Pele as an Actor: সুপারহিট ছবির হিরো, গানের অ্যালবামেরও রেকর্ড বিক্রি, পেলে যে শুধুই ফুটবলার নন…

Pele death: বৃহস্পতিবার রাতে অজানালোকে পাড়ি দিয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। তিন বারের বিশ্বকাপ জয়ী লেজেন্ডে কেবল যে ফুটবল দুনিয়ার ঈশ্বর ছিলেন তা কিন্তু নয়, সঙ্গীত থেকে চলচ্চিত্র জগতের তাঁর ছিল এক অবাধ বিচরণ।

Pele as an Actor: সুপারহিট ছবির হিরো, গানের অ্যালবামেরও রেকর্ড বিক্রি, পেলে যে শুধুই ফুটবলার নন...
পেলে। Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2022 | 12:52 PM

বৃহস্পতিবার রাতে অজানালোকে পাড়ি দিয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। তিন বারের বিশ্বকাপ জয়ী লেজেন্ডে কেবল যে ফুটবল দুনিয়ার ঈশ্বর ছিলেন তা কিন্তু নয়, সঙ্গীত থেকে চলচ্চিত্র জগতের তাঁর ছিল এক অবাধ বিচরণ। সে খবর রাখেন ক’জনই? ফিরে দেখা তাঁর সেই অজানা অধ্যায়। ১০০-র বেশি গান লিখেছেন। তাঁর এক অ্যালবাম এক লক্ষেরো বেশি বিক্রি হয়েছিল। ব্রাজিলের এই কিংবদন্তীর ছবির দুনিয়াতেও মাস্টারস্ট্রোক খেলেছেন সেই কবেই। প্রথম বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ১৯৬২ সালে। ছবির নাম ‘কিং পেলে’। পরিচালক ছিলেন হুগো ক্রিস্টেনসেন। ওই বছরই দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপও এসেছিল তাঁর হাতে। জন্মস্থান থেকে শুরু করে সাঁ পাওলো…সেখান থেকে বিশ্বজয়– এই গল্পই ছিল সেই ছবিতে। তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য ছবি ‘ভিক্টরি’। ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই ছবি দিয়েই পেলে বুঝিয়েছিলেন তিনি যাই ছুঁয়ে দেখেই তাতেই যেন সোনা ফলে। ত্রিনিদাদের এক সৈনিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত ওই ছবি।

‘ভিক্টরি’ ছবি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে পেলে একবার মজা করে বলেছিলেন, “যদি অভিনেতা হিসেবে আমায় নম্বর দিতে হয় তবে নিজেকে দশ দেব।” তিনি মজা করলেও দর্শক যেন একবাক্যে মেনে নিয়েছিলেন ফুল নম্বর পাওয়ারই যোগ্য তিনি। ছবিটিতে ছিলেন হলিউডের সুপারস্টার সিলভেস্টার স্ট্যালোনও। কথা ছিল, ছবির ক্লাইম্যাক্সে ম্যাচ জিতিয়ে নেওয়া গোলটা করবেন তিনিই। কিন্তু পেলের সম্মুখে স্ট্যালোনের গোল হয়ে গিয়েছিল নেহাতই ফিকে। ছবিতে তাঁকে পাঠ দেওয়া হয় গোল রক্ষকের। ময়দানের মতো পর্দাতেও ভিক্ট্রি গোল করতে দেখা যায় ফুটবলের সম্রাটকেই। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিকানয় ববি মুরও ছিলেন ওই ছবিতে। তবে বিশ্ববাসীর ফোকাস যেন আটকে ছিল পেলের দিকেই। ওই সময়ে বক্স অফিসে প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল ওই ছবি। তবেই ভাবুন! এই না হলে রাজার রাজ্যপাট?

এখানেই কি শেষ নাকি? ১৯৮৬ সাল। ফুটবল দুনিয়ার পেয়ে গিয়েছে তাঁর আরও এক সম্রাটকে। তিনি মারাদোনা। আর্জেন্টিনার ওই হাই ভোল্টেজ ম্যাচের ঠিক কিছু দিন আগে পেলের এক ছবি পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল। নাম ‘দ্য ক্লামসিজ অ্যান্ড দ্য কিং অব সকার’। ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন এক ক্রীড়া সাংবাদিকের ভূমিকায়। সে ছবির ক্লাইম্যাক্সও ছিল দেখার মতো। এ ছাড়াও ‘দিস ইজ পেলে’, ‘পেলে এটারনো’, ‘সিনে পেলে’ নামক বহু তথ্যচিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেখা গিয়েছে টিভি সোপ অপেরাতেওও। ‘দ্য স্ট্রেঞ্জারস’-নামক টিভি শো-তে দেখা গিয়েছিল পেলেকে। ওই শো-য়ে ফুটবলার নয়, তিনি অভিনয় করেছিলেন এক লেখকের চরিত্রে। এ সবের মধ্যে বিখ্যাত অ্যালবাম ‘পেলেজিঞ্জা’র কথা ভুলে গেলে চলবে না। ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল গানের ওই অ্যালবামটি। গানগুলির সব কয়টাই লিখেছিলেন কিংবদন্তী। আরও রয়েছে তালিকায়। ব্রাজিলের ডিভা এলিস রেজিনার সঙ্গে একটি অ্যালবাম তৈরি করেছিলেন তিনি যার প্রযোজক ছিলেন গ্র্যামিপ্রাপ্ত সুরকার-গীতিকার সারজিও মেন্ডেস। বল পায়ে তিনি শিল্প সৃষ্টি করেছেন একাধিকবার, আর তাতে মোহিত হয়েছে গোটা বিশ্ব। তাঁর অভিনয়ও মোহিত করেছে বারংবার। তিনি যে কিংবদন্তী, তিনি শিল্পী… শিল্পীর মৃত্যু হলেও শিল্প যে অবিনশ্বর। তার মৃত্যু ঘটায় এ সাধ্য কার?