IPL 2021: ব্যাটিং অর্ডার না বদলালে ভুগতে হবে

দু'বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআরকে (KKR) এ ভাবে দেখতে অভ্যস্থ নই। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন না আনলে আরও ভুগতে হবে নাইটদের। টিম ম্যানেজমেন্টের যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হবে, ততই মঙ্গল।

IPL 2021: ব্যাটিং অর্ডার না বদলালে ভুগতে হবে
IPL অফ দ্য ফিল্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2021 | 7:25 AM

শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়

কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৩৩/৯ (২০ ওভার) রাজস্থান রয়্যালস- ১৩৪/৪ (১৮.৫)

কলকাতার (Kolkata Knight Riders) আসল সমস্যাটা হল ব্যাটিং অর্ডারে। টিম ম্যানেজমেন্ট এই রোগটাই ধরতে পারছে না। ওয়াংখেড়ের মতো পিচে পাওয়ার প্লে-তে অত কম রান উঠলে তো বিপক্ষ দল সুযোগটা নেবেই। শুভমন গিল আর নীতীশ রানাকে ওপেনে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা একদম ভুল। চলতি আইপিএলে ফর্মের ধারেকাছে নেই গিল। সেটা দেখেও কেন ওপেনিং স্লটে বদল আনল না বুঝলাম না। যে ছেলেটা নিজের ফর্ম খুঁজতে ব্যস্ত, তাকে দিয়ে কেন ওপেন করানো হল? ৬টা ওভারে রানই উঠল না। খেলা তো ওখানেই শেষ হয়ে গেল।

ক্রিকেটে কারও সময় খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে ভাগ্য তাড়াতাড়ি বদলায়। রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) এই ম্যাচের আগে ছন্দে ছিল না। তাদের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাটিং করার সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হত। ওপেনিংয়ে সুনীল নারিন আর রাহুল ত্রিপাঠীকে নামানো উচিত ছিল। পাওয়ার প্লে-তে ৬টা ওভারকে নারিন কাজে লাগাতে পারত। খোলা মনে বড় শট নিতে পারত। তিনে নীতীশ রানা, চারে মর্গ্যান আর পাঁচে কার্তিক নামত। তারপর রাসেল আর কামিন্স। রোজ রোজ শেষ দিকে ব্যাট করতে এসে ঝড় তুলবে রাসেল, কামিন্স সেটা আশা করাই উচিত না। এই উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে ১৮০ থেকে ১৯০ রান তোলা উচিত কেকেআরের। বেন স্টোকস, জোফ্রা আর্চারদের ছাড়া এই রাজস্থান রয়্যালসের বোলাররা যদি নাইটদের ১৩৩ রানে বেঁধে দিতে পারে, বুঝতে হবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা।

অল্প পুঁজি নিয়ে এই উইকেটে লড়াই করা যায় না। সবাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো ভুল করে না। রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী। হলোও তাই-ই। ১৮.৫ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল রাজস্থান রয়্যালস। হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলে সবার নীচে নেমে গেল নাইট রাইডার্স। এই রাজস্থানকে হারাতে না পারাটা লজ্জার। ব্যাটিং ব্যর্থতার সঙ্গে সাধারণ মানের ফিল্ডিংও নাইটদের ডোবালো। গিল সহজ ক্যাচ না ফেললে রাজস্থানের স্কোর ২ রানে ১ উইকেট হয়ে যেত। গত বছর যখন অধিনায়কের ব্যাটন মর্গ্যানের হাতে উঠল তখন কেকেআর বেশ কয়েকটা ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু এ বার শুরু থেকেই হারের মধ্যে রয়েছে দল। বিদেশি অধিনায়কে এই এক সমস্যা। খারাপ পারফর্ম করলেও তাকে রেখে দিতে হবে। বিদেশি অধিনায়ক হলে ডেভিড ওয়ার্নারের মতো হওয়া উচিত। যাকে বাদ দিয়ে টিম তৈরির কথা ভাবাই যাবে না। তা বলে ইয়ন মর্গ্যানকে খাটো করছি না। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। তবে আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত মর্গ্যানের। সঞ্জু স্যামসন এ দিন বুদ্ধির সঙ্গে ব্যাটিং করল। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর রান পাচ্ছিল না। কিন্তু এ দিন ব্যাটিং করতে এসে তাড়াহুড়ো করল না। ও জানত, শেষ অবধি ব্যাটিং করলে অনায়াসে রান উঠে যাবে। আর সেটাই হল। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিল।

দু’বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআরকে (KKR) এ ভাবে দেখতে অভ্যস্থ নই। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন না আনলে আরও ভুগতে হবে নাইটদের। টিম ম্যানেজমেন্টের যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হবে, ততই মঙ্গল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৩৩/৯ (ত্রিপাঠী ৩৬, কার্তিক ২৫, মরিস ৪/২৩), রাজস্থান রয়্যালস ১৩৪/৪ (স্যামসন ৪২ অপরাজিত,মিলার ২৪, বরুণ ২/৩২)। রাজস্থান রয়্যালস জয়ী ৬ উইকেটে।