PBKS vs DC : ডাগআউটে বসে দেখতে হল হার, কী বলছেন গব্বর?
Punjab Kings vs Delhi Capitals Post Match : পঞ্জাব অধিনায়কের কথায়, ‘সব মিলিয়ে বলব, পাওয়ার প্লে-তে বোলাররা সুইং কাজে লাগাতে পারেনি। সঠিক লেন্থে বল করতে পারেনি। প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে ৫০-৬০ রান দিয়েছি। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, উইকেট নিতে পারিনি। ব্যাটিংয়েও প্রথম ওভার মেডেন, ৬টা বল নষ্ট হয়েছে। যেটা হওয়া কাম্য নয়। তার ওপর আমিও পরের ওভারে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলাম।’
সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী : যেখানে স্বপ্ন থাকে না, স্বপ্ন আবিষ্কার করতে হয়। পঞ্জাব কিংসও (PBKS) তেমনটাই করেছিল। ধর্মশালায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্টেডিয়াম। তেমনই সুন্দর একটা ম্যাচ। ঘরের মাঠে পঞ্জাবকে বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। বোর্ডে ২১৪ রানের বিশাল লক্ষ্য। শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলা ছাড়া উপায় ছিল না পঞ্জাব কিংসের কাছে। এখানেই যেন পিছিয়ে পড়েছিল পঞ্জাব কিংস। প্রথম ওভারে মেডেন খলিল আহমেদের। পরের ওভারে গোল্ডেন ডাক কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। শেষ অবধি লিয়াম লিভিংস্টোনের দুর্দান্ত লড়াইয়েও ১৫ রানে হার। প্লে-অফের রাস্তা খুবই কঠিন হল। অঙ্কের বিচারে দৌড়ে থাকলেও পঞ্জাবের নেট রান রেট মাইনাসে রয়েছে। প্লে-অফে যেতে মিরাকল চাই শিখর ধাওয়ানদের। নাটকীয় একটা ম্যাচের পর কী বলছেন পঞ্জাব অধিনায়ক? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পঞ্জাব। পিচে পেস, সুইং, বাউন্স সবই রয়েছে। নতুন বল সামলে দিতে পারলে ব্যাটারদের জন্য রানের উৎসব। দিল্লি সেটাই করেছিল। পৃথ্বী শ-র প্রত্যাবর্তন, রাইলি রোসোর প্রথম আইপিএল হাফসেঞ্চুরি। ২১৩ রানের বিশাল স্কোর। রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও শেষ দিকে ম্যাচ জমান লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ রান। লিভিংস্টোন যে মেজাজে ব্যাট করছিলেন তাতে খুবই সহজ মনে হয়েছিল। তার ওপর শেষ ওভারে ইশান্ত শর্মার একটা নো বল, ফ্রি-হিট আরও সুযোগ করে দিয়েছিল পঞ্জাবকে। তারপরও পারল না। লিভিংস্টোন ৯৪ রানে অপরাজিত থাকলেন। ম্যাচ শেষে পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান বলছেন, ‘ডাগ আউটে বসে দলের হার দেখা খুবই হতাশার। আমরা পাওয়ার প্লে-তে দারুণ বোলিং করতে পারিনি। সুইং ছিল। পেসারদের জন্য দারুণ কন্ডিশন। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট নেওয়া উচিত ছিল।’
কোথায় ম্যাচ হারল পঞ্জাব? অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের মতে, ‘ইশান্তের নো বলের পর আশা ছিল। কেন না, লিভিংস্টোন দুর্দান্ত খেলছিল। কিন্তু বোলিংয়ে শেষ ওভারে স্পিনারকে আনা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার আগের দু-ওভারে পেসাররা তুলনামূলক ভালো বোলিং করেছে। সব মিলিয়ে বলব, পাওয়ার প্লে-তে বোলাররা সুইং কাজে লাগাতে পারেনি। সঠিক লেন্থে বল করতে পারেনি। প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে ৫০-৬০ রান দিয়েছি। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, উইকেট নিতে পারিনি। ব্যাটিংয়েও প্রথম ওভার মেডেন, ৬টা বল নষ্ট হয়েছে। যেটা হওয়া কাম্য নয়। তার ওপর আমিও পরের ওভারে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলাম।’