১২ বছর পর পাকিস্তানে পা দিলেন সমীরাবীরা
২০০৯ সালের ঘটনার পর অবশ্য পাকিস্তান সফরে যেতে অস্বীকার করে সমস্ত দেশই। দুবাইকে দ্বিতীয় হোম হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)।
ইসলামাবাদ: ২০০৯ সাল বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে আজও কালো অধ্যায় হয়ে রয়েছে। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে সে দিল জঙ্গিহানায় রক্তাক্ত হয়েছিল ক্রিকেট। পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা টিমের প্র্যাক্টিসেও হানা দিয়েছিল তারা। জঙ্গিদের গুলি লাগে শ্রীলঙ্কার থিলান সমীরাবীরার (Thilan Samaraweera) উরুতে। অস্ত্রোপচারের পর তিন মাস সময় লেগেছিল ক্রিকেটে ফিরতে। কিন্তু মনের ক্ষত হয়তো এখনও মেটেনি তাঁর। সেই সমীরাবীরা ১২ বছর পর পা দিলেন পাকিস্তানে।
প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার এখন নিউজিল্যান্ড টিমের ব্যাটিং কোচ। সমীরাবীরা যদি ১২ বছর পর পাকিস্তানে পা দেন, তা হলে কিউয়িরা ওই দেশে গেলেন ১৮ বছর পর। টিমের ব্যাটিং কোচের মতো নিউজিল্যান্ডের পাক সফরের স্মৃতি মোটেও ভালো নয়। ২০০২ সালে করাচিতে টিম হোটেলের বাইরে বোম বিস্ফোরণের জন্য সফরের মাঝ পথেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও পরের বছর পাঁচটা ওয়ান ডে ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে ফের গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ওই শেষ। ১৮ বছর পর আবার পাকিস্তানে পা দিল তারা।
২০০৯ সালের ঘটনার পর অবশ্য পাকিস্তান সফরে যেতে অস্বীকার করে সমস্ত দেশই। দুবাইকে দ্বিতীয় হোম হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবার ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে ব্ল্যাক ক্যাপরা। শনিবার নিউজিল্যান্ড টিমকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে পিসিবি।
টিমের ক্যাপ্টেন টম ল্যাথাম বলেছেন, তাঁরা পাকিস্তানে পা দিয়ে খুব খুশি। তাঁর কথায়, ‘দেশ হিসেবে এখন পাকিস্তান যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ। এই মুহূর্তে আমরা পরিবেশের সঙ্গে কত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি, সেই চেষ্টা করব। আমরা টিম হিসেবে নিজেদের মেলে ধরার জন্য মুখিয়ে আছি।’
সাদা বলের ক্রিকেট খেলার জন্যই পাকিস্তানে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা কাজে লাগবে ল্যাথামদের। ওয়ান ডে সিরিজ শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৯ ও ২১ সেপ্টেম্বর পরের দুটো ওয়ান ডে ম্যাচ। পাঁচটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ শুরু ২৫ সেপ্টেম্বর। শেষ ৩ অক্টোবর। টি-টোয়েন্টি টিমের পাঁচ সদস্য টড অ্যাসলে, মার্ক চ্যাপম্যান, মার্টিন গাপ্টিল, ড্যারেল মিচেল, ইস সোধিরা যোগ দেবেন পরে।
আরও পড়ুন: India vs England 2021: টেস্ট বাতিলে কাঠগড়ায় শাস্ত্রী-কোহলি