EURO2020: ৩৩ মিনিটে ৫ গোল, রুদ্ধশ্বাস জয় নেদারল্যান্ডসের

   'পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত'। কে জানত আমস্টারডামে রুদ্ধশ্বাস নাটক তখনও শেষ হয়নি! ম্যাচের ৮৫ মিনিটে নাথন একে-র থেকে মাপা সেন্টার। ইউক্রেনের ডানদিকের পোস্টে তখন দাঁড়িয়ে ডামফ্রাইস। মাথা ছুইঁয়ে গোল করলেন পিএসভি আইন্দোভেনের রাইট ব্যাক।

EURO2020: ৩৩ মিনিটে ৫ গোল, রুদ্ধশ্বাস জয় নেদারল্যান্ডসের
জয়ের উচ্ছ্বাসে কমলাবাহিনী
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 3:57 AM

নেদারল্যান্ডস – ইউক্রেন

     ৩               –        ২

(উইনালডাম Georginio Wijnaldum ৫২’, ওয়েঘর্স্ট ৫৮’, ডামফ্রাইসDenzel Dumfries ৮৫’)   (ইয়ারমোলেঙ্কো ৭৫’, ইয়ারেমচুক ৭৯’)

আমস্টারডামঃ প্রথমার্ধ ম্যাড়ম্যাডে়। আর দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে পরতে পরতে ক্লাইম্যাক্স। গোল,পাল্টা গোলে ভরপুর নাটক।চলতি ইউরোয় (euro 2021)এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ম্যাচ বললেও অত্যুক্তি হয়না। অবশেষে ইউরো অভিযান জয় দিয়েই শুরু করল  নেদারল্যান্ডস(netherlands)। ইউক্রেনকে (ukraine) ৩-২ গোলে হারাল ডাচরা। রাতের আমস্টারডাম(amsterdam) যেন ফেলল স্বস্তির নিঃশ্বাস।

ঘরের মাঠে খেলা। প্রথমার্ধে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে একেবারে ব্যর্থ নেদারল্যান্ডস। বরং গোলের মুখ খোলার সুযোগ পেয়েছিল দুইপক্ষই। কাজে লাগাতে পারেনি। গোলশূন্য থাকে প্রথমার্ধ। প্রথমার্ধ দেখার পর অতি বড় ফুটবল সমর্থকও আশা করতে পারেনি, দ্বিতীয়ার্ধে মজুত রয়েছে ফুটবল বিনোদনের সেরা সেরা মশলা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫২মিনিটে ডেঞ্জেল ডেমফ্রাইসের ক্রস তালু বন্দি করতে ব্যর্থ হন ইউক্রেন গোলকিপার জর্জি বুসচান। ফিরতি  বলে গোল করে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক উইনালডাম। মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে ফের গোল। ইউক্রেন বক্সের ডানদিক থেকে জোরালো শট ওয়েঘর্স্টের। ইউক্রেন গোলকিপারের কোনও সুযোগই ছিলনা সেভ করার।

আমস্টারডামের রাত তখন অপেক্ষায় জয়ের উদযাপনে। ডাচ কোচের ২টি পরিবর্তন হঠাৎই ডেকে আনল বিপত্তি। কোচ ফ্রাঙ্ক ডি বোয়ে মাঠে নামান উইন্ডাল ও একে-কে। ম্যাচের রাশ যখন সবে ধরতে শুরু করেছে তখন হঠাৎ এই দুই বদল নড়বড়ে করে দিল দলের ভারসাম্য। ফ্র্যাঙ্ক ডি বোয়ের এই পরিবর্তন যে আরও আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ানোর জন্য তা ছিল স্পষ্ট। যার সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাল ইউক্রেন। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ইয়ারমোলেঙ্কোর গোল। চলতি ইউরোয় এখনও পর্যন্ত অন্যতম সেরা গোলের তকমা পেতে পারে ইয়ারমোলেঙ্কোর গোলটি। মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে ফের গোল। মালিনভস্কির চোখধাঁধানো ফ্রিকিক। মাথা ছুইঁয়ে গোল করে ইউক্রেনকে সমতায় ফেরান ইয়ারেমচুক। জোহান ক্রুয়েফ এরিনায় তখন শ্মশানের নিঃস্তব্ধতা। প্রায় পকেটে পুড়ে ফেলা ম্যাচ এইভাবে হাতছাড়া হয়ে যাবে? গ্যালারির কমলা জার্সিগুলো তখন মাত্র ৪ মিনিটে ইউক্রেন ঝড়ে মূহ্যমান।

‘পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত’। কে জানত আমস্টারডামে রুদ্ধশ্বাস নাটক তখনও শেষ হয়নি! ম্যাচের ৮৫ মিনিটে নাথন একে-র থেকে মাপা সেন্টার। ইউক্রেনের ডানদিকের পোস্টে তখন দাঁড়িয়ে ডামফ্রাইস। মাথা ছুইঁয়ে গোল করলেন পিএসভি আইন্দোভেনের রাইট ব্যাক। ইউক্রেন গোলকিপার কিছু বোঝার আগে বল ততক্ষণে জালে জড়িয়ে গিয়েছে। মুহূর্তে বদলে গ্যালারির ছবিটা।

আসন ছেড়ে কমলা জার্সিগুলো যেন আসন ছেড়ে উড়তে শুরু করল উচ্ছ্বাসে। স্বস্তি ফিরল খুলিটের দেশে। ইউরোর প্রথম বাধা কাটিয়ে এবার যেন আরও উড়তে চায় কমলা ব্রিগেড।