EURO 2020 : মানচিনি বনাম এনরিকে, আজকের ইউএসপি দুই কোচের মস্তিষ্ক

আজ ভারতীয় সময় রাত ১২.৩০টায় মুখোমুখি হচ্ছে স্পেন ও ইতালি

EURO 2020 : মানচিনি বনাম এনরিকে, আজকের ইউএসপি দুই কোচের মস্তিষ্ক
আজকের ম্যাচের ইউএসপি দুই কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2021 | 12:03 PM

লন্ডনঃ চলতি ইউরোর (EURO2021)সেরার সেরা সেমিফাইনাল। একদিকে নতুন ইতালি(ITALY)। অন্যদিকে ইউরোপ ফুটবলে নিজেদের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে মরিয়া স্পেন(SPAIN)। মোরাতা(MORATA)-ইমমোবিলেদের (IMMOBILE)লড়াইয়ে আজ সবার নজর যাঁদের দিকে থাকবে, তাঁরা হলেন দুই কোচ লুই এনরিকে(LUIS ENRIQUE) ও রবার্তো মানচিনি(ROBERTO MANCINI)। ইনিয়েস্তা-জাভিদের পরবর্তীতে স্প্যানিশ ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যাটন এখন এনরিকের হাতে। গ্রুপ পর্যায়ে তেমন নজর না কাড়লেও নকআউটে দুরন্ত ছন্দে স্পেন। অন্যদিকে চলতি ইউরোতে যেন মানচিনির কোচিংয়ে অন্য ইতালি। ডিফেন্সের খোলস ভেঙে নতুন ইতালি আক্রমণাত্মক।

আজকের সেমিফাইনাল অবশ্য লুই এনরিকের কাছে একটা অন্য আবেদন রয়েছে। খেলোয়াড় হোন বা কোচ, লুই এনরিকে শেষবার ইতালির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। সেবার হার হয়েছিল স্পেনের। ম্যাচে কড়া ট্যাকলে সম্মুখীন হয়ে নাক থেকে রক্ত ঝড়ে এনরিকের। তারপর কেটে গিয়েছে ২৭ বছর। ফের ইতালির মুখোমুখি এনরিকে। তবে এবার কোচ হিসেবে। নতুন ইতালির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে অবশ্য ২৭ বছরের পুরনো ঘচনা মনে রাখতে চাননা এনরিকে। বরং নকআউটে দল যেভাবে ছন্দ খুঁজে পেয়েছে, সেটাই ধরে রাখতে মরিয়া টিম স্পেন।

ইউরোর প্রথম দুটো ম্যাচে আটকে যাওয়ার পরেই স্পেনকে নিয়ে গেল গেল রব উঠে গিয়েছিল। হঠাত্‍ই ঝড়ের গতিতে কামব্যাক করল লুই এনরিকের দল। আসলে স্পেন দল এরকমই। তাঁদের ঘুম ভাঙে একটু দেরিতে। ২০১০ বিশ্বকাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়েছিল স্পেন। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যাসিয়াসরা। এ বারের ইউরোয় স্পেনের মাঝমাঠ আর আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। রক্ষণ নিয়েই একমাত্র চিন্তায় এনরিকে।

আর অন্যদিকে বদলে যআওয়া ইতালি। যার জাদুকাঠিতে বদলে গিয়েছে, তিনি রবার্তো মানচিনি। ক্লাব ফুটবলে নজর কাড়ার পর এবার নিজের দেশের দায়িত্ব। মানচিনির পূর্বসূরীরা যে ডিফেন্সিভ ফুটবল বিশ্বকে চিনিয়েছিল, সেটাই বদলে দিয়েছে মানচিনি। শুধু ডিফেন্সে খিল দিয়ে বসে থাকা নয়। মানচিনি ইমমোবিলে, ইনসিনিয়েদের শিখিয়েছেন, জিততে গেলে গোলটাই আসল। আর সেই গোলটা পেতে গেলে আক্রমণটাই আসল। তবে ডিফেন্সকে ব্যালেন্স রেখে। আর এই সহজ ফুটবল স্ট্র্যাটেজিতেই বদলে যাচ্ছে নীল জার্সির ফুটবলের নীল নকশাটাই।

ইতালি-স্পেন দ্বৈরথ বলতেই সাম্প্রতিক অতীতে ২০১২ ইউরো ফাইনালের কথাই আলোচনায় উঠে আসে। সে বারের ফাইনালে বুফোঁ-পির্লোদের ইতালিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল জাভি-ইনিয়েস্তারা। ওই স্মৃতি এখনও টাটকা ইতালির বোনুচ্চি-কিয়েল্লিনিদের মনে। সে দিনের ফাইনাল জয়ের স্বাদ নেওয়া বুস্কেতস-আলবারা এখন অনেক পরিণত। এ বারের লড়াই অনেকটাই আলাদা। টানা ৩২ অপরাজিত আজুরিরা। বিশ্ব ফুটবলে ফের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইতালি। প্রতিপক্ষ যেই হোক, জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে চাইছে না ইনসিগনেরা।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের হাইভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে তরজা। কোন দল শেষ বাজি জেতে সে দিকেই নজর ফুটবলপ্রেমীদের।