Cricket Rare Millstone: ছয় ছক্কা অনেক হয়েছে, এক ওভারে ৬ উইকেট!
Double Hat-Trick: পরিবারে অবশ্য ক্রিকেটের কোনও ইতিহাস নেই। টেনিসের দুর্দান্ত ইতিহাস রয়েছে। অলিভিয়েরের দিদা অ্যান জোনস। ১৯৬৯ সালে উইম্বলডন টেনিস চ্যাম্পিয়ন অ্যান জোনস।
লন্ডন : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট। ছয় ছক্কার রেকর্ড অনেক হয়েছে। বোলিংয়ে তেমনই হ্যাটট্রিকের নজিরও অনেক রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে ডবল হ্যাটট্রিকও। ক্রিকেটে ডবল হ্যাটট্রিক বলতে বোঝায়, টানা চার বলে চার উইকেট। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লসিথ মালিঙ্গা, আয়ার্ল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফারের মতো বোলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু যদি ফুটবলের ডবল হ্যাটট্রিক ক্রিকেটেও বোঝানো যায়! হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে। এক ওভারে ছয় উইকেট। টানা ছয় বলে ছয় উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে মাত্র ১২ বছরের অলিভিয়ের হোয়াইটহাউস। ক্রিকেট ইতিহাসে যা দেখা যায় না বললেই চলে। সব মিলিয়ে ২ ওভারে কোনও রান না দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছে অলিভিয়ের। ইংল্যান্ডের ক্লাব ব্রমসগ্রোভ ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে এই কীর্তি খুদে বোলার অলিভিয়েরের। ঘটনাটি যদিও হয়েছে কয়েক দিন আগে। তবে অলিভিয়েরকে নিয়ে বিষ্ময় বাড়ছে ক্রমশ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ মাসের শুরুতে কুকহিল ক্লাবের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ওভারে টানা ছয় বলে ৬টি উইকেট নেয় অলিভিয়ের। পরের ওভারেই নেন আরও দু উইকেট। কোনও রান দেয়নি অলিভিয়ের। চাপের মুখে এমন বোলিংয়ে নজর কেড়েছে এই খুদে ক্রিকেটার। ব্রমসগ্রোভ প্রথম দলের ক্যাপ্টেন জেডেন লেভিট এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওর এই সাফল্য কিছুতেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না। ওভারে ডবল হ্যাটট্রিক! অবিশ্বাস্য কীর্তি। ও হয়তো নিজেও উপলব্ধি করতে পারছে না। হয়তো আরও বড় হলে বুঝতে পারবে, কত বড় সাফল্য এটা।’
What an achievement for our u12 player. His final match figures were 2–2-8-0 ! Only 2 wickets in his second over ?? pic.twitter.com/0L0N36HIcI
— Bromsgrove Cricket Club (@BoarsCricket) June 11, 2023
এই সাফল্য জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন সেনসেশন হয়ে উঠেছে অলিভিয়ের। তার সাফল্য নিয়ে করা টুইটার পোস্টে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার ভিউ হয়েছে। তার পরিবারে অবশ্য ক্রিকেটের কোনও ইতিহাস নেই। টেনিসের দুর্দান্ত ইতিহাস রয়েছে। অলিভিয়েরের দিদা অ্যান জোনস। ১৯৬৯ সালে উইম্বলডন টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন অ্যান জোনস।