Ravichandran Ashwin: উপস্থিত বুদ্ধির জন্য পুরস্কৃত করা উচিত, ‘মানকাডিং’ বিতর্কে দীপ্তির পাশে অশ্বিন

'মানকাডিং' করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে শিরোনামে ভারতীয় বোলার দীপ্তি শর্মা। দীপ্তির পাশাপাশি টুইটারে ট্রেন্ডিং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দীপ্তির আউট করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় অশ্বিনও বেশ মজা নিলেন ইংরেজদের।

Ravichandran Ashwin: উপস্থিত বুদ্ধির জন্য পুরস্কৃত করা উচিত, 'মানকাডিং' বিতর্কে দীপ্তির পাশে অশ্বিন
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 3:06 PM

নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালের আইপিএল। করোনা নামক অতিমারী বিশ্বে হইচই ফেলার আগে ক্রিকেট বিশ্ব তোলপাড় করে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। পঞ্জাবের টিমের হয়ে খেলা অশ্বিন ইংল্যান্ডের জস বাটলারকে মানকাড আউট করেন। প্রবল বিতর্ক শুরু হয় সেই আউট ঘিরে। টেকনিক্যাল দিক থেকে আউট হলেও জাতীয় দলের অভিজ্ঞ স্পিনারের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। অশ্বিন-বাটলার ও মানকাডিং (Mankad Out) শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল তখন। তাই এই আউটের কথা উঠলেই অশ্বিনের প্রসঙ্গ আসবে না তা কী করে হয়? লর্ডসে ঝুলন গোস্বামীর শেষ ম্যাচে ‘মানকাড’ আউট করেন দীপ্তি শর্মা (Dipti Sharma) । যার জেরে শনিবার রাত থেকে টুইটারে ট্রেন্ডিং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দেখে অবাক না হয়ে থাকতে পারলেন না অশ্বিন।

আইসিসি বর্তমানে ‘মানকাডিং’ আউটকে সাধারণ রান আউট বলেই বিবেচিত করছে। ‘আনফেয়ার প্লে’ সেকশন থেকে মানকাডিংকে সরিয়ে দিয়ে সেটিকে রান আউট হিসেবেই ধরা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। সেক্ষেত্রে বিতর্ক হওয়ার কথা নয়। তবুও হচ্ছে। লর্ডসে চাকদা এক্সপ্রেসের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটার চার্লি ডিনের আউট নিয়ে। ৪৩.৩ ওভারে ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা। ওভারের তৃতীয় বল করতে গিয়ে থেমে যান দীপ্তি। দেখেন ক্রিজের অনেকটা বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন ডিন। পিছন দিকে ঘুরে চকিতে স্টাম্প ভেঙে দেন। হতবাক হয়ে যান ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার আউট দিতেই চোখের জল আটকাতে পারেননি চার্লি ডিন। ঝুলন গোস্বামীর শেষ ম্যাচ ভারত জিতে যায় ১৬ রানে। দীপ্তির রান আউট সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে যায়। এর পাশাপাশি অশ্বিনের কথাও মনে পড়ে যায় নেটিজেনদের।

দীপ্তি আজ যে জায়গায়, অশ্বিন বছর তিনেক আগেই সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে দীপ্তি শর্মাকে ‘বোলিং হিরো’ নামে ডাকলেন। টুইটারে নিজেকে ট্রেন্ডিং দেখে অশ্বিন লেখেন, “তোমরা আমাকে কেন ট্রেন্ডিং করছ। আজকের রাতটা আরও এক বোলিং হিরো দীপ্তি শর্মার।” রবিবার সকালে আরও একটি টুইট করেন তামিলনাডুর অফস্পিনার। আইসিসি-কে ট্যাগ করে বোলারের উপস্থিত বুদ্ধির জন্য পুরস্কৃত করার প্রস্তাব রাখেন। অশ্বিনের টুইট, “একটা দারুণ আইডিয়া আছে। বোলারের হাতে উইকেটটি তুলে দেওয়া উচিত উপস্থিত বুদ্ধির জন্য। দারুণ চাপের মধ্যে এবং সামাজিকভাবে কলঙ্কিত হতে হবে এটা জানা সত্ত্বেও এ কাজ সহজ নয়। সাহসিকতার পুরস্কার দিলে কেমন হয় আইসিসি?”