Thomas Dennerby: পুলিশের অফিসার থেকে মেয়েদের ফুটবল কোচ, ডিনার্বির অজানা গল্প
পুলিশ অফিসার হিসেবে তৈরি হওয়া মূল্যবোধটাই কোচিংয়েও প্রভাব ফেলেছিল তাঁর। ভারতে আসার আগে সুইডেন, নাইজিরিয়ার জাতীয় টিমের হেড কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ডিনার্বি।
কোচি: ছিলেন পুলিশ অফিসার (Police Officer)। হয়ে গেলেন ফুটবল (Football) প্লেয়ার। সেই তিনিই এখন আবার মেয়েদের ভারতীয় টিমের কোচ। ২০ জানুয়ারি থেকে ভারতে এএফসি এশিয়ান কাপ (AFC Asian Cup)। অদিতি চৌহান, মণীষা কল্যাণদের সুইডিশ কোচ থমাস ডিনার্বি (Thomas Dennerby) মুখিয়ে রয়েছেন ভারতীয় টিমকে সাফল্য দেওয়ার জন্য। এশিয়ান কাপের জন্য শেষ দফার ট্রেনিং চলছে অদিতিদের। আর তারই মধ্যে ভারতীয় টিমের কোচ জানিয়ে দিলেন, অপেশাদার ফুটবল লিগে যখন খেলতেন, তখন পুলিশ অফিসার ছিলেন।
ডিনার্বির কথায়, ‘তরুণ বয়সে আমি পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ছিলাম। শুরুর দিকে সাত বছর অপেশাদার লিগে খেলেছি। কিন্তু সেই সময় ফুটবল থেকে তেমন অর্থ পেতাম না। জীবনধারণের জন্য অনেক কিছুই করতে হত। আর সেই কারণেই আমরা কেউ ছিলাম পুলিশ অফিসার, কেউ অ্যাম্বুলেন্স চালাতাম, কেউ দমকলে কাজ করতাম।’
পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করার সময়ই জীবন দর্শন ঠিক করে নিয়েছিলেন ভারতীয় কোচ। ডিনার্বির কথায়, ‘পেট্রল কার নিয়ে সারা শহর টহল দিতে হত। ওটা জীবনের নানা দিক সম্পর্কে আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ, কোনটা নয়, সেটা বুঝতে শিখেছিলাম। জীবনের মূল্যবোধ শেখার জন্য তার থেকে ভালো কিছু ছিল না। এমনকি কোচিং শুরু করার পর এক এক রাতে পেট্রলিং করতাম। কারও পারিবারিক সমস্যা মেটাতে হত, কারও জটিল কোনও পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হত।’
From Police Officer ? to Head Coach ?
Thomas Dennerby’s calm ? exterior adds ‘different perspective’ to #BlueTigresses ?, ✍️ @soumo17
Read ? https://t.co/OIzfwPIXD2#BackTheBlue ? #ShePower ? #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/bJVefqTEUV
— Indian Football Team (@IndianFootball) January 1, 2022
পুলিশ অফিসার হিসেবে তৈরি হওয়া মূল্যবোধটাই কোচিংয়েও প্রভাব ফেলেছিল তাঁর। ভারতে আসার আগে সুইডেন, নাইজিরিয়ার জাতীয় টিমের হেড কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ডিনার্বি। অদিতি, মণীষাদের নিয়ে কী বলছেন তিনি? ফুটবলারদের উপর কখনও রাগ করেন না তিনি। ‘আমি বছরে হয়তো এক-আধবার রেগে যাই। আর সেই রাগটা তখন হয়, যখন দেখি, কেউ নিজের সেরাটা দিচ্ছে না। আমি বিশ্বাস করি, সেরাটা দিতে পারলে তবেই নিজেকে মেলে ধরা যায়। তখনই একমাত্র প্যাশন নিয়ে খেলা যায়। কেউ ভুল করলে আমি কখনও রাগ করি না। কিন্তু যদি দেখি, কেউ অলস, আমার পরিকল্পনা অনুসরণ করছে না, তখন খারাপ লাগে। তবে আমার রেগে যাওয়াটা এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কমে গিয়েছে। যখন বয়স কম ছিলাম, তখন দুমদাম রেগে যেতাম।’
আরও পড়ুন: ISL 2021-22: মারিও রিবেরাকে কোচ করে বছরের প্রথম দিন চমক ইস্টবেঙ্গলের