AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

T20 World Cup 2021: ২ বছর আগের বদলা নিতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড

গ্রুপ পর্বে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটি করে জয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। পার্থক্য একটা জায়গাতেই। নিউজিল্যান্ড প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারলেও পরপর চারটি ম্যাচ জিতে ছন্দে ফিরেছে। অন্য দিকে প্রথম চারটি ম্যাচে জিতে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে ছন্দে ছেদ পড়েছে মর্গ্যানের দলের।

T20 World Cup 2021: ২ বছর আগের বদলা নিতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড
T20 World Cup 2021: ২ বছর আগের বদলা নিতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 8:21 AM
Share

আবু ধাবি: আজ টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনাল। কিন্তু কথায় কথায় বারবার ফিরে আসছে ২ বছর আগের একটা ম্যাচ। লর্ডসে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল। ৫০ ওভারের লড়াই হোক বা সুপার ওভার। ইংল্যান্ড (England) মাত দিতে পারেনি নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand)। শুধুমাত্র বেশ বাউন্ডারি মারার সৌজন্যে বিশ্বকাপের ট্রফি উঠেছিল বেন স্টোকসদের হাতে। মেনে নিতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের সমর্থকরা। তারপর থেকে যে সুযোগ খুঁজছে উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) দল। ২২ গজের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের বদলা নিতে চায় তারা। তাই ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই দুই দল মুখোমুখি, তাই আবু ধাবি থেকে বারবার ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যেতে হচ্ছে ২০১৯ এর লর্ডসে। কিউয়ি শিবিরে সেই ম্যাচের রেশ থাকলেও বদলার মানসিকতা সে ভাবে নেই। বরং প্রতিপক্ষকেই এগিয়ে রাখছে উইলিয়ামসনের দল। ব্ল্যাক ক্যাপস বোলার ট্রেন্ট বোল্টও (Trent Bolt) বলেছেন, তাঁর ইংল্যান্ডকে হারালে সেটা হবে অঘটন। ইংল্যান্ড শিবিরে চোটের ধাক্কা আছে। তবে তাতেও থ্রি লায়ন্সদের হালকা ভাবে নেওয়ার উপায় নেই। সতর্ক কেন উইলিয়ামসন।

টি-২০ ক্রিকেটের রেকর্ড বুক বলছে, এই দুই দেশ মোট ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে। ১৩ বার জিতেছে ইংল্যান্ড। ৭টি জয় নিউজিল্যান্ডের। এ বারের বিশ্বকাপে যদিও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে দুই দল। গ্রুপ পর্বে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটি করে জয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। পার্থক্য একটা জায়গাতেই। নিউজিল্যান্ড প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারলেও পরপর চারটি ম্যাচ জিতে ছন্দে ফিরেছে। অন্য দিকে প্রথম চারটি ম্যাচে জিতে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে ছন্দে ছেদ পড়েছে মর্গ্যানের দলের। তার ওপর আছেন জেসন রয় ও টাইমল মিলসের চোট।

ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং ভাঙতে কিউইদের ভরসা তাদের বোলিং। অভিজ্ঞ দুই পেসার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট দারুণ ছন্দে আছেন। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন জিমি নিস্যাম। অন্যদিকে স্পিন বোলারার প্রাতিপক্ষের মিডল অর্ডারে থাবা দিচ্ছেন ইশ সোধি বা মিচেল স্যান্টনার। সুযোগ পেলে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার কোনও সুযোগ ছাড়ছেন না তাঁরা। নিউজিল্যান্ড শিবিরের চিন্তা বরং ব্যাটিং নিয়ে। কেউই ধারবাহিক হতে পারছেন না। প্রতি ম্যাচে কোনও একজন হাল ধরছেন ঠিকই। কিন্তু এমন কাউকে ধারাবাহিক ভাবে পাওয়া যায়নি, যাঁর ওপর বাড়তি ভরসা করা যায়। সেই জায়গাটাতেই সমস্যা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনই ভরসা তাদের। তাঁর ওপরই নির্ভর করছে দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরার।