Manchester City: আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোল, জিতল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি

Erling Haaland : ম্য়াচের শুরু থেকে গ্রিলিশকে ব্য়াপক বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়। হালান্ডের গোলের পর তিনি যত না উচ্ছ্বসিত, তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দে মাতলেন গ্রিলিশ। গোলের মুভ তো তারই তৈরি করে দেওয়া।

Manchester City: আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোল, জিতল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি
Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2022 | 6:30 AM

লিডস : বাবার পথে, তবে অনেকটা এগিয়ে। আলফি হালান্ডের প্রিমিয়ার লিগে ১৮টি গোল করতে লেগেছিল ১৮১টি ম্যাচ, প্রায় এক দশকের বেশি সময়। ছেলে আর্লিং হালান্ড মাত্র ১৪ ম্যাচেই তাঁকেই ছাপিয়ে গেলেন। লিডস সিটির প্রাক্তন ডিফেন্ডার আলফি হয়তো এতে রাগ করবেন না। বরং গর্বিতই হবেন। প্রিমিয়ার লিগে তিনি খেলেছেন লিডস, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মতো ক্লাবে। ছেলে আর্লিং হালান্ড প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র সিটির হয়েই খেলছেন। এ বছরই সিটিতে সই করেন আর্লিং। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করে দলকে ভরসা দেন। বিশ্বকাপ বিরতি কাটিয়ে ফিরেছে ক্লাব ফুটবল। প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডকে ৩-১ ব্য়বধানে হারাল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। আর একটি গোল রড্রির। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

এত্তদিনের বিরতি। ছন্দ পেতে অনেকটা সময় লাগল ম্যান সিটির। লিডস মরিয়া চেষ্টা করে আটকে রাখে প্রিমিয়ার লিগ চ্য়াম্পিয়নদের। তবে ম্যান সিটিকে আটকে রাখা সহজ ছিল না। ম্য়াচের প্রথম গোল এল প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে। গোল করেন রড্রি। কেভিন ডি ব্রুইনের পাস রড্রিকে। তিনি ডানদিকে বল বাড়ান মাহরেজকে। তাঁর শট আটকে দেন লিডস গোলরক্ষক। ফিরতে বলে শট এবং গোল স্প্য়ানিশ মিডফিল্ডারের। ১-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্য়াঞ্চেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই যেন আর্লিং হালান্ডের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই লিডস অধিনায়ক রবিন কোচের দিকে। যদিও তার মাঝেই বল দখলে নেন জ্য়াক গ্রিলিশ। গোলকিপারকে ধাঁধায় ফেলে বল পাস করেন হালান্ডকে। ফাঁকা গোলে বল জড়াতে কোনও ভুল করেননি হালান্ড। প্রিমিয়ার লিগে ১৯তম গোলেই থেমে থাকেননি হালান্ড। ম্য়াচের শুরু থেকে গ্রিলিশকে ব্য়াপক বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়। হালান্ডের গোলের পর তিনি যত না উচ্ছ্বসিত, তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দে মাতলেন গ্রিলিশ। গোলের মুভ তো তারই তৈরি করে দেওয়া। দ্বিতীয় গোলের ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই ব্য়বধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল হালান্ডের সামনে। প্রতিপক্ষ গোলকিপার অনেকটা এগিয়ে আসেন। তাঁর উপর দিয়েই বল তুলেছিলেন হালান্ড। যদিও কোনও রকমে বলের দিক পরিবর্তন করে সে যাত্রায় গোল বাঁচিয়ে দেন। হালান্ড-গ্রিলিশ জুটি প্রতিপক্ষকে স্বস্তি দেয়নি। ডান দিক থেকে বল নিয়ে ওঠেন কেভিন ডে ব্রুইন। পাস করেন হালান্ডকে। গ্রিলিশের সঙ্গে ওয়াল খেলে জোরালো শটে গোল হালান্ডের। ০-৩ পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি লিডস। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে পাসকাল স্ত্রাইকের গোলে ব্য়বধান কমায় লিডস।