Virat Kohli: বিরাটের ডিজেল গাড়িতে ট্যাঙ্কি ভর্তি পেট্রোল, তারপর সব তালগোল পাকিয়ে…

Watch Video: প্রথম প্রেম, প্রথম চাকরি থেকে শুরু করে সব কিছু প্রথমই সবার কাছে একটু বিশেষ হয়। বিরাট কোহলির কাছেও প্রথম গাড়িটা একটু বেশিই আদর পেত। কিন্তু তাঁর প্রথম গাড়ির জন্য এক বার বিরাট ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল কোহলিকে। শুনে নিন সেই গল্প।

Virat Kohli: বিরাটের ডিজেল গাড়িতে ট্যাঙ্কি ভর্তি পেট্রোল, তারপর সব তালগোল পাকিয়ে...
Virat Kohli: বিরাটের ডিজেল গাড়িতে ট্যাঙ্কি ভর্তি পেট্রোল, তারপর সব তালগোল পাকিয়ে...Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2024 | 9:13 AM

কলকাতা: কিং কোহলি ২২ গজে। মানেই তাঁর ব্যাটিং কারনামা দেখার জন্য সকলে মুখিয়ে থাকে। ঝুড়ি ঝুড়ি রেকর্ডের মালিক তিনি। ২২ গজে যখন থাকেন সকলকে মাতিয়ে রাখেন। আর মাঠের বাইরেও তিনি বরাবর ফুরফুরে। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) প্রথম প্রেম ক্রিকেট। আর দ্বিতীয় প্রেম? গাড়ি। পরিবারকে তিনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। কিন্তু তাঁর গাড়ি প্রীতি অনেকের ধারনার বাইরে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বিরাট কোহলির গ্যারেজে এখন শোভা পায় বহু লাক্সারি গাড়ি। কিন্তু তিনি আজও ভোলেননি তাঁর প্রথম গাড়ির কথা। বর্তমানে তিনি আরসিবির হয়ে আইপিএলে খেলতে ব্যস্ত। তারই মাঝে শুনিয়েছেন অজানা গল্প।

প্রথম প্রেম, প্রথম চাকরি থেকে শুরু করে সব কিছু প্রথমই সবার কাছে একটু বিশেষ হয়। বিরাট কোহলির কাছেও প্রথম গাড়িটা একটু বেশিই আদর পেত। কিন্তু তাঁর প্রথম গাড়ির জন্য এক বার বিরাট ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল কোহলিকে। তিনি প্রথম কিনেছিলেন Tata Safari গাড়ি। এক সময় এই গাড়ি ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। সে কথা উল্লেখ করে বিরাট বলেন, ‘আমি প্রথম যে গাড়ি কিনেছিলাম, সেটা ছিল সাফারি। ওই সময়ে সাফারি এমন একটা গাড়ি ছিল, যে রাস্তায় ওটা নিয়ে নামলে মানুষজন নিজেরাই সরে দাঁড়াত। আর আমার সাফারি নেওয়ার পিছনে এটাই ছিল অনুপ্রেরণা। তখন মনে করতাম সাফারি গাড়ি থাকা মানে স্ট্যাটাস বেড়ে যাওয়ার মতো।’

এই অবধি ঠিকই ছিল। শখ পুরণ করা তো খারাপ না। তা হলে সাফারি গাড়ি নিয়ে বিরাটের ঝামেলা কখন হল? সেই গল্প শোনাতে গিয়ে স্টার স্পোর্টসের এক সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, ‘প্রথম বার গাড়ি কিনে আমি দাদার সঙ্গে বেরিয়েছিলাম। আমাদের সেই গাড়ি ছিল ডিজেল চালিত। আমরা তখন সিস্টেম লাগিয়ে ওই গাড়ি নিয়ে ঘুরছিলাম। তারপর আমার দাদা গাড়ি নিয়ে তেল ভরাতে যায়। আমিও সঙ্গে ছিলাম। ও পেট্রোল পাম্পে গিয়ে শুধু বলে, ট্যাঙ্কি ভর্তি করে দাও। তো সেখান থেকে ট্যাঙ্কি ভর্তি করিয়ে দেয়। দাদা অবশ্য ওদের জানায়নি গাড়িতে কী ভরাতে চায়। গাড়ি কিছুটা দূরে গিয়ে দেখি আর এগোতে চায় না। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম গাড়িটাই হয়তো খারাপ। তারপর আমি দাদাকে জিজ্ঞাসা করি গাড়িতে কী ভরানো হয়েছে। ডিজেল না পেট্রোল। তখন জানতে পারি ডিজেলের পরিবর্তে পেট্রোল ভরে দিয়েছে পেট্রোল পাম্পে দায়িত্বে থাকা লোকটি। এর পর আবার লোক ডেকে আমাদের পুরো ট্যাঙ্ক খালি করাতে হয়েছিল।’

অতীতের স্মৃতি হাতড়ে এই গল্প বলতে বলতে হেসে কুটোপাটি খেতে থাকেন বিরাট কোহলি। এক ঝলকে দেখে নিন সেই ভিডিয়ো—