AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sachin Tendulkar : হাতের সামনে ব্ল্যাঙ্ক চেক, তবু তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে না সচিনের!

ক্রিকেটজীবনে বহু ব্র্যান্ডের এনডোর্স করেছেন। তবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে কখনও দেখা যায়নি মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে। তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কোটি কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে রয়েছে বড় কারণ।

Sachin Tendulkar : হাতের সামনে ব্ল্যাঙ্ক চেক, তবু তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে না সচিনের!
Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2023 | 7:30 AM
Share

মুম্বই: বীরেন্দ্র সেওয়াগ, ক্রিস গেইল এমনকী বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন কপিল দেব এবং সত্তরোর্ধ্ব কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরও এর আকর্ষণ উপেক্ষা করতে পারেননি। আইপিএল ম্যাচের ফাঁকে পানমশলার বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে এই চার তারকা ক্রিকেটারকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন দর্শকরা। যাঁদের এতদিন আদর্শ মেনে চলেছেন, সেই তাঁদেরই তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে দেখে হতাশ ও একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ তাঁরা। ঠিক এমন একটা সময়ে পুরোপুরি স্রোতের বিপরীতে হাঁটার কথা বললেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। তামাক-বিরোধী দিবস পালন করেছেন। সচিন জানিয়েছেন, এমনটা নয় যে তাঁর কাছে ওই তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির পক্ষ থেকে প্রচারের মুখ হওয়ার প্রস্তাব আসেনি। তাঁর সামনে ব্ল্যাঙ্ক চেক রেখে বিজ্ঞাপনের মুখ প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও সেই ফাঁদে পা দেননি সচিন (Sachin Tendulkar)। এর পিছনে রয়েছে একটা বড় কারণ। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sportsর এই প্রতিবেদনে।

২০১০ সালে এই প্রস্তাব পান সচিন। তখনও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। তবে কেরিয়ারের সায়াহ্নে। ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে তামাক কোম্পানি মুখ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সচিন। এছাড়া বহুবার সচিনকে বলা হয় ব্যাটে ওই কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে খেলার জন্য। সেসবেও আমল দেননি কোনওদিন। সবটাই বাবা রমেশ তেন্ডুলকরকে দেওয়া কথা রাখার জন্য। মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, “তখন আমি সবে স্কুল পাশ করে ভারতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেছি। বিজ্ঞাপনের ভুরি ভুরি অফার আসছে। বাবা আমাকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল তামাকজাত দ্রব্য প্রচার না করার জন্য। তাঁর কথা রাখতেই এই ধরনের অফারে কখনও সায় দিইনি।”

ঠিক কী বলেছিলেন সচিনের বাবা? জনপ্রিয়তার শিখরের দিকে এগোনো ছেলেকে রমেশ তেন্ডুলকর সতর্ক করে বলেছিলেন, “তুমি এখন সমাজের রোল মডেল। প্রচুর মানুষ তোমাকে অনুসরণ করবেন।” সচিনের কথায়, “তারপর থেকে আমি কখনও তামাকজাত দ্রব্য বা মদের বিজ্ঞাপন দেওয়া বা সমর্থন করিনি। ১৯৯০ সালে আমার ব্যাটে কোনও স্টিকার ছিল না, কোনও চুক্তি ছিল না। অথচ দলের প্রত্যেকে দুটি সিগারেটের ব্র্যান্ডের প্রচার অবশ্যই করতেন। তবে আমি বাবাকে দেওয়া কথার অমান্য করিনি।”