David Miller: চাপ সামলানোর নতুন রাস্তাই পাল্টে দিয়েছে এই প্রোটিয়া ব্যাটারকে
আইপিএলের ফর্মেই কি দেখা যাবে তাঁকে? ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাবই তুলে ধরতে চান তিনি। এই ডেভিড মিলারই হয়তো কাঁটা হয়ে উঠবেন লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়াদের।

নয়াদিল্লি: এক দশক আগের মতো এখনও একই তাগিদ নিয়ে নামেন ম্যাচ খেলতে। শুধু সাফল্য খোঁজার রাস্তাটা পাল্টে ফেলেছেন। আর সেটা আইপিএলেই (IPL 2022) প্রমাণ করে দিয়েছেন। ৫ ম্য়াচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে (India vs South Africa 2022) তিনিই হতে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা অস্ত্র। ভারতের কাঁটাও। মাঠে নেমে পড়ার আগে সেই ডেভিড মিলার (David Miller) কিন্তু খোলসা করে দিলেন তাঁর সাফল্যের মন্ত্র। যে মন্ত্রে চ্যাম্পিয়ন করেছেন গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans)। আইপিএলের নতুন টিমের হয়ে ৪৮১ রান করেছেন। ইডেনে প্রথম প্লে-অফে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন মিলার। আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা যে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কাজে লাগবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
মিলার বলে দিচ্ছেন, ‘মিডল অর্ডারে যেই ব্যাট করুক না কেন, তার লক্ষ্য থাকে ম্যাচটা শেষ করে আসা। আইপিএল শুরুর আগে আমিও সেটাই নিজের সামনে লক্ষ্য হিসেবে রেখেছিলাম। সেই কারণেই কিছুটা রান করতে পেরেছি। আমি অন্য রকম কিছু করিনি। দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা থেকে পরিণত বোধ তৈরি হয়ে যায়। সেই কারণেই আমি এখন নিজের খেলাটা বুঝতে পারি। তবে এটা স্বীকার করতে হবে, আমি আজও নার্ভাস হয়ে যাই। মাথায় নানা রকম নেতিবাচক দিকগুলো ঘোরাফেরা করে। নিজের খেলাটা বুঝতে পারি বলেই চাপটা সামলে দিতে পারি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১০০তম ম্যাচ খেলে ফেলবেন এ বার। সিনিয়র হিসেবে টিমের মধ্যে খুশির হাওয়া ধরে রাখার চেষ্টা করেন। যাতে সবাই নিজের সেরাটা দিতে পারেন। মিলারের কথায়, ‘আমি সব সময় ড্রেসিংরুমে একটা খুশির হাওয়া ধরে রাখার চেষ্টা করি। তরুণ প্লেয়াররা যাতে সেরাটা দিতে পারে। ওদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া যেমন একটা ব্যাপার, তেমনই ওদের মানসিকতা বোঝার চেষ্টাও করি।’
আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করাটা কি কোনও ভাবে চাপে রাখবে মিলারকে? তা অবশ্য তিনি মনে করছেন না। ‘আইপিএলে ভালো খেলার জন্য আমার উপর বাড়তি চাপ থাকবে না। দেশের হয়ে যত ম্যাচ খেলেছি, জুনিয়র কিংবা সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে দেখেছি, একটা চাপ সব সময় থাকে। এটা বদলাবে না। কিন্তু সিনিয়র হিসেবে এই পরিস্থিতিগুলো সহজে সামলাতে পারি এখন।’





