IPL: আইপিএলের মঞ্চে রাতারাতি তারকা, সেই তাঁদেরই আর কেউ মনে রাখেনি!

IPL Throwback: অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলে রাতারাতি লাইমলাইটে চলে এসেছেন। কিন্তু ফর্ম ধরে রাখতে না পারায় অচিরেই হারিয়েও গিয়েছেন তাঁরাই।

IPL: আইপিএলের মঞ্চে রাতারাতি তারকা, সেই তাঁদেরই আর কেউ মনে রাখেনি!
আইপিএলে খেলে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েও অচিরেই হারিয়ে গিয়েছেন যাঁরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2023 | 1:31 PM

নয়াদিল্লি: তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতিভা প্রদর্শন করার অন্যতম সফল মঞ্চ হয়ে উঠেছে আইপিএল (IPL)। দেশ বিদেশের অনেক ক্রিকেটারই ভারতের এই কোটিপতি লিগে খেলার স্বপ্ন দেখেন। যাঁরা সুযোগ পান, তার সদ্ব্যবহার করেন। অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলে রাতারাতি লাইমলাইটে চলে এসেছেন। কিন্তু ফর্ম ধরে রাখতে না পারায় অচিরেই হারিয়েও গিয়েছেন তাঁরাই। TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে জেনে নিন আইপিএলে খেলা এমন ৫ ক্রিকেটার, যারা রাতারাতি খ্যাতির শিখরে পৌঁছিলেন এবং অচিরে হারিয়েও গিয়েছেন।

  • শিবিল কৌশিক – ক্রিকেটে চায়নাম্যান বোলারদের খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। ২০১৬-র আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সে খেলেছিলেন শিবিল কৌশিক নামের এক বোলার। তাঁর বোলিং অ্যাকশন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার পল অ্যাডামসের মতো। এই কারণে তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা হত। তিনি ২০১৬ এবং ২০১৭ মরসুমে গুজরাটের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলেছিলেন। তাতে নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট। ২০১৬ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনি ম্যাক্সওয়েল, মুরলী বিজয় এবং শন মার্শের উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৭-র আইপিএলের পরে, তিনি আর কোনও ঘরোয়া ম্যাচও খেলেননি।
  • স্বপ্নিল আসনোদকর – আইপিএলের প্রথম মরসুমে রাজস্থানকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে বড় অবদান ছিল গোয়ার স্বপ্নিল আসনোদকর। ওপেনিংয়ে তিনি সে বার বেশ নজর কেড়েছিলেন। এই ওপেনার ডেবিউ ম্যাচে মাত্র ২৯ বলে ৬০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে ২১টি আইপিএল ম্যাচে খেলে ৪৬৪ রান করেছিলেন স্বপ্নিল। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১২২.৪২। আইপিএলের প্রথম মরসুমে স্বপ্নিলের ঝুলিতে চার ছিল ৫৯টি এবং ছক্কা ছিল ১১টি। কিন্তু আইপিএলের পরবর্তী মরসুমগুলিতে তাঁর পারফরম্যান্স খারাপ হতে থাকে। ২০১১ সালে রাজস্থানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পর, তিনি ২০১৯ সালে গোয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ হয়েছিলেন।
  • পল ভ্যালথাটি – আইপিএলে ঝড়ের গতিতে লাইমলাইটে এসেছিলেন পল ভ্যালথাটি। ২০১১ সালে পঞ্জাব কিংসের হয়ে তাঁর আইপিএল ডেবিউ হয়। পঞ্জাব কিংসের হয়ে ২০১১ সালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি ৬২ বলে ১২০ রান করেছিলেন। এটি এখনও লিগে একজন আনক্যাপড ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বড় ইনিংস। এর পরও অনেক নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন। বল হাতেও পেয়েছিলেন সাফল্য। একটা সময় মনে করা হত, পলকে ভারতের জার্সিতে দেখা যাবে। কিন্তু অচিরেই তাঁর পারফরম্যান্স খারাপ হতে থাকে। ২০১৮ সালের মার্চে, ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগে পলকে মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল ৫০ হাজার টাকায় কিনেছিল। এখন তিনি এয়ার ইন্ডিয়াতে কাজ করেন এবং তাদের দলের হয়ে খেলেন।
  • কামরান খান – উত্তরপ্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে কামরান খানকে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে ২০০৯ সালে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। অজি কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন সেই সময় রাজস্থানে ছিলেন। তিনি কামরানকে বেশ পছন্দ করতেন। ওয়ার্ন প্রায়ই তাঁকে ‘ওয়াইল্ড থিং’ বলে ডাকতেন। তিনি একটানা ১৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে বল করতে পারতেন। তাঁর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ছিল রিভার্স সুইং, যা ব্যাটারদের বেশ চাপে ফেলত। কেকেআরের বিরুদ্ধে আইপিএলের এক ম্যাচে সুপার ওভারে কামরানের হাতে বল তুলে দেন ওয়ার্ন। তাঁর বোলিং করে রাজস্থান সেই ম্যাচে জিতেছিল। এক মরসুমে নজর কাড়ার পর সেই ফর্ম পরের মরসুমে ধরে রাখতে পারেননি কামরান। অচিরেই তিনি হারিয়ে যান।
  • পরবিন্দর আওয়ানা – পারবিন্দর আওয়ানা কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) এর হয়ে ২০১২-১৫ এর মধ্যে ৩৩টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। এমনকি আইপিএল ভালো পারফর্ম করার সুবাদে তিনি ২০১২ সালে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেও কোনও উইকেট পাননি তিনি। পরবিন্দর আওয়ানা ২০১৮ সালের জুলাইতে মাত্র ৩২ বছর বয়সে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তারপর তিনি কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন।