Hardik Pandya-MS Dhoni: ‘হার্দিককে দেখে ধোনিকে মনে পড়ে যাচ্ছে’, এত বড় সার্টিফিকেট কে দিলেন?
Sunil Gavaskar : কেউ কারও বিকল্প হন না। বা বলা যেতে পারে কেউ নিজেই নিজের বিকল্প। তবু আমরা বিকল্প খুঁজি। প্রিয় মানুষের, যাঁর মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার অকস্মাৎ সুযোগ মেলে। তাই বোধহয় ধোনি-ধ্বনি এত শুনি! তাই বোধহয় সুনীল গাভাসকরও ধোনির মতো কাউকে খুঁজছেন। বা বলা যায় ধোনির বিকল্প তিনি খুঁজে পেয়েছেন।
আমেদাবাদ : চরম উত্তেজক মুহূর্তেও আশ্চর্যরকম শান্ত। এক চিলতে হাসিতেই সেরে ফেলেন দুরন্ত সাফল্য়ের তৃপ্তি। নির্ঝঞ্ঝাট, যখন চাই তখন পাই গোছের ব্যক্তিত্ব, সবচেয়ে বড় কথা টিম ম্যান হিসেবে অপরিহার্য। এই ক’টা কথা দিয়েই এঁকে ফেলা যায় এক ক্রিকেটারের ছবি। বলার দরকার পড়ে না, তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। কেরিয়ারে ২০ বছর পার করেও একইরকম প্রাসঙ্গিক। সূর্যাস্তে দাঁড়িয়ে থাকা যে কোনও ক্রিকেটারের সম্পর্কে খুব বেশি আবেদন দেখতে পাওয়া যায় না। বরং জায়গা আঁকড়ে রয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নই বেশি ওঠে। আশ্চর্যের কথা মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) এই বন্ধনীতে কোনওদিনই ছিলেন না। ৪২-এও অবসর কেন নেবেন, এই প্রশ্ন বার বার করছেন তাঁর ভক্তরা। ধোনির জন্যই আইপিএলের (IPL) সীমানা ভারত, উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক হয়ে গিয়েছে। ধোনি আসলে অভ্যেস। যাঁর না-থাকা কল্পনাই করা যায় না। আগামী আইপিএলে ধোনি খেলবেন কিনা, এমন আশঙ্কা বারবার উঠে এসেছে। ইডেন, ওয়াংখেড়ে, চিন্নাস্বামী, ফিরোজ শাহ কোটলার মতো মাঠগুলোয় এক একটা করে ম্যাচ খেলেছেন আর বিদায় জানিয়েছেন যেন। ধোনি যদি আগামী বছর ক্রিকেটার না থাকেন, চেন্নাইয়ের সঙ্গে নিশ্চিত ভাবেই থাকবেন। এমএসডিকে মিস করবে ক্রিকেট কতটা? যদি বলা হয়, ধোনির বিকল্প খুঁজে পাওয়া গিয়েছে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
কেউ কারও বিকল্প হন না। বা বলা যেতে পারে কেউ নিজেই নিজের বিকল্প। তবু আমরা বিকল্প খুঁজি। প্রিয় মানুষের, যাঁর মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার অকস্মাৎ সুযোগ মেলে। তাই বোধহয় ধোনি-ধ্বনি এত শুনি! তাই বোধহয় সুনীল গাভাসকরও ধোনির মতো কাউকে খুঁজছেন। বা বলা যায় ধোনির বিকল্প তিনি খুঁজে পেয়েছেন। কে হতে পারেন ধোনির ছায়া? সানির কথা ধরলে, গুজরাটের ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার মধ্যে ধোনি-টাইপ দেখতে পাচ্ছেন। ব্যাপারটা কেমন? গাভাসকর বলেছেন, ‘যদি শান্তশিষ্ট ব্যাপারটা তুলে ধরি, তা হলে ধোনির মতো ওই একই ব্যাপার হার্দিকের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। ধোনি ওর টিমের মধ্যেও এই সুখী-সুখী ব্যাপারটা ধরে রাখে। যেটা গুজরাটের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। এর জন্য হার্দিককে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
গত মরসুমে নেতা হার্দিকের হাত ধরে গুজরাট অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আইপিএলের। সানি বলছেন, ‘হার্দিক প্রথমবার যখন গুজরাটের দায়িত্ব নিয়েছিল, তখন ওর প্রতি বিরাট প্রত্যাশা ছিল না। ও কেমন ক্যাপ্টেন হতে পারে সেই ধারনাই ছিল না অনেকের। তার একটা কারণ, ও খুব ছটফটে ছেলে। তারপরও গত বছর টিমকে নিয়ে দারুণ এগিয়েছিল।’
ফাইনাল হার্দিক বনাম ধোনি কেমন হতে পারে? হার্দিক নিজে ধোনিকে অত্যন্ত সম্মান করেন। ভারতীয় টিমে যখন তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তাঁর, তখন ধোনি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহযোগিতার হাত। কিন্তু ফাইনালে সম্মান থাকবে, ধোনির বিরুদ্ধে নামার সময় এর বেশি আর কিছু মাথায় থাকবে না হার্দিকের। গাভাসকর যেমন বলছেন, ‘ফাইনালে একেবারে অন্য ছবি দেখা যাবে। এই ফাইনালটা হার্দিকের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। ক্যাপ্টেন হিসেবে ও কত দ্রুত শিখেছে, সেটা দেখানোর মঞ্চ। আশা করি সেই সুযোগ ও হাতছাড়া করবে না।’