DC vs SRH : মার্শ-অভিষেকের সমানে সমানে টক্কর! ট্র্যাজিক নায়ক কী বলছেন?
Delhi Capitals vs Sunrisers Hyderabad Post Match : মিচেল মার্শ আরও বলছেন, 'আমার মনে হয়, বোলিংয়ে আমরা অন্তত ২০টা বেশি দিয়েছি। ব্য়াটিংয়ে, সল্টের সঙ্গে আমার জুটি ভাঙতেই দ্রুত উইকেট হারাই। বড় রান তাড়া করতে গেলে এমনটা হতেই পারে। শুধু এই ম্য়াচই নয়। এ বার বেশ কিছু ক্লোজ ম্য়াচ হেরেছি আমরা। হয়তো এত প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যই বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট আইপিএল।'
দীপঙ্কর ঘোষাল : বেশ কিছু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের নমুনা দেখা গেল দিল্লি ক্য়াপিটালস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্য়াচ। আলাদা করে কোনও পারফরম্য়ান্সকে সেরা বেছে নেওয়া কঠিন। সানরাইজার্স শিবিরে অভিষেক শর্মার ৩৬ বলে ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। হেনরিখ ক্লাসেনের হাফসেঞ্চুরি। দিল্লি শিবিরে মিচেল মার্শের ৪ ওভারে একটি মেডেন সহ ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট! দিল্লির ব্য়াটিংয়েও মার্শের অবদান অনস্বীকার্য। ফিল সল্টের সঙ্গে শতরানের জুটি। ৩৯ বলে ৬৩ বলের ইনিংস মার্শের। ফিল সল্ট করেন ৩৫ বলে ৫৯ রান। ভালো কিছু পারফরম্য়ান্সের পরও একটি দলই জিতত। শেষ অবধি জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ট্র্য়াজিক নায়ক হয়েই থেকে গেলেন দিল্লি ক্য়াপিটালসের অলরাউন্ডার। ম্য়াচের সেরার পুরস্কার জিতে মিচেল মার্শের মুখে হাসিটা বড্ড ফিকে। কেনই বা হবে না। দল হারলে ব্য়ক্তিগত পারফরম্য়ান্স আর গুরুত্ব রাখে কি? জয়ের হ্য়াটট্রিকের সামনে থেকে ফের হার। কী বলছেন মিচেল মার্শ? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গত মরসুম থেকে সানরাইজার্সকে টানা হারিয়ে এসেছে দিল্লি ক্য়াপিটালস। এ বারও প্রথম ম্য়াচে জিতেছিল। অবশেষে ধাক্কা। মাত্র ৯ রানের জন্য় জেতা হল না। ম্যাচের সেরা দিল্লি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ বলছেন, ‘আমাদের কাছে হতাশার হার। ফিল সল্টের সঙ্গে জুটিটা খুব ভালো হয়েছিল। হতাশার বিষয়, ম্য়াচ জেতার জন্য সেটাও যথেষ্ঠ ছিল না। পাওয়ার প্লে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিচ ক্রমশ মন্থর হচ্ছিল। ফলে শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন ছিল।’
রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারায় দিল্লি। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৬৬ বলে ১১২ রান যোগ করেন ফিল সল্ট ও মিচেল মার্শ। এই জুটি ভাঙেন সানরাইজার্সের স্পিনার মায়াঙ্ক মার্কন্ডে। ফিল সল্ট ফিরলেও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মার্শ। উল্টোদিক থেকে মণীশ পান্ডে ফিরতেই মার্শের ওপর বাড়তি চাপ বাড়ে। বাঁ হাতি স্পিনার আকিল হোসেন মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে দিল্লি শিবিরে বড় রকমের ধাক্কা দেন। নিয়মিত ব্য়বধানে উইকেট হারাতে থাকে। সপ্তম উইকেটে মাত্র ১৯ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি অক্ষর প্য়াটেল ও রিপল প্য়াটেলের। তবে ৯ রানে হার। মিচেল মার্শ আরও বলছেন, ‘আমার মনে হয়, বোলিংয়ে আমরা অন্তত ২০টা বেশি দিয়েছি। ব্য়াটিংয়ে, সল্টের সঙ্গে আমার জুটি ভাঙতেই দ্রুত উইকেট হারাই। বড় রান তাড়া করতে গেলে এমনটা হতেই পারে। শুধু এই ম্য়াচই নয়। এ বার বেশ কিছু ক্লোজ ম্য়াচ হেরেছি আমরা। হয়তো এত প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যই বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট আইপিএল।’