khaleel Ahmed: পড়াশোনা ছেড়ে ক্রিকেট! খেলতে গেলেই বেল্ট দিয়ে পেটাতেন বাবা
Delhi Capitals, IPL 2023: আবারও একবার আইপিএল জেতার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামবে দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লি টিমে এমন একজন খেলোয়াড় রয়েছেন যাঁকে তাঁর বাবা ক্রিকেট খেলার জন্য় বেল্ট দিয়ে মারতেন। তারপরও ক্রিকেট বন্ধ করেননি তিনি।
নয়াদিল্লি: দিল্লি ক্যাপিটালস তার নিয়মিত অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে ছাড়াই ২০২৩ আইপিএলে পা রাখতে প্রস্তুত। দলে অনেক চমৎকার বিদেশি জোরে বোলার রয়েছে। তবে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব গিয়ে পড়বে খলিল আহমেদের (khaleel Ahmed) উপর। ২৫ বছরের খলিল দলের প্রধান ভারতীয় ফাস্ট বোলার। ২০১৮ সালে আইপিএল (IPL 2023) অভিষেক হওয়া খলিল সে বারই ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন। যদিও তিনি ২০২৯ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি। জাতীয় দলে ব্রাত্য এই বোলার আইপিএলের গত মরসুমে চমকে দিয়েছিলেন। এ বারও দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) জার্সি গায়ে কামাল দেখাতে প্রস্তুত। মাঠে নামার আগে এক সাক্ষাৎকারে খলিল জানিয়েছেন, কীভাবে পরিবারের বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।
খলিল আহমেদের পক্ষে ক্রিকেটার হওয়া মোটেও সহজ ছিল না। রাজস্থানের জয়পুর জেলার আধাশহর টঙ্ক। সেখানকার বাসিন্দা খলিলের বাবা খুরশিদ আহমেদ ছিলেন একজন কম্পাউন্ডার। তিনি ইচ্ছে ছিল, ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু খলিলের স্বপ্ন ছিল অন্য। যাবতীয় স্বপ্ন তাঁর ক্রিকেটকে ঘিরে। পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য খলিলকে বিস্তর বকা খেতে হয়েছে। এমনকি অনেক সময় তাঁকে বেল্ট দিয়েও মারধর করা হত। খলিল সম্প্রতি আকাশ চোপড়ার সঙ্গে কথোপকথনে বলেন, “আমার তিন বড় বোন এবং আমার বাবা টঙ্ক জেলায় একজন কম্পাউন্ডার ছিলেন। তাই বাবা যখন তার কাজে যেতেন, আমাকে মুদি, দুধ বা সবজি কিনতে যাওয়ার মতো কাজ করতে হতো। আমি খেলতে যেতাম। খেলতে যাওয়ার মানে বাড়ির কাজ করা যায় না।”
বাঁহাতি ফাস্ট বোলার আরও বলেন, “আমার মা আমার বাবার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করতেন। তারপর বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, কোথায় ছিলাম? আমি বেশিরভাগ মাঠে থাকতাম। শুনে বাবা খুব রাগ করতেন। কারণ আমি পড়াশোনা করিনি এবং চাকরিও করিনি। বাবা আমাকে বেল্ট দিয়ে মারতেন। শরীরে দাগ রয়ে গিয়েছে। আমার বোনেরা রাতে ওই ক্ষতের চিকিৎসা করত।”
আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন খলিল আহমেদ। ৪৮ উইকেট রয়েছে। গত মরসুমে তিনি ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন। এই মরসুমে ভালো করলে তিনি জাতীয় দলে কামব্যাক হতে পারে তাঁর। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন খলিল। এখনও পর্যন্ত ১১টি ওডিআই এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর হাতে যথাক্রমে ১৫ ও ১৩টি উইকেট রয়েছে।