার সঙ্গে আছে আরও তিনটি উইকেট। আর কলকাতার উমেশ (Umesh Yadav) ছাড়া বাকিদের দেখে মনে হয়নি ম্যাচ জেতার চেষ্টা করছেন বলে। ফলাফলটাও তাদের সঙ্গে থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক।
A return to winning ways for the Delhi Capitals! ? ?
The Rishabh Pant-led side beat #KKR by 4 wickets & seal their 4⃣th win of the #TATAIPL 2022. ? ?
Scorecard ▶️ https://t.co/jZMJFLuj4h #DCvKKR pic.twitter.com/QCQ4XrJn0P
— IndianPremierLeague (@IPL) April 28, 2022
টস জিতে প্রথমে বন্ধু শ্রেয়সের দলকে ব্যাটিং করতে পাঠালেন পন্থ। কলকাতা নাইট রাইডার্স শুরু থেকেই বেসামাল। দলে তিনটি পরিবর্তন করেও ব্যাটিংয়ের হাল বদল হয়নি। ফিঞ্চ আউট ৩ রানে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার পেলেন ৬ রান। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাবা ইন্দ্রজিত্ ৬, সুনীল নারিল ০, রাসেল ০। গোটা ব্যাটিং লাইনআপে মাত্র তিন জন ব্যাটার দুই সংখ্যার রানে পৌঁছতে পারলেন। শ্রেয়স আইয়ারেপ ৪২ ও নীতিশ রানার ৫৭ ও রিঙ্কু সিংয়ের ২৩ রানে ভর করে ১৪৬ পর্যন্ত পৌঁছল নাইটদের ইনিংস। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে আজ রাগ মেটালেন কুলদীপ। একটি ওভারে ইন্দ্রজিত্ ও নারিন, আর একটি ওভারে শ্রেয়স ও রাসলকে ফিরিয়ে নাইটদের কোমর ভেঙে দেন কুলদীপ। মাত্র ৩ ওভার হাত ঘুড়িয়ে ১৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট কুলদীপের ঝুলিতে। ৩টি উইকেট মুস্তাফিজুরের।
জবাব দিতে নেমে দিল্লিও একই রকম খারাপ শুরু করল। প্রথম বলেই উমেশের বলে তাঁর হাতেই ধরা পরে গেলেন পৃথ্বী। দ্বিতীয় ওভারে মিচেল মার্শকে ফেরালেন হর্শিত রানা। ১৭ রানে ২ উইকেট হারানো দিল্লিকে সামলালেন ওয়ার্নার ও ললিত। দশম ওভারে ৪২ রানে ওয়ার্নারকে ফেরালেন উমেশ। কিন্তু ম্যাচ তখন অনেকটাই দিল্লির দখলে। ১০ ওভারে ম্যাচ জিততে ৬৪ রান প্রয়োজন ছিল ঋষভদের। কিন্তু ম্যাচে টুইস্ট তখনও বাকি। দুই ওভারের মধ্যে নারিন ও উমেশ পরপর ফিরিয়ে দিলেন ললিত ও পন্থকে। ব্যাকফুটে দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচ জমজমাট। ১৫ নম্বর ওভারে বল করতে এলেন রাসেল। ১৪ রান দিলেন ওভারে। ম্যাচটা হাতের বাইরে বেড়িয়ে গেল। যদিও ওভারের শেষ বলে অক্ষর প্যাটেলের উইকেট পাওয়া গেল। তবে তখনও ক্রিজে রোভমান পাওয়েল। অক্ষর আউট হতেই আর সময় নষ্ট করলেন না তিনি। ব্যাট চালাতে শুরু করলেন। ম্যাচটাও নিয়ে গেলেন। তাঁর ১৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটা নাইটরাইডার্সের স্বপ্ন ভাসিয়ে দিল আরব সাগরে। ৪২ রান ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন : Ben Stokes: প্রত্যাশা মতোই ইংল্যান্ডের টেস্ট টিমের নতুন নেতা হলেন বেন স্টোকস





