IND vs NZ DAY 1: যশস্বীর একটা ভুলে ওয়াংখেড়েতে শেষ বেলায় ব্যাকফুটে ভারত
India vs New Zealand 3rd Test: প্রথম দিনের খেলার শেষ ১৫ মিনিট ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল। এর জন্য যশস্বীর ভুলকে জাস্টিফাই করা যায় না। ভারত প্রথম দিন শেষ করতে পারত ১ উইকেটেই। কিন্তু দিন শেষ করল ৮৬-৪ স্কোরে।
সীমায় আটকানো সম্ভব হবে তো! এখন এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে। ঘরের মাঠে দু-ম্যাচের বেশি কোনও টেস্ট সিরিজে ভারত ক্লিনসুইপ হয়নি। আর ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মাত্র একবারই হয়েছিল। এ বার ইতিমধ্যেই ২-০ এগিয়ে নিউজিল্য়ান্ড। তাদের লক্ষ্য ৩-০। ভারতের লক্ষ্য প্রথম বার দেশের ইতিহাসে ০-৩ আটকানো। কিন্তু প্রথম দিনের খেলার শেষ ১৫ মিনিট ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল। এর জন্য যশস্বীর ভুলকে জাস্টিফাই করা যায় না। ভারত প্রথম দিন শেষ করতে পারত ১ উইকেটেই। কিন্তু দিন শেষ করল ৮৬-৪ স্কোরে।
ওয়াংখেড়েতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রবীন্দ্র জাডেজা, ওয়াশিংটন সুন্দরদের সৌজন্যে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৩৫ রানেই অলআউট করেছে ভারত। যা প্রথম ইনিংসের নিরিখে দুর্দান্ত। ভারতীয় ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন ছিল প্রথম ইনিংসে একটা মজবুত স্কোর গড়া। কারণ এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং প্রথম ইনিংসে লিড নিতে না পারলে পুনের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা প্রবল। আর যশস্বীর ভুলেই যেন খেই হারাল ভারত।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও যশস্বী জুটি দুর্দান্ত শুরু করেছিল। ফর্ম খুঁজে বেরানো ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ফেরেন ১৮ বলে ১৮ রানেই। তিনে নামা শুভমন গিলের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়ছিল। দিনের খেলার আর তখন মাত্র ৫ ওভারের মতো বাকি। যদিও সময় অনুযায়ী মিনিট ১৫-র মতো। ৩০ রানে ব্যাট করছিলেন যশস্বী। গত সফরে এই মাঠে পারফেক্ট টেনের রেকর্ড গড়েছিলেন এজাজ প্য়াটেল। এ দিন তাঁর বোলিংয়ে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড যশস্বী। দলের প্রয়োজনে এই শট পরিস্থিতি অনুযায়ী চূড়ান্ত ভুল। তাঁর উচিত ছিল কোনওরকমে দিনটা কাটিয়ে দেওয়া। সিঙ্গল, ডাবলে কতটা রান এল, সেটা ম্যাটার করত না। যশস্বী আউট হতেই বিপর্যয়।
বিরাট কোহলিকে আড়াল করতে নাইট-ওয়াচম্যান হিসেবে পাঠানো হয় মহম্মদ সিরাজকে। কিন্তু গোল্ডেন ডাক সিরাজ। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। নামতে বাধ্যই হলেন বিরাট কোহলি। রাচিন রবীন্দ্রর ফুলটসে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন বিরাট কোহলি। পরের বলেই কুইক সিঙ্গল নিতে যান। ম্যাট হেনরির ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট বিরাট কোহলি। ৫.০২-এ দিনের খেলা শেষ হয়। তখনও নির্ধারিত খেলার ৩ ওভারের মতো বাকি ছিল। ভারতীয় শিবিরে আপশোস, যশস্বী ওই শটটা না খেললে হয়তো এত কিছু হত না। বিরাট কোহলি যে মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলেন না ব্যাটিংয়ে নামার জন্য, তা নাইট ওয়াচম্যান পাঠানোর সিদ্ধান্তেই পরিষ্কার।