Jhulan Goswami: ক্রিকেটের মক্কায় থামছেন ‘চাকদা এক্সপ্রেস’, ফিরে দেখা ঝুলনের কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি

স্মৃতি মান্ধানা, হরমনপ্রীত সিংদের প্রিয় ঝুলু-দি তাঁর শেষ ম্যাচ খেলবেন শনিবার। ক্রিকেট মক্কা বলে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

Jhulan Goswami: ক্রিকেটের মক্কায় থামছেন 'চাকদা এক্সপ্রেস', ফিরে দেখা ঝুলনের কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 7:00 AM

কলকাতা: ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ। এরপর ২০টা বছর ধরে দেশের মহিলা ক্রিকেটের মুখ ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। বটগাছের ছায়ার মতো ছিলেন। ভারতের মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম অংশ। অনেক চড়াই, উতরাই দেখেছেন। স্মৃতি মান্ধানা, হরমনপ্রীত সিংদের প্রিয় ঝুলু-দি তাঁর শেষ ম্যাচ খেলবেন শনিবার। ক্রিকেট মক্কা বলে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (Lords Cricket Ground)। মহিলা ক্রিকেটে বাংলার পেসারের সাফল্য কয়েকটা শব্দ দিয়ে তুলে ধরা কার্যত অসম্ভব। পাকাপাকিভাবে বাইশ গজকে বিদায় জানানোর আগে ঝুলনের কেরিয়ারের সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলিতে চোখ বোলানো যাক।

১৯৯৭ সালের মেয়েদের বিশ্বকাপে বল গার্ল

১৯৮২ সালে জন্ম ঝুলন গোস্বামীর প্রথম প্রেম ছিল ফুটবল। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ তাঁর যাবতীয় মনোযোগ কেড়ে নেয় জেন্টেলম্যানস গেম। ১৯৯৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ক্রিকেটকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় কিশোরী ঝুলনের। ভারতের মাটিতে সেই বিশ্বকাপে ঝুলন ছিলেন বল গার্ল। ঝুলনের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বেলিন্ডা ক্লার্ক। দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন চাকদহের ঝুলন।

২০০২ সালে অভিষেক

বাংলার অন্যতম ভয়ঙ্কর পেসার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন ঝুলন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয়। ২০০২ সালের ৬ জানুয়ারি চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত ওডিআই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ঝুলনের। শুরু হয় ডানহাতি পেসারের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার হয়ে ওঠার কাহিনী।

২০০৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ

জাতীয় দলে তিনটে বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে ঝুলন গোস্বামীকে তখন চিনতে শুরু করেছে লোকজন। ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ হিসেবে পরিচিতি গড়ে উঠেছে। কিশোরী ঝুলনের স্বপ্নের বছর ২০০৫ সাল। ঝুলনের প্রথম বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কাপ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও টুর্নামেন্টে ১৩টি উইকেট নেন ঝুলন।

টেস্টে প্রথম অর্ধশতরান

বিশ্বকাপের পরের বছর ব্যাটিংয়েও মনোসংযোগ করেন ঝুলন। পরিশ্রমের ফল পান ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে। ঝুলনের অর্ধশতরান ও এই ফরম্যাটে ভারতের প্রথম জয়, দুটোই একসঙ্গে ঘটে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার নজির। পরের বছর আইসিসির বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার যায় ঝুলনের ঝুলিতে।

ক্যাপ্টেন ঝুলন

২০০৮ সালে মিতালি রাজের জায়গায় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন বাংলার পেসার। তিনবছর ধরে উইমেন ইন ব্লু ঝুলনের নেতৃত্বে মোটামুটি সাফল্য পেয়েছিল।

ওডিআই ফরম্যাটে ডবল সেঞ্চুরি!

চলতি বছরের প্রথমদিকে মেয়েদের ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ ওয়ানডে ম্যাচের মাইলফলক পূর্ণ করেন। নিউজিল্যান্ডে মেয়েদের বিশ্বকাপ চলাকালীন এই কীর্তি অর্জন করেছিলেন। দেশের মধ্যে মিতালিই প্রথম মহিলা ক্রিকেটার যিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন।

  • সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০টি উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে ঝুলনের। বয়স তখন ২৩ বছর ২৭৭ দিন।
  • লম্বা কেরিয়ারের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার। কেরিয়ারের আয়ু ২০ বছর ২৫৮ দিন।
  • দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৬৮টি ক্যাচ নেওয়ার নজির।
  • বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার যাঁর ঝুলিতে রয়েছে ওডিআই ফরম্যাটে ১০০০ রান ও ১০০টি উইকেট।