T20 World Cup 2022: অস্ট্রেলিয়া থেকেই উত্থান, সেই দেশের বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছেন ড্যারেল মিচেল!
Daryl Mitchell: অস্ট্রেলিয়ার এখনও রয়েছে তাঁর অসংখ্য বন্ধুবান্ধব। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাঁরা গলা ফাটাবেন ড্যারেল মিচেলের হয়েই।
মেলবোর্ন: কর্মজীবনের বেশ খানিকটা সময় পারথে থাকলেও, একবারও নিজেকে অস্ট্রেলিয়ান মনে করেননি। মাঠে বরাবর তিনি ভদ্র ক্রিকেটার। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় হয়েই উত্থান কিউয়ি অলরাউন্ডারের। মার্কাস স্টইনিস, মার্কাস হ্যারিস, অ্যান্ড্রু টাইদের মতো ক্রিকেটাররা ছিলেন তাঁর সতীর্থ। সেই ড্যারেল মিচেলই (Daryl Mitchell) এখন নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) অন্যতম ভরসা। এই বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফর্ম করছেন তিনি। মিচেল বলছেনও, “আমি সবসময় কিউয়ি ছিলাম। আর এর জন্য আমি খুব গর্বিত।” বিদেশেও ‘হোম’ মিচেলের। কী ভাবে? বিশ্লেষণে TV9Bangla।
হেল, যা আসলে স্কুল ক্রিকেট, সেখানে তিন বছর খেলেছেন। এরপর স্কারবোরো, যা ক্লাব ক্রিকেট, খেলেছেন দু’বছর। মিচেল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯, অনূর্ধ্ব ২৩ এবং অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের হয়েও খেলেছেন। যা একটি ফিউচার লিগ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার অংশ ছিল। সেখানে অনবদ্য় পারফরম্যান্সের ফলে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস। কিন্তু ২৭ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল সিলভার ফার্ন খেলার জন্য।
২০০৬ সালে তাঁর পরিবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। ওয়েস্টার্ন ফোর্স রাগবি ইউনিয়নের প্রধান কোচের চাকরি পেয়েছিলেন মিচেলের বাবা জন। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই জন তাঁর পরিবারকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার পাড়ি দিয়েছিলেন। একজন রাগবি কোচের ছেলে হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয়েছে মিচেলকে। পারথের শহরতলির নামীদামি হেল স্কুলে ভর্তি হন তিনি। দু’বছরের বড় স্টইনিসের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় স্কুলে পড়ার সময়ই। ওই জুটি পরে রেকর্ড গড়েন ক্রিকেট মাঠে। হেল স্কুল প্রসঙ্গে মিচেল বলেছেন, “এমন একটা স্কুলে যেতে পেরে আমি গর্বিত। ওখান থেকেই আমার ক্রিকেট কেরিয়ার অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। স্টইনিস আমার খুব ভালো বন্ধু। স্কুলে ও আমার অধিনায়কও ছিল।’
সেই ড্যারেল মিচেল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের এ বার অন্যতম স্তম্ভ। মিচেল আরও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মঞ্চে গত কয়েক বছরে যা ঘটেছে তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। দুই সন্তানের বাবা হওয়া আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে। ক্রিকেটকে আরও ভালোবাসার অন্যতম কারণ আমার সন্তানেরা।”
এখন নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে মিচেলের ধারাবাহিক সাফল্যকেই কিউয়িদের সেমিফাইনালে ওঠার চাবিকাঠি বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটা কার্যকর ইনিংস ছিল। ওই দেশের পিচ ও আবহাওয়ার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার কারণেই মিচেল ভরসা দিচ্ছেন। মিডল অর্ডারে তিনি আর গ্লেন ফিলিপস মিলে দুরন্ত পার্টনারশিপ তৈরি করেছেন বেশ কিছু ম্যাচে। যা ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছে নিউজিল্যান্ডকে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২১ বলে তার অপরাজিত ৩১ রানও কাজে লেগেছিল টিমের।
অস্ট্রেলিয়ার এখনও রয়েছে তাঁর অসংখ্য বন্ধুবান্ধব। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাঁরা গলা ফাটাবেন ড্যারেল মিচেলের হয়েই।