South Africa vs Afghanistan: সেমিফাইনালে আফগানদেরও স্লোগান, ‘দিস টাইম ফর আফ্রিকা’!
ICC T20 World Cup 2024: দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান দু-দলের কাছেই প্রথম বার ফাইনালে ওঠার হাতছানি। যদিও কাজটা সহজ নয়। কারও জন্যই। অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। তাদের টিমও কাগজে কলমে অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও তো তাই ছিল! সে কারণেই আফগানিস্তান শিবির স্বপ্ন দেখা ছাড়ছে না।
দিস টাইম ফর আফ্রিকা…! ভুলে যাওয়ার মতো গান নয়। শুধু গান বলাটাও যেন ভুল। ২০১০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে সময়ই শাকিরার এই গান। বিশ্বকাপের জন্যই। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে এই স্লোগান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট টিম। অতীতে বারবার সেমিফাইনালেই আটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দিস টাইম ফর আফ্রিকা স্লোগানেও কাজ হয়নি। ভারতেও সেমিফাইনালেই বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি। দু-ফরম্যাট মিলিয়ে এর আগে সাত বার সেমিফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অষ্টম সুযোগে এই বাধা পেরনোই লক্ষ্য। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। তারাও প্রথম বার সেমিফাইনালেই উঠেছে। ফাইনাল দূর অস্ত। কিন্তু আফগানিস্তান শিবিরেও যেন সেই স্লোগান। ওয়ান ডে বিশ্বকাপ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। একের পর এক কারনামা আফগানিস্তানের। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো টিমকে।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড এবং সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে আফগানরা। ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। তাদের স্লোগানের অর্থ অবশ্য আলাদা। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর, ‘দিস টাইম ফর আফ্রিকা’। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পালা। টুর্নামেন্টের শুরুতে কেউই প্রত্যাশা করেনি আফগানিস্তান সেমিফাইনালে উঠবে। একটু ভুল হল। ক্রিকেটের একজন সুপারস্টার কিন্তু তালিকায় রেখেছিল। ব্রায়ান লারা। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পর সে কারণেই অধিনায়ক রশিদ খান বলেছিলেন, লারাকে বিশেষ ধন্যবাদ। একমাত্র তিনিই আমাদের উপর ভরসা রেখেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান দু-দলের কাছেই প্রথম বার ফাইনালে ওঠার হাতছানি। যদিও কাজটা সহজ নয়। কারও জন্যই। অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। তাদের টিমও কাগজে কলমে অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও তো তাই ছিল! সে কারণেই আফগানিস্তান শিবির স্বপ্ন দেখা ছাড়ছে না। বিশেষ করে বোলিং আক্রমণ। দক্ষিণ আফ্রিকার যেমন পাওয়ার হিটার রয়েছে, তেমনই আফগান শিবিরে রশিদ খান-মহম্মদ নবি এবং চায়নাম্যান নুর আহমেদের মতো স্পিনার।
আফগানিস্তানের দুই পেসার এক্সপ্রেস গতির না হলেও দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। ফজলহক ফারুকি এবং নবীন উল হক। সঙ্গে গুলবদিন নায়েব, আজমতুল্লা ওমরজাইয়ের মতো দুই মিডিয়াম পেসারও রয়েছেন। একটা বিষয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে রাখা যায়। অভিজ্ঞতা। বড় মঞ্চে যা সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্নায়ুর চাপ সামলে ভালো পারফর্ম করা। অতীত ভুল থেকে শেখা। আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন প্লেয়ারের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুবাদে সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে টিম হিসেবে নেই। এই একটা বিষয় হয়তো ব্যাকফুটে রাখতে আফগানিস্তানকে। কিন্তু টুর্নামেন্টে একের পর এক ইতিহাস গড়া এবং জয়ের তাগিদে সেই বাধা টপকানোই লক্ষ্য থাকবে রশিদ খানদের। আর সেই স্লোগান- ‘দিস টাইম ফর আফ্রিকা’।
প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সকাল ৬টা