Santosh Trophy: ‘সার্ভিসেস সারা বছরের টিম, আমরা মাত্র দেড় মাসের টিম’, হেরে সাফাই বাংলার কোচের
গ্রুপ টেবিলের প্রথম দুইয়ে থাকতে বাকি তিন ম্যাচই এখন ডু অর ডাই বাংলার ফুটবলারদের কাছে। একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর দিকেও।
ভুবনেশ্বর: দিল্লির সঙ্গে ড্রয়ের পর সার্ভিসেসের কাছে হার। সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) বিদায়ের মুখে বাংলা। ১-০ এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। সার্ভিসেসের কাছে ১-২ গোলে হেরে বিপাকে নরহরি শ্রেষ্ঠা, সুব্রত মুর্মুরা। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সব ম্যাচ জিতে মূলপর্বে পৌঁছেছিল বাংলা। সেই দলই সন্তোষের গ্রুপ পর্বে শুরুতেই বিপাকে। প্রথম ম্যাচে ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে হার। একেবারে খাদের কিনারায় বাংলা। এখনও মণিপুর, মেঘালয়, রেলওয়েজদের বিরুদ্ধে খেলা বাকি নরহরিদের। গ্রুপ টেবিলের প্রথম দুইয়ে থাকতে বাকি তিন ম্যাচই এখন ডু অর ডাই বাংলার ফুটবলারদের কাছে। একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর দিকেও। গ্রুপ পর্ব থেকে প্রথম দুটো দল পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে। সার্ভিসেস প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে একেবারে গ্রুপ টেবিলের মগডালে।
খেলার ১৪ মিনিটে নরহরি শ্রেষ্ঠার গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা জিতেই মাঠ ছাড়বেন সুরজিৎ, বাসুদেবরা। ৪২ মিনিটে ক্রিস্টোফারের গোলে সমতায় ফেরে সার্ভিসেস। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলা। ৮২ মিনিটে বিকাশ থাপার গোলে ২-১ করে সার্ভিসেস। এরপর আর ম্যাচের ফলের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
জাতীয় গেমসে এই সার্ভিসেসকেই ১-০ হারিয়েছিল বাংলা। সন্তোষ ট্রফিতে সেই দলের কাছেই হেরে গেলেন নরহরিরা। ম্যাচ হারের জন্য ফুটবলারদের আত্মতুষ্টিকে দায়ী করলেন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ভুবনেশ্বর থেকে টিভি নাইন বাংলাকে ফোনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘আমাদের সময়ে ভালো এবং খারাপ দুটোই খেয়াল রাখতাম। জাতীয় গেমস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ছেলেরা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য মনে করছিল। আত্মতুষ্টিই এই হারের কারণ। এত গোল মিস করলে ম্যাচ জেতা যায় না। টুর্নামেন্টে এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ওদেরই সেটা ভাবতে হবে।’
এরই সঙ্গে বাংলার কোচ বলেন, ‘আমরা গোটা ম্যাচ প্রাধান্য বজায় রেখেও জিততে পারিনি। ওরা দুটো সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে। সার্ভিসেসের ফুটবলাররা সারা বছর এক সঙ্গে ফুটবল খেলে। বোঝাপড়া বেশ ভালো। আমরা দেড় মাসের টিম। এখান-ওখান থেকে ফুটবলার নিয়ে দল তৈরি করতে হয়। কলকাতা লিগে বিদেশি স্ট্রাইকারদের প্রাধান্য দেওয়া হলে, বাঙালি স্ট্রাইকারের অভাব তো হবেই। ফলে যা হওয়ার তাইই হচ্ছে।’ বুধবার মণিপুরের সঙ্গে খেলা বাংলার। ওই ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করলে ছুটি হয়ে যাবে নরহরিদের। এ বার সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনাল আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে। মরুদেশে খেলার স্বপ্নকে জিইয়ে রাখতে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ তারক, সুরজিৎ, আকাশদের সামনে।