Shubman Gill: গাব্বা টেস্টে জয় ও রোহিতের উইকেটে অজিদের সেলিব্রেশন নিয়ে বললেন, শুভমন গিল

গিল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, অজি ক্রিকেটাররা চতুর্থ দিনের শুরুতেই কীভাবে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) উইকেট তুলে নিয়ে সেলিব্রেশন করেছিল।

Shubman Gill: গাব্বা টেস্টে জয় ও রোহিতের উইকেটে অজিদের সেলিব্রেশন নিয়ে বললেন, শুভমন গিল
Shubman Gill: গাব্বা টেস্টে জয় ও রোহিতের উইকেটে অজিদের সেলিব্রেশন নিয়ে বললেন, শুভমন গিল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 4:16 PM

নয়াদিল্লি: ২১ বছর বয়সে কেরিয়ারের তৃতীয় টেস্ট (Test) খেলতে নেমে, অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মাটিতে এমন একটা ইনিংস খেলে ফেলেছেন শুভমন গিল (Shubman Gill), যা নিয়ে ভবিষ্যতেও তিনি ভাবতে থাকবেন। ভারতীয় ক্রিকেট চিরকাল মনে রাখবে ২০২১ সালে গাব্বা টেস্টে জয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার সামনে ৩২৮ রানের টার্গেট রেখেছিল অজিরা। কিন্তু লড়াকু ভারতকে শেষ অবধি হারাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। চোট আঘাতে জর্জরিত ভারত শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে জিতেছিল অজিদের ডেরায়। ভারতের জয়ের নেপথ্যে ছিল তরুণ ওপেনার শুভমন গিলের ৯১ রানের দুরন্ত ইনিংসটাও। সেই গিল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, অজি ক্রিকেটাররা চতুর্থ দিনের শুরুতেই কীভাবে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) উইকেট তুলে নিয়ে সেলিব্রেশন করেছিল।

রোহিত শর্মার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উইকেট হারানোর পর স্বাভাবিক ভাবেই চাপ ছিল টিম ইন্ডিয়ার ওপর। এবং অজি ক্রিকেটাররা গাব্বা টেস্টের চতুর্থ দিন খুব সহজেই হিটম্যানের উইকেট তুলে নেওয়ার পর ধরেই নিয়েছিল, এই ভারতকে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে দেবে তাঁরা। জিকিউ ম্যাগাজিনের জন্য জেমি অল্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গিল বলেন, “ওরা (অস্ট্রেলিয়ানরা) যেন এটা জানত যে, কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা রীতিমতো সেলিব্রেশন করেছিল। হো গ্যায়া কাম-এর মতো (যেন তাদের কাজ হয়ে গিয়েছে)।” স্বাভাবিকভাবেই শুরুতেই রোহিতের উইকেট তুলে নিতে পারা মানেই, কিছুটা হলেও ভারতকে চাপে ফেলে দিতে পারবেন কামিন্সরা, সেটা তাঁরা ভালোভাবেই জানতেন।

রোহিত প্যাভিলিয়নে ফেরার পর চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে জুটি বাঁধেন গিল। ১১৪ রানের পার্টনারশিপ হয় পূজারা-গিলের। তবে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে, ৯১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন পঞ্জাব তনয়। অজিদের ডেরায় টেস্ট অভিষেক হওয়া গিল বলেন, “একজন তরুণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেক হলে, মনের মধ্যে সব থেকে বড় সন্দেহ থাকে, যে আপনি পেস ধরতে পারবেন কিনা। প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক তাঁদের গতির জন্য এবং জশ হ্যাজেলউড তাঁর লাইন ও লেন্থের জন্য় বিশেষ পরিচিত। কিন্তু যখন আমি সেই সন্দেহকে জয় করার জন্য এবং আমি সেই গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলাম, তখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। এবং তখন এটি আমার মানসিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।”