নাইকির যাবতীর অভিযোগ মিথ্যে, দাবি নেইমারের
২০১৬ সালে নাইকির এক মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন, এমনই অভিযোগ ছিল। তবে ওই মেয়েটি ২০১৮ সালে অভিযোগ করে নাইকির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই ভিত্তিতে ২০১৯ সাল থেকে তদন্ত শুরু করে নাইকি। কিন্তু নেইমার কোনও রকম সাহায্য করেননি।
রিও দে জেনেইরো: যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্তে অসহযোগিতাও করেছেন। সেই অভিযোগ তুলেই নেইমারের(NEYMAR JR) সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছেদ করেছে নাইকি(NIKE)। বিপুল অর্থের স্পনসর (SPONSOR)তুলে নেওয়ার থেকেও বেশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে(FOOTBALL) ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে ব্রাজিলিয়ানের(BRAZIL)। তাই মুখ খুললেন নেইমার। ২০১৬ সালে নাইকির এক মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন, এমনই অভিযোগ ছিল। তবে ওই মেয়েটি ২০১৮ সালে অভিযোগ করে নাইকির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই ভিত্তিতে ২০১৯ সাল থেকে তদন্ত শুরু করে নাইকি। কিন্তু নেইমার কোনও রকম সাহায্য করেননি। নাইকির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছিল নেইমারের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, ওরা একটা ,সরকারি চুক্তি কী করে হঠাত্ ভেঙে ফেলল? লিখিত চুক্তি এ ভাবে চাইলেই ভেঙে ফেলা যায় না।’ একই সঙ্গে নেইমারের যুক্তি, ‘১৩ বছর বয়সে আমি আমার প্রথম চুক্তিতে সই করেছিলাম। বরাবর আমাকে বলা হত, তুমি তোমার চুক্তি নিয়ে কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলবে না। কারণ, চুক্তি বিযয়ক ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। কিন্তু আমি নাকি তদন্তে অসহযোগিতা করেছি, এই অভিযোগ তুলে চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে একটা কথা।’ নেইমারের জীবনে অবশ্য বিতর্কের শেষ নেই। এর আগেও নানা ভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও রেফারি, কখনও কোচ, কখনও মহিলা কাণ্ডেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। তবে, এ বার এই বিতর্ক কিছুটা হলেও চাপে ফেলেছে সুপারস্টার ফুটবলারকে।