আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে লিগ টেবিলের ২ নম্বরে উঠে এল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। লিগ তালিকার সবার নীচে লাল-হলুদ।

আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক এসসি ইস্টবেঙ্গলের
আইএসএলে টানা ৩ ম্যাচে হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ছবি-আইএসএল।
Follow Us:
| Updated on: Dec 05, 2020 | 10:58 PM

নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড-২ : এস সি ইস্টবেঙ্গল-০

সুরচন্দ্র সিং (আত্মঘাতী গোল,৩৩ মিনিট)

চারা

(৯০ মিনিট)

গোয়া: পারফরম্যান্সের উন্নতি হল। তবে জয় এল না। নর্থ ইস্টের কাছেও হারের মুখ দেখতে হল লাল-হলুদকে। টানা তিন ম্যাচে হার এস সি ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলের অভিষেক বছরে প্রথম দল হিসাবে টানা তিন ম্যাচে হারতে হল ফাউলারের দলকে।

প্রথমে ডার্বিতে হার,তারপর মুম্বই সিটির কাছে ৩ গোল হজম। অধিনায়ক ড্যানি ফক্সের চোট, সমস্যা আরও বাড়িয়েছিল ফাউলারের। তা সত্বেও শনিবার জয়ের জন্য মরিয়া ছিল টিম ইস্টবেঙ্গল। নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে ফক্সের জায়গায় শেহনাজকে খেলান লাল-হলুদ কোচ। অন্য জার্সিতে এদিন মাঠে ঝকঝকে লাগছিল লাল-হলুদকে। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি পেনাল্টিও পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আশুতোষ মেহেতা বক্সে মাগোমাকে ফেলে দিলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি সন্তোষ কুমার। তেত্রিশ মিনিটে ডিফেন্সের ভুল থেকে পিছিয়ে পরে লাল-হলুদ। আত্মঘাতী গোল করে বসেন সুরচন্দ্র সিং।

দ্বিতীয়ার্ধে বিনীত আর রফিককে নামিয়ে ম্যাচ কন্ট্রোলে নেওয়ার চেষ্টা করেন ফাউলার। ম্যাচে আধিপত্য বাড়লেও একজন বক্স স্ট্রাইকারের অভাবে গোলমুখ খোলেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধেও একটা পেনাল্টি পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে নর্থ ইস্টের জয় নিশ্চিত করেন চারা। সুহেরের পাস থেকে কার্যত ফাঁকায় গোল করে যান নর্থ ইস্টের মিডফিল্ডার।

আরও পড়ুন: অভিনব ভাবনা আইএফএ-র, প্রয়াত চিত্র সাংবাদিক রনি রায়ের নামে ট্রফি

নর্থ ইস্টের থেকে বল পজেসন বেশি থেকেও,গোলের সুযোগ তৈরি করেও লাল-হলুদের না জেতার অন্যতম কারণ বক্স স্ট্রাইকারের অভাব। যা আইএসএলের শুরু থেকেই ভোগাচ্ছে ফাউলারের দলকে। ৩ ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনও গোল করতে পারেনি লাল-হলুদ। ফুটবলে গোল ছাড়া যে জয় কিছুতেই সম্ভব নয়।

হারের হ্যাটট্রিকের পর রেফারি সন্তোষ কুমারকে কাঠগড়ায় তোলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ। তার দাবি অন্তত দুটো পেনাল্টি পেতেই পারত তার দল। লাল-হলুদকে হারিয়ে লিগ টেবিলের ২ নম্বরে চলে এল নর্থ ইস্ট। উল্টোদিকে এখনও সবার নীচে এসসি ইস্টবেঙ্গল। স্ট্রাইকার নেই,দলের এক নম্বর ডিফেন্ডার চোট পেয়ে মাঠের বাইরে,ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসও তলানিতে। এই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার কঠিন চ্যালেঞ্জ ফাউলারের সামনে।