T20 World Cup 2021: ফিল্ডিং-বোলিং ব্যর্থতায় ডুবল বাংলাদেশ, কাজে এল না নইম-রহিমের লড়াই

শারজার মতো উইকেটে বেশ বড় রান তুলেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান তোলেন মহম্মদ নইমরা। তবে এত বড় টার্গেট (১৭২) দিলেও ম্যাচের মোড় ঘোরাতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা।

T20 World Cup 2021: ফিল্ডিং-বোলিং ব্যর্থতায় ডুবল বাংলাদেশ, কাজে এল না নইম-রহিমের লড়াই
ফিল্ডিং-বোলিং ব্যর্থতায় ডুবল বাংলাদেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 9:08 PM

বাংলাদেশ ১৭১-৪ (২০ ওভার) শ্রীলঙ্কা ১৭২-৫ (১৮.৫ ওভার) ৫ উইকেটে জয়ী শ্রীলঙ্কা

শারজা: সুপার-১২ এর প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে (Bangladesh) হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) যাত্রা শুরু করল ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। টসে জিতে শুরুতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠায় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শারজার মতো উইকেটে বেশ বড় রান তুলেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান তোলেন মহম্মদ নইমরা। তবে এত বড় টার্গেট (১৭২) দিলেও ম্যাচের মোড় ঘোরাতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা।

শুরুটা ভালোই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মহম্মদ নইম এবং লিটন দাস। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৪১ রান তুলে ফেলেছিলেন ওপেনিং জুটি। কিন্তু তারপরই লিটন দাসকে ফেরান লাহিরু কুমারা। ৫.৫ ওভারে মিড অফের ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারির উদ্দেশ্যে পাঠাতে গিয়েই উইকেট দিয়ে বসেন লিটন। সেই সময় লাহিরুর সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়ান লিটন। তিন নম্বরে নামেন সাকিব আল হাসান। আজ ব্যাট হাতে তিনি ব্যার্থ হন। মাত্র ১০ রানে করুণারত্নের শিকার হন তিনি। তবে মহম্মদ নইম এবং মুশফিকুর রহিমের জুটি ভালো ছন্দেই এগিয়ে নিয়ে যায় বাংলাদেশকে। ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন নইম ও রহিম। ১৭ ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফের্নান্ডো ফেরান দুরন্ত ফর্মে থাকা মহম্মদ নইমকে। ৬২ রানের ইনিংস নইম সাজিয়েছিলেন ৬টি চার দিয়ে।

নইম ফিরলেও অপর প্রান্তে থাকা রহিম এরপর আফিফ হুসেন ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এইভাবে মাত্র ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করে ফেলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৭ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রহিম। তাঁর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ (১০*)।

১৭২ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই নাসুম আহমেদের শিকার হন ওপেনার কুশল পেরেরা। মাত্র ১ রানেই সাজঘরে ফেরেন পেরেরা। এর পর চরিথ আসালঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন পথুম নিসাঙ্কা। সেই সময় ৬৯ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন সাকিব। তবে সাকিব নবম ওভারে এসে পর পর দুটো উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথমে নিসাঙ্কা (২৪) এবং তারপর অভিক্ষা ফের্নান্ডো (০)। তার পর একটা ওভারে তাঁকে বল দিলে চাপটা এভাবে কাটিয়ে ফেলত না শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক সেই সময় নিলেন অন্য সিদ্ধান্ত। সইফুদ্দিনকে দিয়ে পরের ওভার বল করান মাহমুদুল্লাহ। সেই ওভারে ২২ রান দেন সইফুদ্দিন। তাতেই একপ্রকার ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।

এরপর শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভানুকা রাজাপক্ষ এবং চরিথ আসালঙ্কা। ১৩ ওভারের তৃতীয় বলে লিটন দাস যদি রাজাপক্ষের ক্যাচটা না ফেলতেন, তা হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। এরই মধ্যে ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেন আসালঙ্কা। ফিল্ডিংয়ে লিটন ফের ঝোলাল বাংলাদেশকে। ১৫ ওভারে আসালঙ্কার উইকেটের সুযোগ ছিল। তাও হাতছাড়া হয় সাকিবদের। ১৮.২ ওভারে নিশুম আহমেদের বলে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষ। ৩১ বলে ৫৩ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে চরিথ আসালঙ্কা শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন এবং ৭ বল বাকি থাকতেই ৪ মেরে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন।

বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করতে করতে শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। এবং, ম্যাচের সেরার পুরস্কারও পান আসালঙ্কা। ভালো টার্গেট দিলেও, ফিল্ডিং ও বোলিং ব্যর্থতায় একপ্রকার নিজেদের দোষেই ম্যাচ ফস্কাল বাংলাদেশ।