IND vs BAN, 1st Test: শীঘ্রই সেঞ্চুরি পাবেন, আশাবাদী চেতেশ্বর পূজারা
Cheteshwar Pujara: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ২০৩ বলে ৯০ রান করেছেন চেতেশ্বর পূজারা। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন।
চট্টগ্রাম: ফুটবল বিশ্বকাপের মাঝেই হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের ওয়ান ডে সিরিজ। আজ থেকে শুরু হল এই দুই দেশের মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও দলই চাপে থাকে। চট্টগ্রামে উল্টে তাজিজুল ইসলাম, মেহদি হাসান মিরাজদের স্পিনের দাপট দেখা গেল। ভারতকে শুরু থেকেই ধাক্কা দিতে থাকে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচে বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করলেও, প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হলেন বিরাট। শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, চেতেশ্বর পূজারাদের (Cheteshwar Pujara) দৌলতে প্রথম দিনটা কোনও রকমে সামাল দিল ভারত। প্রথম দিনের খেলার শেষে এসে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা সহ-অধিনায়ক পূজারা জানিয়ে গেলেন, প্রথম দিন তুলনামূলক ভাবে দল কিছুটা কম রান করেছে। প্রেস কনফারেন্সে আর কী কী বললেন পূজারা, তুলে ধরল TV9Bangla।
দল থেকে বাদ পড়ার নয় মাসের মধ্যে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা। কাউন্টিতে তাঁকে দুর্ধর্ষ ফর্মে দেখা গিয়েছিল। সেই ছন্দই তিনি সাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে ধরে রেখেছেন। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন পূজারা। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন লোকেশ রাহুলের ডেপুটি চেতেশ্বর পূজারা। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই পিচে ব্যাটিং করাটা সহজ নয়। আমি খুশি যেভাবে আজ আমি ব্যাটিং করেছি। ওদের এই পিচে জেতার সুযোগ ছিল। আমাদের বোর্ডে সেই সময় রান জড়ো করাটাই প্রয়োজন ছিল। আমার সঙ্গে শ্রেয়সের যে পার্টনারশিপটা ছিল, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর একটা পার্টনারশিপ গড়ার প্রয়োজন ছিল। ঋষভের সঙ্গে আমি যে পার্টনারশিপ গড়েছিলাম সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিন অঙ্কের সংখ্যার রানে পৌঁছতে না পেরে চিন্তিত ছিলাম না। নিজের ব্যাটিংটা উপভোগ করেছি। আমি জানি আর এভাবে পারফর্ম করতে পারলে সেঞ্চুরি আসবেই। দলের জন্য যে ৯০ রান করেছি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ১০ রান কম করেছি বলে, সেঞ্চুরিটা এল না ঠিকই। কিন্তু আমি আশাবাদী সেঞ্চুরি শীঘ্রই পাব।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৬ উইকেটে ২৭৮। প্রথম দিন ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলাটা কি চাপের হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে পূজারা বলেন, “এই পিচে প্রথম দিন ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলাটা খুব খারাপ নয়। স্কোরবোর্ডে নজর রাখলে দেখা যায় মোটামোটি একটা স্কোর খাঁড়া করতে পেরেছি। ৪-৫ জন আউট হলেও চলত। তবে আমার মনে হয়, এই পিচে ৩৫০ করতে পারলে ভালো হত। স্পিনারদের জন্য টার্ন ছিল। আমাদের তিন স্পিনার রয়েছে দলে। এই পিচে ব্যাট করা মোটেও সহজ নয়। প্রথম-দ্বিতীয় ওভার থেকেই বাউন্স দেখা গিয়েছে। দ্বিতীয় নতুন বলেও বাউন্স পাওয়া গিয়েছে।”
এই পিচ রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং একথা বলতে ভোলেননি পূজারা। তাঁর কথায়, “কিছু বল টার্ন করছিল। এই পিচে প্রতিটা বলই টার্ন করতে পারে। তাই এখানে ব্যাট করে যাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। বোলাররা পরের দিকে ক্লান্ত হয়ে যায়। এই রকম পিচে প্রথম ২০-৩০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেমন পিচে খেলছি এক বার বুঝতে পারলে সেটা সহজ হয়। ব্যাটার হিসেবে পিচ বুঝে যাওয়ার পর রিল্যাক্স করলে কিন্তু চলে না।”
কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা বেশ সাহায্য করেছে পূজারাকে। এ ব্য়াপারে তিনি বলেন, “কাউন্টি ক্রিকেটে খেলাটা আমাকে সাহায্য করেছে। ওখানে খেলার অভিজ্ঞতাটা আমার বেশ কাজে লেগেছে। গত বছরে সাসেক্সে যেভাবে খেলেছি, শুধু সেটাই সাহায্য করেছে তা নয়। এর আগেও কাউন্টিতে খেলাটা আমার ম্যাচে সাহায্য করেছে।”
ঋষভ পন্থের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি বাঁধেন পূজারা। এরপর শ্রেয়সের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৪৯ রানের পার্টনারশিপ পূজ্জির। পন্থের পরিকল্পনা নিয়ে পূজারা বলেন, “ঋষভের স্ট্র্যাটেজি খুব সহজ। আমাদের পার্টনারশিপ এক বার তৈরি হয়ে গেলে বোলারদের চাপ হয়ে যায়। আমরা তখন খোলা মনে খেলতে পারি। আমিও কিছু লুজ বল পেয়ে যাই। ওর সঙ্গে পার্টনারশিপটা উপভোগ করি। ও নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছে। যেটা দলকেও সাহায্য করে।” দিনের শেষে ৮২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন শ্রেয়স। পূজারা বলেন, “আগামীকাল শ্রেয়সের জন্য এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।”