Pele Death: ঘরের মাঠেই ফিরবে পেলের নিথর দেহ
King of Football : ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্যান্টোসে তাঁর বৃদ্ধা মায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ। বয়সের ভারে শয্যাশায়ী তাঁর মা। বিছানা ছেড়ে উঠে এসে ছেলেকে শেষ বারের মতো দেখার ক্ষমতা নেই তাঁর।
সাও পাওলো: ব্রাজিলের (Brazil) ফুটবল আজ অভিভাবকহীন। রাজত্ব ফেলে বিদায় নিলেন সম্রাট। সাও পাওলোর (Sao Paulo) বেসরকারি হাসপাতালে গত এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় বিকেল ৩.২৭ নাগাদ কিংবদন্তি ফুটবলারের মৃত্যুর খবর সরকারি ভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ব্রাজিলের ক্লাব স্যান্টোসের হাত ধরে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে প্রবেশ পেলের। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলেও শোকের আবহ। রাজাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ব্যবস্থা করল তাঁর ক্লাব স্যান্টোস। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরল TV9 Bangla।
ফুটবলকেই জীবন বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ফুটবলও যেন তাঁকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৫৬-এ ব্রাজিলের ক্লাব স্যান্টোসের জার্সিতে ফুটবলে অভিষেক হয় পেলের। স্যান্টোসের হয়ে ৬৩৬ ম্যাচে ৬১৮ গোলের রেকর্ড রয়েছে তাঁর। ব্রাজিলের সেই ক্লাব রইল, রইল সুদীর্ঘ রেকর্ডের তালিকাও, শুধু রইলেন না স্যান্টোসের জার্সিতে তৈরি হওয়া ওই কিশোর। স্যান্টোসের স্টেডিয়ামেই প্রথম পেলের পায়ের জাদু দেখেছিল ফুটবলবিশ্ব। জাদুকরের মৃত্যুর পর, স্যান্টোসের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সোমবার সকালে সাওপাওলোর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। সেখানে সোমবার ও মঙ্গলবার তিন বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্যান্টোসে বৃদ্ধা মায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ। বয়সের ভারে শয্যাশায়ী তাঁর মা। বিছানা ছেড়ে উঠে এসে ছেলেকে শেষ বারের মতো দেখার ক্ষমতা নেই তাঁর। তবে মায়ের কোলে না ফিরতে পারলেও মায়ের সামনে দিয়েই শেষযাত্রা হবে পেলের। এরপর ব্রাজিলের মেমোরিয়াল নেকরোপোল ইকুমেনিকা কবরস্থানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সম্রাটের। সেখানে শুধুমাত্র পরিবারের থাকার অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনীদের নিয়ে ভরা সংসার তাঁর। তাঁদের রেখেই চিরঘুমে থাকবেন রাজা।