Ranji Trophy: দাদার মতোই দুরন্ত! KKR-এর ভাইস ক্যাপ্টেনের টিমকে ৬০এ শেষ করলেন সামির ভাই
দাদা ভারতের অত্যন্ত সফল পেসার। বিশ্বকাপে প্রথম চারটে ম্যাচে টিমে সুযোগ পাননি। পরের ম্য়াচে নেমে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছিলেন। সেই মহম্মদ সামির ভাই মহম্মদ কাইফ রীতিমতো চমকে দেওয়া পারফর্ম করছেন রঞ্জি ট্রফিতে। দাদার মতো দুরন্ত বোলিংয়েই উত্তর প্রদেশকে ৬০ রানে শেষ করে দিলেন কাইফ।

অভিষেক সেনগুপ্ত
পাঠান ভাইয়ের কথা ক্রিকেট নতুন নয়। ইরফান ও ইউসুফ দুই ভাই-ই এক সময় খেলেছেন ভারতের জার্সিতে। সাম্প্রতিক অতীতেও সেই ছবি ফিরেছে নীল জার্সিতে। পান্ডিয়া ভাইদের খেলতে দেখছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। হার্দিক ও ক্রুণাল পান্ডিয়ার পর দুই ভাইয়ের নতুন গল্প শোনার জন্য তৈরি হতে হবে? তা কিন্তু হতেই পারে। তবে ফারাক থাকবে আগের ভাইদের গল্পের সঙ্গে। ইরফান ছিলেন বাঁ হাতি পেসার-অলরাউন্ডার। ইউসুফ ছিলেন ডানহাতি ব্য়াটার-স্পিনার। হার্দিক ডানহাতি পেসার-অলরাউন্ডার যেমন, ক্রুণাল আবার মূলত বাঁ হাতি স্পিনার। যিনি লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রানও করেত পারেন। কিন্তু ভারতীয় টিমে দুই ভাই-ই পেসার? তেমনটা কিন্তু হতেই পারে। দাদা ভারতের অত্যন্ত সফল পেসার। বিশ্বকাপে প্রথম চারটে ম্যাচে টিমে সুযোগ পাননি। পরের ম্য়াচে নেমে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছিলেন। সেই মহম্মদ সামির ভাই মহম্মদ কাইফ (Mohammed Kaif) রীতিমতো চমকে দেওয়া পারফর্ম করছেন রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy)। দাদার মতো দুরন্ত বোলিংয়েই উত্তর প্রদেশকে ৬০ রানে শেষ করে দিলেন কাইফ।
কেকেআরে গত বার ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। এ বার শ্রেয়স আইয়ার ফিরেছেন। তাই নীতীশ রানাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে। কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর টিম কিন্তু বাংলার পেসারদের সামলাতে পারলেন না। কানপুরের গ্রিন পার্কে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে নেমেছে বাংলা। অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়েই থামতে হয়েছে মনোজ তিওয়ারির টিমকে। তাই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৭ পয়েন্টের লক্ষ্য রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার টিমের। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রথম ধাপ পূরণ করে ফেলল বাংলা। উত্তরপ্রদেশকে মাত্র ৬০ রানে অল আউট করে দিলেন বাংলার ছেলেরা। গ্রিন পার্কের গ্রিন টপ উইকেটে মহম্মদ কাইফ, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল আর ঈশান পোড়েলরা দুরন্ত পারফর্ম করলেন।
গ্রিন পার্ক সাধারণত ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য ছিল। সেই উইকেটেই যে প্রাণ থাকবে, শুরু থেকেই বোঝা গিয়েছিল। ম্যাচ দেরিতে শুরু হয় কুয়াশার কারণেই। তাই টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন মনোজ। টিমে বাড়তি পেসার হিসেবে অভিষেকও হয়েছে কাস্টমসের হয়ে স্থানীয় ক্রিকেট খেলা সুরজ। প্রথম রঞ্জি ম্যাচেই নজর কেড়েছেন তিনি। সুরজ ৮ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ঈশান ৭ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তার মধ্যে রয়েছে নীতীশ রানার উইকেটও। কেকেআরের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ১১ রান করে ঈশানের বলে বোল্ড হয়ে যান। সেই সঙ্গে প্রিয়ম গর্গকেও ফেরান বাঙালি পেসার।
বাংলার বোলারদের মধ্যে দুরন্ত পারফরম্যান্স সামির ভাইয়ের। ওপেনার সমর্থ সিংকে (১৩) ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন কাইফ। তারপর আর রোখা যায়নি তাঁকে। মাত্রা ৫.৫ ওভার বল করেছেন। ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দাদার মতো আগ্রাসী বোলিংই করেন। সিম ব্যবহার করার পাশাপাশি চমৎকার সুইং করাতে পারেন। সেই সঙ্গে গতিও রয়েছে। কুয়াশার কারণে ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়েছিল। পিচে গতি ও বাউন্স দুইই ছিল। তা কাজে লাগিয়েই ৪ উইকেট তুলে নিলেন সামির ভাই কাইফ।





