Anwar Ali: আনোয়ার আলি ইস্যুর পরবর্তী শুনানি ১০ অগস্ট
East Bengal-Mohun Bagan transfer saga on Anwar Ali: আনোয়ারের চুক্তিভঙ্গ ন্যায্য কারণ ছাড়াই হয়েছে। তা উল্লেখ রয়েছে প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির অন্তর্বর্তী রায়ে। কিন্তু ফুটবলারের ইচ্ছে এবং তাঁর ভবিষ্যতের কথাও বেশ প্রাসঙ্গিক প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির কাছে। ৮ তারিখের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল আর দিল্লি এফসির উত্তর চাওয়া হয়েছে। ১০ তারিখ পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা: আনোয়ার তুমি কার? ময়দানে গুঞ্জন চলছেই। শনিবার অন্তর্বর্তী রায় দেয় ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি। ইস্টবেঙ্গল আর দিল্লি এফসি দুই ক্লাবের বয়ান নেওয়া হবে। আনোয়ার কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি ১০ অগাস্ট। ততদিন পর্যন্ত আনোয়ারের ট্রান্সফার সংক্রান্ত বিষয় ঝুলিয়েই রাখা হবে। ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি ইতিমধ্যেই সেই বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য মোহনবাগানের তরফ থেকে এনওসি দরকার আনোয়ার আলির (Anwar Ali)। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টও এনওসি দেওয়ার পথে। তবে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে সবুজ-মেরুন। এছাড়াও ইস্টবেঙ্গল আর দিল্লি এফসির শাস্তিও চেয়েছে মোহনবাগান। সব দিক দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি।
সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসের ১১ তারিখ ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করেন আনোয়ার। ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির কাছে ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করার কথাও জানান ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার। গত বছর চার বছরের লোন চুক্তিতে মোহনবাগানে সই করেছিলেন আনোয়ার আলি। এই মরসুমের শুরুতেই মোহনবাগানে পাকাপাকি ভাবে থাকতে চেয়ে ই-মেল করেন পঞ্জাব তনয়। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেন আনোয়ার। নিজের ফুটবল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই পাঁচ বছরের জন্য ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করে ফেলেন পঞ্জাব তনয়। আনোয়ারের মাদার ক্লাব দিল্লি এফসির সবুজ সংকেত পেয়েই ভারতীয় দলের তারকা ডিফেন্ডারকে পেতে ঝাঁপিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির কাছে সেই বিষয়টাই তুলে ধরবে ইস্টবেঙ্গল।
আনোয়ারের চুক্তিভঙ্গ ন্যায্য কারণ ছাড়াই হয়েছে। তা উল্লেখ রয়েছে প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির অন্তর্বর্তী রায়ে। কিন্তু ফুটবলারের ইচ্ছে এবং তাঁর ভবিষ্যতের কথাও বেশ প্রাসঙ্গিক প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির কাছে। ৮ তারিখের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল আর দিল্লি এফসির উত্তর চাওয়া হয়েছে। ১০ তারিখ পরবর্তী শুনানি। ফেডারেশন সূত্রের খবর, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে মোহনবাগানের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি হয়তো মান্যতা পাবে। ক্ষতিপূরণ পেয়ে গেলে মোহনবাগানের কাছ থেকে এনওসি পেতেও অসুবিধা থাকবে না আনোয়ারের। নির্বাসনের কবলে পড়তে পারে আনোয়ারের ক্লাব দিল্লি এফসি। সেই আশঙ্কায় আগেভাগেই ফুটবলারদের সই করাতে আসরে নেমেছেন রঞ্জিত বাজাজ। বেশ কিছু ম্যাচ বা কিছু মাস হয়তো নির্বাসনের আওতায় পড়তে পারেন আনোয়ারও। কিন্তু জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার হওয়ায় আনোয়ারের দীর্ঘমেয়াদি নির্বাসন আদতে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটি তা চাইবে কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আবারও অ্যাপিল কমিটির দ্বারস্থ হতে পারেন আনোয়ার। আপাতত ইস্টবেঙ্গল আর দিল্লি এফসির বয়ান এবং ১০ তারিখে ফেডারেশনের পরবর্তী শুনানির দিকেই নজর ফুটবলমহলের।