AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৩৬-এর বিপর্যয় ক্রিকেটাররা ভুলতে পারবে না: সচিন

প্রথম টেস্টে লজ্জাজনকের হার থেকে বাকি ম্যাচে বিরাটের না থাকা। ভারত অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করলেন সচিন।

৩৬-এর বিপর্যয় ক্রিকেটাররা ভুলতে পারবে না: সচিন
রাহানের ওপর ভরসা রাখছেন সচিন।
| Updated on: Dec 24, 2020 | 3:40 PM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল

৩৬ রানের বিপর্যয় হতাশাজনক পারফরম্যান্স। এখান থেকে বেরিয়ে আশা কঠিন। লোকে হয়তো এই রকম একটা পারফরম্যান্স ভুলে যাবে, কিন্তু প্লেয়াররা কখনও ভোলে না। আমার তো মনে হয়, এটাই পরের ম্যাচে সেরা দেওয়ার অন্যতম একটা কারণ হয়ে উঠতে পারে। দারুণ কিছু একটা করতে পারলে ভাবনাটা পাল্টে দিতে পারে।

ভারতের আগামী পরিকল্পনা পরিকল্পনা খুব সহজ, যত বেশি সম্ভব রান করো, বিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখো। এটাই আগামী তিনটে টেস্টের জন্য ভারতের সেরা স্ট্র্যাটেজি। রানের খিদে, শৃঙ্খলা আর পরিকল্পনা এই তিনটে থাকলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়।

বাকি সিরিজের জন্য পরামর্শ সাফল্য পাওয়ার জন্য যে রুটিনটা এত দিন ধরে মেনে আসছে ভারত, সেটাই করুক। হঠাৎ করে কোনও কিছু বদল করা ঠিক নয়। তা হলে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আসলে এই সময়গুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দরকার পড়ে সামান্য কিছু বদল। যেটা আবার সামনে এগিয়ে দেবে।

আরও পড়ুন – সিডনি টেস্ট নিয়ে সংশয়, স্ট্যান্ডবাই ভেন্যু ঘোষণা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার

বিরাটের না থাকা এবং ক্যাপ্টেন রাহানে রাহানে এর আগেও ভারতের ক্যাপ্টেন্সি করেছে। ও খুব বেশি আগ্রাসী নয়। প্রতিটা মানুষ আলাদা। তাদের প্রকাশও অন্য রকম। কেউ আগ্রাসন দেখায় না মানে এই নয় যে, সে আগ্রাসী নয়। রাহানে বরাবর ফোকাসড। অন্য স্টাইলের প্লেয়ার। ওর ক্যাপ্টেন্সিতে ভারত অন্য রকম স্ট্র্যাটেজিতেই খেলবে ধরে নেওয়া যায়। বিরাটের মতো সিনিয়রের টিমে না থাকা হয়তো ভারসাম্য কিছুটা নষ্ট করতে পারে। এর ফলে নতুন মুখেরা সুযোগ পাবে।

ব্যাটসম্যান রাহানের সমস্যা রাহানে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন আছে। বিদেশের মাটিতে রানও করেছে প্রচুর। ও দ্রুত ছন্দে ফিরবে। ও চাপ সামলাতে জানে।

পৃথ্বীর সমস্যা কোথায়? ও প্রতিভাবান। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় ওর হাত শরীর থেকে দূরে থাকছে। যে কারণে প্রথম টেস্টের মতো আউট হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক থাকলে বল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। সেই সঙ্গে ব্যাট আনতে দেরিও করছে। ও যদি একটু তাড়াতাড়ি ব্যাটটা আনার চেষ্টা করে, তা হলে হয়তো সমস্যা হবে না।

অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলার ক্ষেত্রে আমি কখনও বলব না যে, ভারতীয়রা কভার ড্রাইভ মারা বন্ধ করুক বা অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলা ঠিক হবে না। ২০০৪ সালে আমার দাদা অজিত বলেছিল, অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা আমাকে আউট করতে পারবে না। যদি আমি না ভুল করি। আমি ওর চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম নট আউট থাকার। অস্ট্রেলিয়ানরা অফস্টাম্পের বাইরে বল রেখে লোভ দেখাত। কিন্তু আমি ফাঁদে পা দিয়ে ড্রাইভ মারিনি।

সামির না থাকা সামিকে অবশ্যই মিস করবে ভারত। ও টিমের প্রথম সারির বোলার। বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা। টিমের হয়ে চমৎকার পারফরম্যান্স করেছে অতীতে। বুমরা আর ওর জুটিটা এখন জমে উঠেছে।