রোনাল্ডোর বিতর্কিত আর্মব্যান্ড বিক্রি হল বিপুল অর্থে

রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) এবং পর্তুগাল (Portugal) ওই ঘটনা পিছনে ফেলে এগোতে চাইলে কী হবে, সেই আর্মব্যান্ডই (Armband) কিনা মহার্ঘ্য হয়ে উঠল বিশ্বের নানা প্রান্তের সংগ্রাহকদের কাছে। রোনাল্ডোর সেই আর্মব্যান্ড (Armband) ৭৫ হাজার ডলারে ($75,000) বিক্রি হয়েছে।

রোনাল্ডোর বিতর্কিত আর্মব্যান্ড বিক্রি হল বিপুল অর্থে
নিলামে রোনাল্ডোর আর্মব্যান্ড। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 02, 2021 | 7:48 PM

বেলগ্রেদ: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) মানেই যেন হটকেক! যাই করুন না কেন, তা নিয়ে আলোচনা হবেই। শুধু তাই নয়, তাঁর কোনও জিনিস বিকোতে পারে কোটি টাকায়! রোনাল্ডোর বিতর্কিত আর্মব্যান্ড বিক্রি হল বিপুল অর্থে।

সার্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে ২-২ ড্র করেছিল পর্তুগাল (Portugal)। ওই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে রেফারি বাতিল করেছিলেন সিআর সেভেনর গোল। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে, ক্যাপ্টেন্স আর্মব্যান্ড খুলে ছুড়ে ফেলেছিলেন। এমন কাণ্ডের জন্য বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। বলা হয়েছিল, রোনাল্ডো আসলে অপমান করেছেন দেশকেই। ফিফার উচিত তাঁকে শাস্তি দেওয়া। যদিও জল খুব বেশি দূর গড়ায়নি। ফিফাও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: অনামী বৈভব-ভেঙ্কটেশরাই নাইটদের ভবিষ্যৎ

রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) এবং পর্তুগাল (Portugal) ওই ঘটনা পিছনে ফেলে এগোতে চাইলে কী হবে, সেই আর্মব্যান্ডই (Armband) কিনা মহার্ঘ্য হয়ে উঠল বিশ্বের নানা প্রান্তের সংগ্রাহকদের কাছে। রোনাল্ডোর সেই আর্মব্যান্ড (Armband) ৭৫ হাজার ডলারে ($75,000) বিক্রি হয়েছে। একটি সংস্থা অনলাইন নিলাম করেছে ওই আর্মব্যান্ডটা। অবশ্য নিলামের পদ্ধতি নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই নিলামের আয়োজন করেছিল ৬ মাসের এক অসুস্থ শিশুর জন্য। শিড়দাঁড়ার বিরল রোগে ভুগছে সে। নিলাম থেকে পাওয়া পুরো অর্থই তুলে দেওয়া হয়েছে তার চিকিৎসার জন্য। রোনাল্ডোর আর্মব্যান্ড নিলামে তোলার পিছনে সামাজিক যুক্তি থাকলেও তা নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে।

রোনাল্ডোর গোল বাতিল হওয়ার পর পরই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ সিআর সেভেন ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ছুড়ে ফেলেছিলেন আর্মব্যান্ডটা। যেটা মাঠে পড় থাকতে দেখে কুড়িয়ে নিয়েছিলেন স্টেডিয়ামের অগ্নিনিরোধক টিমের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী। তিনিই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দিয়েছিলেন জিনিসটা। বিতর্কে যতই পড়ুন রোনাল্ডো, তিনি ওই ঘটনা না ঘটালে হয়তো ছ’মাসের এক শিশুর চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থ তুলতে পারত না ওই সংস্থা।