AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Team India Journey: ‘সব ভালো যার শেষ ভালো’, হল না…

ICC world Cup 2023, IND vs AUS Final: ভারতীয় দলের অনেকে প্রথম বিশ্বকাপ খেললেন। প্রথম সুযোগেই ফাইনালের স্বাদ পেলেন। আবার অনেকে শেষ বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মঞ্চে নেমেছিলেন দেশের জার্সিতে। স্বপ্ন ছিল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠার পর এমন প্রত্যাশা অলীক নয়। তবে শেষ তো ভালো হল না। অনেকে আরও সুযোগ পাবেন বিশ্বজয়ের। কেউ বা বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করবেন।

Team India Journey: 'সব ভালো যার শেষ ভালো', হল না...
Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 8:00 AM
Share

আমেদাবাদ: উচ্ছ্বাসে দৌড়ছেন বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মা কোলে তুলে নিচ্ছেন সামিকে। রোনাল্ডোর সিউউউউ সেলিব্রেশনে মাতছেন মহম্মদ সিরাজ। কিংবা জসপ্রীত বুমরা মাথার পাশে আঙুল ঠেকিয়ে র‌্যাশফোর্ডের মতো সেলিব্রেশন করছেন। জাডেজা আঙুল দিয়ে বন্দুক চালাচ্ছেন। এমন কত কত মুহূর্ত। গত দেড় মাস এগুলো দেখতেই অভ্যস্ত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। রবিবার রাতে এর চেয়েও হাজারো রঙিন মুহূর্ত তৈরি হবে, এই প্রত্যাশাই ছিল। কিন্তু শেষটা যে ভালো হল না! টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। যে মুহূর্তটা কেউ দেখতে চাননি, সেটাই দেখতে হল। কেমন গেল ঘরের মাঠে তেইশের বিশ্বকাপ সফর? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

দেখে নিন সেই সফর

  1. ৮ অক্টোবর, ২০২৩ – বিশ্বকাপ আগেই শুরু হলেও, ভারতের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ৮ অক্টোবর। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে নতুন স্বপ্নের শুরু। চেন্নাইয়ে প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। লো স্কোরিং ম্যাচে প্রবল চাপ থেকে ৬ উইকেটের অনবদ্য জয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল ভারতের।
  2. ১১ অক্টোবর, ২০২৩ – দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে লিগ পর্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। নিজের নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডের সামনে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নামেন কিং কোহলি। আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলি এবং আফগান পেসার নবীন উল হকের সন্ধির মুহূর্তে ভালোবাসার আবহ।
  3. ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ – তেইশের বিশ্বকাপে এই ম্যাচেরই অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। ওডিআই বিশ্বকাপে ৮-০ ভারত। পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিলেন রোহিতরা।
  4. ১০ অক্টোবর, ২০২৩ – ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচও কম রুদ্ধশ্বাস হয় না। আবেগের দিক থেকেই। পুনেতে লিগ পর্বের ওই ম্যাচ ভারতের কাছে অস্বস্তিও ছিল। চোট পান অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। সেঞ্চুরি করেছিলেন কিং কোহলি।
  5. ২২ অক্টোবর, ২০২৩ – বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল উপমহাদেশের। সবচেয়ে কঠিন ছিল যেন পঞ্চম ম্যাচ। শক্ত গাঁট নিউজিল্যান্ড। ধরমশালায় প্রত্যাবর্তন মহম্মদ সামির। দীর্ঘ ২০ বছরের হতাশা দূর হয়। ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে কিউয়িদের ৪ উইকেটে হারায় ভারত।
  6. ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ – লখনউতে শেষ হাসি হেসেছিল ভারতই। প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান তাড়ায় জয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে চাপে পড়ে ভারত। বোর্ডে মাত্র ২২৯ রান। সেই রান নিয়েও বিধ্বংসী বোলিং। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে একশো রানের বিরাট ব্যবধানে হারায় ভারত।
  7. ২ নভেম্বর, ২০২৩ – এশিয়া কাপ ফাইনালের পর মুম্বইয়ের ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বাড়তি নজর ছিল। এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৫০ রানে অলআউট করেছিল ভারত। লিগ পর্বের ওই ম্যাচে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা অলআউট ৫৫ রানে! শ্রীলঙ্কাকে ৩০২ রানের রেকর্ড ব্য়বধানে হারায় ভারত।
  8. ৫ নভেম্বর, ২০২৩ – প্রথম সাত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লিগের অষ্টম ম্যাচে কোনও পরীক্ষার পথে হাটেনি ভারত। ইডেন গার্ডেন্সে জন্মদিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার সচিনকে ছুঁয়েছিলেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৩ রানে হারিয়েছিল ভারত।
  9. ১২ নভেম্বর – লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস। ষষ্ঠ বোলারের জন্য মহড়া দেখা গিয়েছিল। বিরাট, রোহিত উইকেট নেন। ডাচদের ১৬০ রানে হারায় ভারত। নয়ে নয় করেই নকআউটে।
  10. ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ (সেমিফাইনাল-১) – বছর চারেক আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টারে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড। তেইশেও সেমিফাইনালে ফের মুখোমুখি। সামির সুপার সেভেনে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারায় ভারত। প্রথম ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করে।
  11. ১৯ নভেম্বর, ২০২৩- বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় বার বিশ্বসেরা হওয়ার লক্ষ্যে নেমেছিল ভারত। প্রতিপক্ষ ছিল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং ব্যর্থতা, স্নায়ুর চাপ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটের হার। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ঘরের মাঠে এক যুগ পর ফাইনালে উঠেও।