পন্থই ভবিষ্যৎ, মানতে দ্বিধা কোথায়!

সেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে এই প্রশ্নটা নিয়ে তুলকালাম হচ্ছে। ঋষভ পন্থ কি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান? নাকি, শুধু ব্যাটসম্যান? ইংল্যান্ডের সিরিজের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর সবাই পেয়ে গেছে!

পন্থই ভবিষ্যৎ, মানতে দ্বিধা কোথায়!
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 5:26 PM

শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়

সেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে এই প্রশ্নটা নিয়ে তুলকালাম হচ্ছে। ঋষভ পন্থ কি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান? নাকি, শুধু ব্যাটসম্যান? ইংল্যান্ডের সিরিজের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর সবাই পেয়ে গেছে! অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ টেস্টটা ও একা হাতে জিতিয়েছিল ভারতকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ব্যাটে রান আছে। অর্থাৎ, পন্থ শুধু যে বাউন্সি উইকেটে রান করতে পারে, তা ঠিক নয়। ও এখন অনেক পরিণত। যে কোনও পিচে রান করার ক্ষমতা রাখে। যেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, কিপার পন্থও এখন অনেক উন্নতি করেছে। আমরা বলি, কিপারের আসল পরীক্ষা হল স্পিনিং ট্র্যাকে। বল যখন লাট্টুর মতো ঘোরে, তখনই একজন কিপারের গুণাগুণ বিচার হয়। সেটা যদি দেখি, তা হলে চিপকের দ্বিতীয় টেস্ট এবং মোতেরায় পন্থ অবিশ্বাস্য কিপিং করেছে। কয়েকটা ক্যাচ তো অনবদ্য। আসলে সময় দিতে হয় সবাইকে। পন্থের হয়তো একটু বেশিই সময় লাগল। দেরিতে হলেও পন্থই যে ভবিষ্যৎ, সেটা কিন্তু ও প্রমাণ করছে।

আরও পড়ুন: পিকে-চুনীকে সম্মান মোহনবাগানের

পন্থকে নিয়ে ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের প্রিভিউ শুরুর করার কারণই হল মোতেরায় আর একটা একপেশে ম্যাচই হতে চলেছে। যা খবর পেলাম, তাতে মোতেরার পিচে ঘূর্ণিই থাকবে। অর্থাৎ, অশ্বিন, অক্ষর, ওয়াশিংটনদের স্পিনের মুখে আরও একবার হাঁসফাঁস করবে রুটের টিম। রুট নিজে ছাড়া আর বাকিরা স্পিন তেমন খেলতে পারে না কেন, তা নিয়েই আগামী পাঁচটা দিন আলোচনা করব। আর দেখব, ভারতীয় স্পিনাররা পর পর উইকেট তুলে নিচ্ছে। সোজা কথা, এই টেস্টটাতেও বিরাটের টিমই ফেভারিট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে গেলে ভারতকে চতুর্থ টেস্ট ড্র করলেই চলবে। বিরাটরা যে ফর্মে আছে, তাতে মনে হয় না ড্র নিয়ে ভাববে। সরাসরি জিতেই ফাইনালে ওঠার ছক তৈরি রাখবে রাহানেরা।

একটাই ব্যাপার নিয়ে ভাবছি, ভারতীয় টিমের বোলিং ইউনিটটা কী হবে? বুমরা ব্যক্তিগত কারণে শেষ টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় ওর জায়গায় টিমে আসতে পারে ফিট হয়ে ওঠা উমেশ। অন্য পেসার হিসেবে থাকছে ইশান্ত। তার মানে, দুই পেসার, তিন স্পিনারে যাবে ভারত? আমার তো মনে হয়, একটা পেসারই যথেষ্ট। বরং চার স্পিনারে চলে যেতে পারে ভারত। কুলদীপকে সে ক্ষেত্রে টিমে নেওয়া যেতে পারে। কারণ, তৃতীয় টেস্টের দিকে তাকালে কিন্তু দেখা যাবে পেসাররা সে ভাবে বলই করেনি। অশ্বিন, অক্ষরই শেষ করে দিয়েছিল ইংলিশ টিমকে। মোতেরাতে আবার যদি তেমনই পিচ হয়, তা হলে একটা বাড়তি স্পিনার খেলানোই যুক্তিযুক্ত হবে।

রুটের ইংল্যান্ডকে নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রথম টেস্ট বাদ দিলে ভারতের বিরুদ্ধে ওরা দাঁড়াতেই পারেনি। আর সেটাও হয়েছিল রুটের দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরির জন্যই। পরের দুটো ম্যাচে বাকিরা কেউই টিমের ভরসার মুখ হয়ে উঠতে পারেনি। শেষ টেস্টটা সে দিক থেকে দেখলে ওদের কাছেও ঘুরে দাঁড়ানোর। এই টেস্ট যদি কোনও ভাবে জিতে যায় ইংল্যান্ড, তা হলে আবার ভারতের বদলে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে চলে যাবে। স্টোকসরা নিজেদের সম্মান বাঁচানোর জন্য এটুকু অন্তত করতে চাইবে।